আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
304 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার কাছে স্বর্ন আছে প্রায় ৬ ভরি। (বিবাহিতা)

টিউশন করি যা পাই বাড়ি ভাড়া দেই এবং প্রয়োজনীয় কাজে খরচ করি।

আমি জানি শুধু স্বর্ন থাকলে ৭.৫ ভরি হলে নিসাব পরিমাণ হয়।সাথে জমানো টাকা ২০০০ টাকা হলেও আমার নিসাব পরিমাণ সম্পদ হয়।কিন্তু আমার রুপা/জমানো টাকা নেই।

কিন্তু  টিউশনের টাকা থেকে মাঝে মাঝে ৫০০/১০০০ টাকা থাকে। (টিউশন তো ক্ষণস্থায়ী,কখনো থাকে তো কখনো থাকে না, কখনো টানাটানি হয় টাকা মেনেজ করতে) কখনো খরচ হয়ে যায় অই মাসেই কখনো বা ২/৩ মাসে।

আমার প্রশ্ন হলো,
✅এমন অবস্থায় ৫০০/১০০০ টাকা হাতে আসলে সেটা কত মাস থাকলে আমার উপর যাকাত/কোরবানি ফরজ হবে?
✅৫০০০ টাকার কোনো জিনিস কিনার প্রয়োজন হলে আমি যদি কিছু করে জমাই, তাহলে কম পক্ষে কত দিন জমালে যাকাত/কোরবানি ফরজ  হবে?
(৫০০০/এমন একটা এমাউন্ট জমিয়ে কিছু কেনার নিয়তে)

যেহেতু শুধু স্বর্ন ই আছে।যাকাত/কোরবানি ফরজ হলে স্বর্ন বিক্রি করা ছাড়া টাকা নেই।
তাই ভয় হয় হাতে টাকা আসলেই।মনে হয় খরচ করে ফেলি /প্রয়োজনে ব্যবহার করে ফেলি হয়তো নিসাব পরিমাণ হয়ে যাবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1203 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।আর শুধু রূপা থাকলে রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।টাকা থাকলে রূপার নেসাব সমপরিমাণ হলে যাকাত আসবে।
কিছু স্বর্ণ এবং কিছু রূপা থাকলে স্বর্ণ এবং রূপাকে মিলিত করে উভয়টির মূল্য যদি রূপার নেসাব সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে যাকাত আসবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/২৭৭)
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৬/৮৭)

https://www.ifatwa.info/1642 নং প্রশ্নে আমরা বলেছি যে,
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،
এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)

বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1688
মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1434

নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1811

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যাকাতের জন্য যে কোনো মালের এক বৎসর অতিবাহিত হওয়া শর্ত।তবে কুরবানির জন্য বৎসর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়।বরং কুরবানি তিনদিনের মধ্যে কোনো একদিন নেসাব পরিমাণ মাল থাকলেই কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।
আপনার নিকট যে ৫০০/১০০০ টাকা মাঝেমধ্যে থাকে,সেই টাকা স্বর্ণের সাথে মিলিত হয়ে যাকাত আসবে না।বা ৫/১০ হাজার টাকা থাকলেও যাকাত আসবে না।কেননা এদ্বারা নেসাব পূর্ণ হবে না। তাছাড়া এই টাকা থাকার কারণে আপনার উপর কুরবানিও আসবে না। হানাফি মাযহাবের কিতাবে স্বর্ণ ও রুপা বা টাকা একত্রে থাকলে(কোনোটিই এককভাবে নেসাব পরিমাণ না হলে) যাকাত আসা বা না আসা নিয়ে বিপরীতমূখী বক্তব্য পাওয়া গেলেও আপনার বিষয়ে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত যে, আপনার উপর যাকাতও আসবে না এবং কুরবানিও আসবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম, 
✅তাহলে এক্ষেত্রে আমার যাকাত ফরজ হবে যদি ৫/১০ হাজার টাকা আমি ১ বছরের জন্যে জমাই? (৬ ভরি স্বর্ন তো আছেই)।

✅সদকাতুল ফিতরা আমার উপর তাহলে যাকাতের নিসাবের মাধ্যমেই ফরজ হবে?এছাড়া সদকাতুল ফিতরা/কুরবানি আমার উপর কখন ফরজ হবে? (স্বর্ন তো আছেই সাথে কি পরিমাণে টাকা বাড়লে+ স্থায়ী হলে)

জানালে উপকৃত হবো।যেন ভবিষ্যতে আমি নিজেই বোঝতে পারি কখন আমার যাকাতের নিসাব পূর্ন হলো এবং সদকাতুল ফিতর/কোরবানির নিসাব পূর্ন হলো 


জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...