বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
শাতিমে রাসূল কে হত্যা করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না।ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মতে মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।
মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}
শাতিমে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধান হল,এই শাতিম কে হত্যা করা ওয়াজিব।
রাষ্ট্রর দায়িত্ব।জনগণ নিজের হাতে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে পারবে না।ইসলামী হুকুমত সম্বলিত কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যদি হত্যা করে ফেলে,তাহলে এই হত্যা মাকরুহ হবে।তবে যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেখানকার জনগণের জন্য শাতিমকে হত্যা করা কখনো উচিৎ হবে না।বরং এই শাতিমের ফাসির জন্য যথাসাধ্য আন্দোলন করতে হবে।বিস্তারিত জানুন-
2689
রাসূল সাঃ কে গালী দেওয়ার শাস্তি শরীয়তে হত্যা করা।যদি এই বিধানকে কেউ অস্বীকার করে,তবে তার ঈমানকে নবায়ন করতে হবে।
শাতিমে রাসূল সাঃ এর শাস্তি হত্যা।এ আইন সরকার করবে।এবং সরকার তার বাস্তবায়ন করবে।
হ্যা সে শহীদ হিসেবে গণ্য হবে।তবে তার জন্য এমনটা করা পরিস্থিতি বিবেচনায় উচিৎ হয়নি।বরং সে অনেক মুসলমানকে অযথা হয়রানিতে ফেলে দেওয়ার শেষফল ভোগ করবে।
ফাক্কাহাল্লাহু আসরাহু এর অর্থ আল্লাহ তার বন্ধিত্বকে মুক্ত করুক।তাকে আযাদ করুক।অথবা তার বন্ধী কোনো আপনজনকে আল্লাহ মুক্ত করুক।