ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব।
ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে সে পশু খাওয়া হারাম হয়ে যাবে।
কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ
وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়
নি, সেগুলো থেকে
ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা
গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)
তবে ভুলে বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে জবাই সহীহ
হয়ে যায়। ‘বিসমিল্লাহ’ ভুলে যাওয়ার কারণে জবাইকৃত পশু-পাখি হারাম হয়ে যায় না।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সূরা
বাকারা ২৮৬)
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ
وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা
করেছেন। (ইবন মাজাহ ২০৪০)
জবেহের কাজে অংশীদার ব্যক্তির বিসমিল্লাহ
বলা ওয়াজিব। জবাইয়ে শরিক ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে জবাইকৃত পশু হারাম
হয়ে যাবে। তবে যারা পশুকে ধরাশায়ী করার জন্য সাহায্য করে, তাদের জন্য বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব নয়। (ফতোয়ায়ে শামি: ৯/৪৮২, জাদিদ ফিকহি মাসায়িল২/২৩৪ (কপি)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যারা জবাইয়ের কাজে সহযোগিতাকারী (যেমন-যতজন
মিলে ছুরি ধরে জবাই করছে) তাদের সকলের উপর বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। জবাইয়ে শরিক কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ
না বললে জবাইকৃত পশু হারাম হয়ে যাবে। তবে
যারা পশুকে ধরাশায়ী করার জন্য সাহায্য করে (যেমন- পশুর পা, শরীর, মাথা ধরে রাখে), তাদের জন্য বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব নয়। সুতরাং জবাইয়ের কাজে সহযোগিতাকারীর (যেমন-যতজন মিলে ছুরি ধরে জবাই করছে) একজনও ইচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহ না বললে কুরবানী হবে না।
২. না জানলে তো কোনো করণীয় নেই। বরং তারা
ধরে নিবে যে, তা শরীয়ত সম্মত ও বিসমিল্লাহ বলেই জবাই
করা হয়েছে এবং গোশতও খাবে। আল্লাহ না করেন, একান্ত কোনো পশু শরীয়ত সম্মত ভাবে জবাই না হলেও এটা না জানার কারণে আশা করা করা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন।