আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
আমার মা বাবা দ্বীন মেনে চলেন না। রমাদ্বনে রোযা রাখতে দিলেও, হায়েযের জন্য যেসব রোযা কাযা হয়ে গিয়েছে, সেগুলো আর রাখতে দেন নি পরবর্তীতে।  আমি লুকিয়ে লুকিয়ে রোযাগুলো কাযা করেছি। এভাবে অনেকবার মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়েছে, রোযা লুকোতে গিয়ে কখনো কখনো খাবারও ফেলে দিতে হয়েছে, আল্লহুম্মাগফিরলি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে মিথ্যা বলে বা খাবার অপচয় করে রোযা রাখা কি ঠিক হবে? ঠিক হলেও সেটি শুধু ফরজ রোযার ক্ষেত্রে নাকি নফল রোযাও এভাবে করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (59,340 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/644/#q644 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

তিন অবস্থায় মিথ্যা বলা জায়েয। যেমনঃ-

হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাঃ থেকে বর্ণিত,

 ﻋَﻦْ ﺃَﺳْﻤَﺎﺀَ ﺑِﻨْﺖِ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻟَﺎ ﻳَﺤِﻞُّ ﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻟِﻴُﺮْﺿِﻴَﻬَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮْﺏِ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻟِﻴُﺼْﻠِﺢَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ)

তরজমাঃ নবীজী সাঃ বলেনঃ তিনস্থান ব্যতীত অন্য কোথাও মিথ্যা বলা জায়েয নয়, ১/স্ত্রীর সাথে ভালবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে। ২/যুদ্ধের ময়দানে কাফিরের সাথে যুদ্ধ বিষয়ে। ৩/দু-ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে। (তিরমিযি-১৯৩৯,আবু-দাউদ-৪৯২১)

 

উম্মে কুলছুম রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,

 ﻋﻦ ﺃُﻡَّ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ ﺑِﻨْﺖِ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻌَﻴْﻂٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ، ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﺳَﻤِﻌَﺖْ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻫُﻮَ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ( ﻟَﻴْﺲَ ﺍﻟْﻜَﺬَّﺍﺏُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻭَﻳَﻨْﻤِﻲ ﺧَﻴْﺮًﺍ ) . ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺷِﻬَﺎﺏٍ : ﻭَﻟَﻢْ ﺃَﺳْﻤَﻊْ ﻳُﺮَﺧَّﺺُ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻛَﺬِﺏٌ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﺍﻟْﺤَﺮْﺏُ ، ﻭَﺍﻟْﺈِﺻْﻠَﺎﺡُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি দু'জনের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসার স্বার্থে মিথ্যা বলে সে মিথ্যুক নয়।সে একজনের নিকট এসে উত্তম উত্তম জিনিষ বলে,এবং অন্যর নিকট গিয়ে উত্তম জিনিষ পৌছায়। ইবনে শিহাব যুহরী রাহ বলেন,মানুষের মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারে তিন জিনিষে রুখসত রয়েছে,(১)যুদ্ধের সময়ে(২) দু'জনের মধ্যে মীমাংসা করতে,(৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ভালবাসা-মহব্বতকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে।(সহীহ মুসলিম-২০৫৬)

 

ইমাম নববী রাহ বলেনঃ

 :" ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﻛَﺬِﺑﻪ ﻟِﺰَﻭْﺟَﺘِﻪِ ﻭَﻛَﺬِﺑﻬَﺎ ﻟَﻪُ : ﻓَﺎﻟْﻤُﺮَﺍﺩ ﺑِﻪِ ﻓِﻲ ﺇِﻇْﻬَﺎﺭ ﺍﻟْﻮُﺩّ ، ﻭَﺍﻟْﻮَﻋْﺪ ﺑِﻤَﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻠْﺰَﻡ ، ﻭَﻧَﺤْﻮ ﺫَﻟِﻚَ ؛ ﻓَﺄَﻣَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺨَﺎﺩَﻋَﺔ ﻓِﻲ ﻣَﻨْﻊ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ , ﺃَﻭْ ﺃَﺧْﺬ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻪُ ﺃَﻭْ ﻟَﻬَﺎ : ﻓَﻬُﻮَ ﺣَﺮَﺍﻡ ﺑِﺈِﺟْﻤَﺎﻉِ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ . ﻭَﺍَﻟﻠَّﻪ ﺃَﻋْﻠَﻢ " ﺍﻧﺘﻬﻰ

ভাবার্থঃ স্বামী-স্ত্রী পরস্পর মিথ্যা বলা দ্বারা উদ্দেশ্য হল,ভালবাসা প্রকাশের মধ্যে এবং ঐ সমস্ত প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্রে যা পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হয় না। তবে মিথ্যা বলার মাধ্যমে কাউকে ধোকা দেওয়া অথবা কারো মাল ছিনিয়ে নেয়া সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। (শরহে মুসলিম-নববী-১৬/১৪৮)

 

কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম মিথ্যা বলাকে হাদীসে বর্ণিত তিনটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন।কিন্ত বিদগ্ধ গবেষক উলামায়ে কেরাম ঐ সমস্ত বিষয়ের মধ্যেও অনুমিত প্রদান করেছেন যেথায় অন্যর ক্ষতি ব্যতীত নিজের মঙ্গল নিহিত রয়েছে।

 

আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ

 ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ . ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ : ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺩﺍﺭ ﺍﻹﻓﺘﺎﺀ ﺍﻟﻤﺼﺮﻳﺔ

প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব

 

আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ

 ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،

একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না। (যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

 

ইমাম বাগাবী রাহ লিখেন,

 " ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺨﻄﺎﺑﻲ : ﻫﺬﻩ ﺃﻣﻮﺭ ﻗﺪ ﻳﻀﻄﺮ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﺍﻟﻘﻮﻝ ، ﻭﻣﺠﺎﻭﺯﺓ ﺍﻟﺼﺪﻕ ﻃﻠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻼﻣﺔ ﻭﺭﻓﻌﺎً ﻟﻠﻀﺮﺭ ،ﻭﻗﺪ ﺭﺧﺺ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﻮﺍﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﺴﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ ، ﻟﻤﺎ ﻳﺆﻣﻞ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺡ ،  ﻓﺎﻟﻜﺬﺏ ﻓﻲ ﺍﻹﺻﻼﺡ ﺑﻴﻦ ﺍﺛﻨﻴﻦ : ﻫﻮ ﺃﻥ ﻳَﻨﻤﻲ [ ﺃﻱ : ﻳﺒﻠﻎ ] ﻣﻦ ﺃﺣﺪﻫﻤﺎ ﺇﻟﻰ ﺻﺎﺣﺒﻪ ﺧﻴﺮﺍً ، ﻭﻳﺒﻠﻐﻪ ﺟﻤﻴﻼً ، ﻭﺇﻥ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺳﻤﻌﻪ ﻣﻨﻪ ، ﻳﺮﻳﺪ ﺑﺬﻟﻚ ﺍﻹﺻﻼﺡ .  ﻭﺍﻟﻜﺬﺏ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﺮﺏ : ﻫﻮ ﺃﻥ ﻳﻈﻬﺮ ﻣﻦ ﻧﻔﺴﻪ ﻗﻮﺓ ، ﻭﻳﺘﺤﺪﺙ ﺑﻤﺎ ﻳﻘﻮﻱ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ، ﻭﻳﻜﻴﺪ ﺑﻪ ﻋﺪﻭﻩ ، ﻭﻗﺪ ﺭُﻭﻱ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ : " ﺍﻟﺤﺮﺏ ﺧﺪﻋﺔ ."  ﻭﺃﻣﺎ ﻛﺬﺏ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺯﻭﺟﺘﻪ ﻓﻬﻮ ﺃﻥ ﻳﻌﺪﻫﺎ ﻭﻳﻤﻨﻴﻬﺎ ، ﻭﻳﻈﻬﺮ ﻟﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺤﺒﺔ ﺃﻛﺜﺮ ﻣﻤﺎ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻪ ، ﻳﺴﺘﺪﻳﻢ ﺑﺬﻟﻚ ﺻﺤﺒﺘﻬﺎ ، ﻭﻳﺴﺘﺼﻠﺢ ﺑﻬﺎ ﺧﻠﻘﻬﺎ ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ

আবু সুলাইমান খাত্তাবী রাহ বলেছেনঃ কিছু বিষয় এমন রয়েছে যেথায় অনেক সময় ক্ষতি দূরকরণার্তে ও সুষ্ঠ সমাধান তলব করতে মানুষ কিছু বাড়িয়ে ও সত্য-মিত্যার সংমিশ্রণে কথা বলতে বাধ্য হয়, এমন পরিস্থিতিতে ইসলাহের আশা কিছু বিষয়ে সামান্য বেশকম করে মিথ্যা বলা জায়েয আছে।দুজনের মধ্যে ইসলাহের নিয়্যাতে মিথ্যা বলা জায়েয। এভাবে যে একজনের কাছে অন্যজনের পক্ষ্য থেকে উত্তম উত্তম সংবাদ বা সংবাদকে সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করা।যদি সে ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে তা শুনেনি।কিন্তু সে শুধুমাত্র ইসলামের নিয়্যাতেই তা করেছে এবং যুদ্ধে মিথ্যা বলা,এভাবে যে নিজের মধ্যে শক্তি(যা বাস্তবে নেই) প্রদর্শন করা এবং এমন কথাবার্তা বলা যাতে তার সাথীবর্গকে শক্তিশালী বুঝায়। এদ্ধারা শত্রুবাহিনীকে ধোকা দেয়া যে আমরা তোমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে,যুদ্ধের অপর নাম ধোকা।স্বামী কর্তৃক নিজ স্ত্রীর সাথে মিথ্যা বলা এভাবে যে,স্বামী স্ত্রীর সাথে কোনো কিছুর ওয়াদা করবে এবং এবং আশা দিবে,(কিন্তু বর্তমানে ক্ররিদ করে দেয়ার ইচ্ছা নেই) এবং স্বামীর অন্তরে যে ভালবাসা রয়েছে,স্বামী তা থেকেও বেশী স্ত্রীর সামনে প্রকাশ করবে।এর দ্বারা উক্ত স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক চিরস্থায়ী ও চরিত্র সংশোধন উদ্দেশ্য হবে। (শরহুস সুন্নাহ-১৩/১১৯)

 

ইমাম নববী রাহ বলেনঃ

 ﻓﻜﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻳﻤﻜﻦ ﺗﺤﺼﻴﻠﻪ ﺑﻐﻴﺮ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻓﻴﻪ، ﻭﺇﻥ ﻟﻢ ﻳﻤﻜﻦ ﺗﺤﺼﻴﻠﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺟﺎﺯ ﺍﻟﻜﺬﺏ، ﺛﻢ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺗﺤﺼﻴﻞ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻜﺬﺏ ﻭﺍﺟﺒﺎ

প্রত্যেক ঐ প্রশংসনীয় মাকসাদ(উদ্দেশ্য)যাতে মিথ্যা ব্যতীত পৌছা সম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা হারাম। কিন্তু যদি তাতে মিথ্যা ব্যতীত পৌছা সম্ভব না হয়,তাহলে সেথায় মিথ্যা বলা জায়েয। যদি উক্ত মাকসাদ অর্জন করা মুবাহ হয় তাহলে মিথ্যা বলে উক্ত মাকসাদ অর্জন করা মুবাহ। আর যদি মাকসাদ অর্জন করা ওয়াজিব হয় তাহলে মিথ্যা বলে তা অর্জন করা ওয়াজিব। (রিয়াযুস সালেহিন-২৫৯)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রোযা রাখা ঠিক আছে। কারণ রমজানের কাযা রোজা আদায় করাও ফরজ। তাই যত তাড়া তাড়ি তা আদায় করা যায়। 

২. তবে মিথ্যা না বলে কথা তাওরিয়াহ করেও বলতে পারেন। তাওরিয়াহ বলা হয় কোনো কথা এমন ভাবে বলা যে, শ্রবণকারী ভিন্ন রকম মনে করে।

৩. আপনি খাবারটা নষ্ট না করে পশু পাখিকে খাওয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আর খাবারটা নষ্ট হলো না। পাশা পাশি পশু পাখিকে খাওয়ানোর কারণে আপনি সওয়াবও পেয়ে গেলেন।

৪. নফল রোজাও রাখতে পারবেন। তবে তখন মিথ্যা না বলে তাওরিয়াহ করে বলার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
জাযাকাল্লহু খইরন 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...