ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে তবুও সে কুরবানি করল না (অর্থাৎ কুরবানি করার সংকল্প তার নেই) সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব। আর ওয়াজিব তরক করা কবিরাহ বা বড় গোনাহ। সম্পদশালী ব্যক্তি যদি কুরবানি হুকুম পালন না করে তবে বড় গোনাহগার হবে।
কুরবানীর তিন দিন পার হয়ে গেলে কুরবানী দেয়ার মতো টাকা তথা একটি ছাগল ক্রয় পরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দেয়া আবশ্যক হবে।
,
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরবানি করা থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করে বলেন যে, সে যেন ঈদগাহে না আসে। তাই কুরবানি করার মতো টাকা বা সম্পদের মালিক ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব। যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব সে যেন তা পালন করার মাধ্যমে ওয়াজিব তরক করার গোনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে কুরবানী নিয়ে এহেন মারাত্মক শব্দ ব্যবহার করায় আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
(০৩)
হ্যাঁ সাহাবাদের নাম নেয়া যাবে।
নফল কুরবানী হিসেবে তাদের নাম নিতে হবে।
কুরবানীতে সাতজনের নাম দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
এর কমও দেয়া যায়।
তবে ওয়াজিব কুরবানীতে এর চেয়ে বেশি নাম দেয়া যাবেনা।
হ্যাঁ নফল কুরবানীতে এর চেয়েও বেশি ব্যাক্তির নামে দেয়া যাবে।