ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/48169 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ويبطل الوطن الأصلي بالوطن الأصلي إذا انتقل عن الأول بأهله وأما إذا لم ينتقل بأهله ولكنه استحدث أهلا ببلدة أخرى فلا يبطل وطنه الأول ويتم فيهما............
......ولو انتقل بأهله ومتاعه إلى بلد وبقي له دور وعقار في الأول قيل: بقي الأول وطنا له وإليه أشار محمد - رحمه الله تعالى - في الكتاب،
ওয়াতানে আসলী, ভিন্ন ওয়াতানে আসলী দ্বারা বাতিল হয়ে যায়।(তথা পরবর্তীতে কোনো স্থানকে ওয়াতানে আসলী বানালে পূর্ববর্তী ওয়াতানে আসলী বাতিল হয়ে যায়)তবে যদি কেউ পূর্ববর্তী বাসস্থান থেকে পরিবারবর্গ কে না সরায়,এবং ভিন্ন শহরে নতুন কোনো পরিবারবর্গকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে(অথবা দ্বিতীয় বাসস্থানে বর্তমান অবস্থানস্থল থাকলেও প্রথমটিকে বিক্রি করে দেয়া হয়নি,বরং মাঝেমধ্যে এখানে আসা হয়)তবে প্রথম বাসস্থান বাতিল হবে না।এ সময় উভয় বাসস্থান-ই ওয়াতানে আসলী হিসেবে গণ্য হবে।এবং উক্ত দুই স্থানেই পূর্ণ নামায পড়া হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২) আরো রয়েছে- (ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ-৫/১৭৬)
ووطن الإقامة يبطل بوطن الإقامة وبإنشاء السفر وبالوطن الأصلي، هكذا في التبيين.
ওয়াতানে ইক্বামাহ ভিন্ন ওয়াতানে ইক্বামাহ বা ওয়াতানে আসলী বা সফর শুরুর মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/১৪২)
আপনি পিতা মাতা তথায় মুক্বিম।সুতরাং বিদেশ আপনার ওয়াতানে আসলী নয়।তাই ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অবস্থানের নিয়ত করলে আপনাকে পূর্ণ নামায পড়তে হবে।অন্যথায় কসর পড়তে হবে।জাযাকাল্লাহ।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনারা স্বামী স্ত্রী উভয়ের বাড়ীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা থাকুক বা নাই থাকুক।আপনাদেরতো সেখানে বাড়ীঘর রয়েছে। ঘরকে-তো ভেঙ্গে দেননি। ঘরকে ভেঙ্গে বা বিক্রয় করে দিয়ে যদি ঢাকাতে যেতেন, তাহলে আপনাদের গ্রামের বাড়ী আপনাদের জন্য ওয়াতানে আসলী থাকতো না।তখন আপনাদের কসর করতে হতো।কিন্তু আপনাদের তো ঘর আছে, তাই আপনারা নিজ নিজ বাড়ীতে মুকিম থাকবেন।
সম্ভবত এই প্রশ্নটি ইতিপূর্বে করেছিলেন। এক প্রশ্নকে দুইবার না করাই যুক্তিসংগত। প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।
(২)
অাপনার জা এর ইনকাম হারাম। তার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করবেন না। যদি গ্রহণ করে নেন, তাহলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।
ফজরের নামায সময়মত পড়া অত্যান্ত জরুরী।বিশেষকরে দায়ীর জন্য জরুরী যে, তিনি নিজের মধ্যে ইসলামকে পুরোপুরি নিয়ে আসবেন।নতুবা এরকম কথা তো হরহামেশাই শুনতে হবে।
দ্বীন বিষয়ে কেউ দাওয়াত দেয়ার পর বিনা যুক্তিতে তার দাওয়াত গ্রহণ করাই কামিল ঈমানদারের পরিচয়। তবে যদি কেউ উল্টো বলে, তাহলে বুঝতে হবে, সে সঠিক রাস্তায় হাটতেছে না। আল্লাহ তার কল্যাণ করুন।
(৩)
তার ইনকাম হারাম নয়। হ্যা, সুদে ধার নেয়ার জন্য তার গোনাহ হবে।