আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ,

দয়া করে উত্তর দিবেন,,

যতটুকু শুনেছি, কুরবানীর পশু জবাই করার সময় যত মানুষ কুরবানির পশুটিকে ধরে রাখবে সবাই  "আল্লাহু আকবর" না বললে, কুরবানী হবেনা।
গরু কুরবানী দেয়ার সময় তো যারা ভাগিদার তারা ছাড়াও অন্য মানুষ রা থাকেন গরু জবাই দিতে সাহায্য করার জন্য, তারা যদি আল্লাহু আকবর না বলেন, তাহলে কি কুরবানী হবেনা??

১)একজন মানুষের ও যদি "আল্লাহু আকবর" বলা বাকি থাকে তাহলে কি কুরবানী হবেনা??

২)মেয়েরা তো জানতে পারেনা কুরবানী পশু কিভাবে জবাই হলো। যদি এমন হয় যে, কুরবানির পশু সহিহ ভাবে জবাই করা হয়নি আর ঘরের মেয়েরা এটা জানতেও পারলো না কিন্তু গোস্ত খেয়ে নিলো তাহলে কি এই গোস্ত খাওয়া তার জন্য হারাম হবে?

গোস্ত খেলে গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে সে পশু খাওয়া হারাম হয়ে যাবে।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ

যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)

 

তবে ভুলে বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে জবাই সহীহ হয়ে যায়। ‘বিসমিল্লাহ’ ভুলে যাওয়ার কারণে জবাইকৃত পশু-পাখি হারাম হয়ে যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,

رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا

হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সূরা বাকারা ২৮৬)

 

হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

  إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন। (ইবন মাজাহ ২০৪০)

 

জবেহের কাজে অংশীদার ব্যক্তির বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। জবাইয়ে শরিক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে জবাইকৃত পশু হারাম হয়ে যাবে। তবে যারা পশুকে ধরাশায়ী করার জন্য সাহায্য করে, তাদের জন্য বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব নয়। (ফতোয়ায়ে শামি: ৯/৪৮২, জাদিদ ফিকহি মাসায়িল২/২৩৪ (কপি)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. যারা জবাইয়ের কাজে সহযোগিতাকারী (যেমন-যতজন মিলে ছুরি ধরে জবাই করছে) তাদের সকলের উপর বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব।  জবাইয়ে শরিক কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে জবাইকৃত পশু হারাম হয়ে যাবে।  তবে যারা পশুকে ধরাশায়ী করার জন্য সাহায্য করে (যেমন- পশুর পা, শরীর, মাথা ধরে রাখে), তাদের জন্য বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব নয়। সুতরাং জবাইয়ের কাজে সহযোগিতাকারীর (যেমন-যতজন মিলে ছুরি ধরে জবাই করছে)  একজনও ইচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহ না বললে কুরবানী হবে না।

 

২. না জানলে তো কোনো করণীয় নেই। বরং তারা ধরে নিবে যে, তা শরীয়ত সম্মত ও বিসমিল্লাহ বলেই জবাই করা হয়েছে এবং গোশতও খাবে। আল্লাহ না করেন, একান্ত কোনো পশু শরীয়ত সম্মত ভাবে জবাই না হলেও  এটা না জানার কারণে আশা করা করা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...