বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এটা দাতার নিয়তের উপর নির্ভরশীল। দাতা যদি এবাহত( খরচ করার দায়িত্ব) করে দেয়,তাহলে ভাড়া বাবৎ যা খরচ হবে না, সেই সম্পূর্ণ টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আর দাতা যদি ভাড়া বাবৎ টাকার মালিক আপনাকে বানিয়ে দেয়, তাহলে আপনি উক্ত টাকার মালিক।ভাড়া বাবৎ খরচ না হলে, সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন।
(২)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।সম্ভব হলে সেই ব্যক্তির নামে সদকাহ করে নিতে হবে।
(৩)
চরিত্র সুন্দরের জন্য প্রথম ও প্রধান কাজ হল, বিয়ে করে নেয়া। তারপর আল্লাহর ভয় অন্তরে সবসময় রাখা।আল্লাহর ভয়কে অন্তরে সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য তাবলীগ জামাতে সময় দিতে পারেন।অথবা নেককার কোনো ব্যক্তি,বা আলেমের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারেন।
(৪)
পিতা-মাতা যদি খারাপ হয় এবং দ্বীন পালনে বাধা দেয় এবং সম্পূর্ণ দুনিয়াবী হয়, তারপরও সন্তান তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করে বরং তাদেরকে বুঝাবে। তাদের সাথে থেকে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি মাতাপিতা সন্তানের উপর জুলুম নির্যাতন করলে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে কোথাও যেতে পারবে। তবে তাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে সাড়া দিতে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।( সূরা লুকমান-১৫)