জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সাকারাত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মৃত্যুযন্ত্রনা। যেটা মৃত্যুর পূর্বে সম্মুখে আসে।
মৃত্যুর পূর্বে প্রত্যেক মানুষের উপর এই অবস্থা জারী হয়।
কিছু সময় সেই অবস্থা প্রকাশিতও হয়।
এবং কাহারো সেই কষ্টের কারনে কপালে ঘামও আসে।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যখন এই হালতের সম্মুখীন হয়েছিলেন,তখন বারবার পানির ভিতর হাত দিয়ে সেটা দিয়ে চেহারা মুছে দিতে ছিলেন।
এবং বারবার বলতেছিলেন
(لا الٰہ الا اللہ أن للموت سکرات
অর্থাৎ কালেমা পড়তে পড়তে তিনি বলছিলেন যে মৃত্যু যন্ত্রণা অনেক কষ্টের।
মৃত্যুর যন্ত্রনা মুমিনের জন্য গুনাহ মাফের কারন হবে,এবং এর দ্বারা তার মর্যাদা উঁচু হবে।
(দারুল উলুম দেওবন্দ এর দারুল ইফতার ৫৬২৮৬ নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য)
یشتد الموت علی الموٴمن بحیث یعرف جبینہ من الشدة لتمحیض ذنوبہ أو لتزید درجتہ (مرقاة المفاتیح: ۴/۸)
মৃত্যুর সময় তার যে কষ্ট মুমিনের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়,যেটা তাদের কপাল দেখলে বুঝা যায়,সেটা গুনাহ মোচনের জন্য,অথবা তার উচ্চ মর্যাদার জন্য।
(وَجَائَتْ سَکْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِکَ مَا کُنْتَ مِنْہُ تَحِیدُ)
(সূরা কাফ ১৯)
মৃত্যুর কষ্ট সত্য,,,,,,,,,,,,
এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়া পড়তে হবে।
“اللّٰھم اعنی
علیٰ سکرات الموت وغمرات الموت۔”
রাসুল সাঃ এই দোয়াই পড়তেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ " . أَوْ " سَكَرَاتِ الْمَوْتِ "
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মুমূর্যু অবস্থায় দেখেছি একটি পানি ভর্তি বাটি তার সামনে রাখা ছিল। তিনি সেই বাটিতে তার হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন এবং পানি দিয়ে তার মুখমণ্ডল মলছিলেন আর বলছিলেনঃ “হে আল্লাহ! মৃত্যুকষ্ট ও মৃত্যুযন্ত্রণা হ্রাসে আমায় সহায়তা করুন।"
(তিরমিজি ৯৭৮ ইবনে মাজাহ ১৬২৩)
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللّهُ عَنْهَا قَالَتْ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَه قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَه فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَه ثُمَّ يَقُولُ: اللّهُمَّ أَعِنِّىْ عَلى مُنْكَرَاتِ الْمَوْتِ أَوْ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি তাঁর মৃত্যুবরণ করার সময় দেখেছি। তাঁর কাছে একটি পানিভরা বাটি ছিল। এ বাটিতে তিনি বারবার হাত ডুবাতেন। তারপর হাত দিয়ে নিজের চেহারা মুছতেন ও বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মৃত্যু যন্ত্রণায় সাহায্য করো।
(আত্ তিরমিযী ৯৭৮, মুখতাসার আশ্ শামায়িল ৩২৪, ইবনু মাজাহ্ ১৬২৩।)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ " . أَوْ " سَكَرَاتِ الْمَوْتِ "
কুতায়বা (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মৃত্যুকাতর অবস্থায় দেখেছি। তাঁর কাছে একটি পানি ভর্তি পেয়ালা ছিল, তিনি সেই পেয়ালাতে তাঁর হাত ঢুকাচ্ছিলেন পরে পানি নিয়ে তাঁর চেহারায় তা মুছছিলেন। অনন্তর বলছিলেন, হে আল্লাহ, মৃত্যু কষ্টে ও মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘবে আমাকে সাহায্য করুন। - ইবনু মাজাহ ১৬২৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৮
,
★★মৃত্যুযন্ত্রণার ভয়াবহতা সম্পর্কে ইমাম গাযালি রহ. বলেন, রুহের কবযের প্রক্রিয়া ব্যক্তির পাঁয়ের দিক থেকে শুরু হয়ে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে পাঁয়ের রুহ, এরপর পাঁয়ের কব্জি বা গোছা, এরপর উরুদেশ, এরপর বক্ষদেশে এসে রুহ আটকে যায়। তখন মানুষের বাকশক্তি লোপ পায়। এরপর রুহ কণ্ঠনালীতে পৌছে যায়। তখন সে ব্যক্তি কোনো কিছু দেখতেও পায় না, শুনতেও পায় না।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ অর্থাৎ সেদিন পাঁয়ের সঙ্গে পাঁ জড়িয়ে যাবে। -সুরা কিয়ামা : ৩০ অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ অর্থাৎ এরপর কেনো নয়? সেদিন প্রাণ কন্ঠাগত হবে। -সুরা ওয়াকিআ : ৮৩ অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, كَلاَّ إِذَا بَلَغَتْ التَّرَاقِيَ ○ وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ ○ وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ ○ অর্থাৎ কখনো নয়, যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে, এবং বলা হবে, ‘কে তোমাকে রক্ষা করবে?’ তখন তার প্রত্যয় হবে যে, এটাই বিদায়ক্ষণ। -সুরা কিয়ামা : ২৬-২৮
মৃত্যুর যাতনা ও কঠোর কথা কুরআনে কারিমের একাধিক স্থানে সবিসত্মারে এসেছে। যেমন কোথাও ইরশাদ হয়েছে, وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلآئِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ অর্থাৎ যদি তুমি দেখতে যখন যালিমগণ মৃত্যুযন্ত্রণায় পড়বে এবং ফিরিশতাগণ হাত বাড়িয়ে বলবে, ‘তোমাদের প্রাণ বের করো’। -সুরা আনআম : ৯৩ অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, فَلَوْلا إِذَا بَلَغَتِ الْحُلْقُومَ অর্থাৎ এরপর কেনো নয়? সেদিন প্রাণ কন্ঠাগত হবে। -সুরা ওয়াকিআ : ৮৩ অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُواْ الْمَلآئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ وَذُوقُواْ عَذَابَ الْحَرِيقِ○ অর্থাৎ তুমি যদি দেখতে পেতে ফিরিশতাগণ কাফেরদের মুখমন্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করে তাদের প্রাণ হরণ করছে এবং বলছে, ‘তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ করো।’ -সুরা আনফাল : ৫০ এ সম্পর্কে রাসুলে আকরাম সা. হতে অসংখ্য হাদিস ও সাহাবায়ে কেরাম হতে বেশ কিছু মুল্যবান বাণী বর্ণিত রয়েছে।
সেগুলো জানতে হলে পাঠকবর্গকে ‘শরহুস সুদুর’ ও ইমাম গাযালি রহ.-এর ‘ইয়াই্ইয়াউল উলুম’ অধ্যয়ন করতে হবে। সেখান থেকে নির্বাচন করে কিছু হাদিস ও বর্ণনা পাঠকবর্গের সামনে তুলে ধরা হলো।
১. ইবনে আবি শাইবা, ইবনে আবিদ দুনিয়া এবং ইমাম আহমদ রহ. হযরত জাবের রা. হতে বর্ণনা করেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, তোমরা বনি ইসরাঈলের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করো। কেননা সেখানে তোমাদের জন্যে অনেক চমকপ্রদ শিক্ষা রয়েছে। এরপর নবি করিম সা. নিজেই সেই জাতির বেশ কিছু ঘটনা বর্ণনা করতে শুরু করলেন, বনি ইসরাঈলের একটি দল একদা একটি কবরস্থানের নিকটে এসে পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো, আমরা দুই রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে মিনতি করবো, তিনি যেনো কবর হতে কোনো একজনকে উঠিয়ে আমাদের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে আমরা তার কাছ থেকে মৃত্যুর অবস্থা জেনে নিতে পারবো। যদি আমরা এ কাজটি করতে পারি তাহলে তা আমাদের জন্যে অনেক উপকারী হবে। এরপর তারা সেরকম সিদ্ধামত্ম নিয়ে দুরাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর দরবারে আরজি জানালো। ইত্যবসরে একজন কালো বর্ণের মুরদা কবর থেকে উঠে আসলো। লোকটির কপালে সেজদার নিশান পড়া ছিলো। সে বললো, তোমরা আমার কাছে কী জানতে চাও? একশ বছর পূর্বে আমার মৃত্যু হয়েছে কিন্তু এখন পর্যমত্ম মৃত্যুর তিক্ত বিভীষিকা আমি ভুলতে পারিনি। তোমরা আমার জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করো, তিনি যেনো আমাকে পূর্বের মতো করে দেন।
২. হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত আছে, রাসুল সা. ইরশাদ করেছেন, মালাকুল মাউতের থাবা এক হাজার তরবারির আঘাত হতেও কঠিন হবে। -শরহুস সুদুর : ২০
৩. হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস রা. হতে বর্ণিত আছে, করাত দিয়ে চিড়লে বা কাঁচি দিয়ে চামড়া ছিললে কিংবা কাউকে তপ্ত পানির পাতিলায় নিক্ষেপ করলেও সে পরিমাণ কষ্ট বোধ হবে না যে পরিমাণ কষ্ট মৃত্যুর সময় বোধ হবে। -ইয়াইইয়াউল উলুম ৩৯৪/৪
৪. হযরত মুসা আ.-এর রুহ যখন আল্লাহ তাআলার দরবারে হাযির করা হয় তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, কি হে মুসা, মৃত্যুযন্ত্রণা কেমন বোধ করলে? উত্তরে তিনি বললেন, একটি জীবমত্ম পাখিকে গরম তপ্ত পানির ডেকচিতে ফেললে যেমন হয় আমার ঠিক তেমন অনুভূতি হয়েছে।
৫. অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, হযরত মুসা আ. আল্লাহর প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোনো কসাই যদি কোনো জীবমত্ম বকরীর চামড়া ছিলে তাহলে ওই বকরীর কাছে যেমন ভীষণ কষ্টকর অনুভূতি হবে আমারও ঠিক সেরকম অনুভূতি হয়েছে।
৬. আরেক বর্ণনায় এসেছে, হযরত মুসা আ. উত্তরে বলেছেন, হে পরওয়ারদেগারে আলম, পশম ও তুলোর মধ্যে অনেকগুলো কাঁটা বিধলে তা তোলার সময় যে ধরণের কষ্ট বোধ হয়, মৃত্যুর স্বাদ অনেকটা সেরকম। -ইয়াইইয়াউল উলুম
৭. তবরানি শরিফে হযরত আবু কতাদা রা. হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, পিপড়ার কামড়ের কারণে যতটুকু কষ্ট বোধ হয় একজন শহিদ মৃত্যুর সময় অনেকটা সেরকম কষ্ট বোধ করবে।
পৃথিবীর সকল প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। এটা আল্লাহর বিধান। মৃত্যুর হাকিকত কী? মৃত্যুকালীন সময় মানুষের কষ্টের তীব্রতা কেমন? এ প্রসঙ্গে আল্লামা ইমাম সুয়ুতী রহ. বলেন, যখন আজরাঈল আ. আসবে তখন ৫০০ ফেরেশতা তাকে চাপ দিয়ে ধরবে। মুমিন হলে ৫০০ রহমতের ফেরেশতা আসবে। আর মৃত্যুর যন্ত্রণা শুরু হবে পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল থেকে। এমনকি তা কণ্ঠনালী পর্যন্ত চলে আসবে।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা বনী ইসরাঈল থেকে ঘটনাবলি বর্ণনা কর। এতে কোনো ক্ষতি নেই। কেননা, তাদের মাঝে বহু বিস্ময়কর ঘটনা আছে। অতঃপর তিনি একটি ঘটনা বলতে শুরু করলেন, নবী ইসরাঈলের কিছু লোক একবার হাঁটতে হাঁটতে এক কবরস্থানে এসে পৌঁছল। তারা তারা তখন বলল, এসো আমরা নামাজ পড়ে আমাদের রবের নিকট দুআ করি। যেন তিনি আমাদের সামনে কোনো মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে দেন। আর সে আমাদের নিকট মৃত্যু সম্পর্কে কিছু বলে। তারপর তারা নামাজ পড়ল এবং দুআ করল। ইতোমধ্যে একটি কবর থেকে এক ব্যক্তি মাথা তুলে বলল, হে লোকেরা! তোমরা কী চাও? নব্বই বছর আগে আমি মৃত্যুবরণ করেছি। এখনো মৃত্যুযন্ত্রণা আমার থেকে দূর হয়ে যায়নি। এখনো আমি তা অনুভব করি। সুতরাং তোমরা আল্লাহর নিকট দুআ কর, যেন আমি (দুনিয়াতে) যে অবস্থায় ছিলাম, সে অবস্থায় তিনি আমাকে ফিরিয়ে নেন। আর সেই ব্যক্তির কপালে সিজদার দাগ ছিল।
হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস রা. বলেছেন, আমার পিতা (আমর বিন আস রা.) প্রায়ই বলতেন, ওই ব্যক্তির সম্পর্কে আমার বড়ই আশ্চর্যবোধ হয়, যার মধ্যে মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পেয়েছে। তার হুশ এবং অনুভূতি বিদ্যমান আছে, বাক শক্তি নষ্ট হয়নি। এতদসত্ত্বেও সে কেন মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা করে না? ঘটনাক্রমে হজরত আমর বিন আস রা. এর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, তখনও তাঁর হুশ, অনুভতি ও বাকশক্তি বিদ্যমান। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আব্বাজান! এ অবস্থায় উপনীত ব্যক্তি মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা না করার ওপর তো আপনি আশ্চর্যবোধ করতেন। আজ আপনি মৃত্যুর অবস্থা কিছু বর্ণনা করুন।
হজরত আমর বিন আস রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তর দিলেন, হে পুত্র! মৃত্যুর অবস্থাতো বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তারপরও আমি কিছু বর্ণনা দিচ্ছি আল্লাহর শপথ! আমার মনে হচ্ছে যে, আমার কাঁধের ওপর পাহাড় রাখা হয়েছে, এবং মনে হয় আমার প্রাণ সুঁচের ছিদ্র দ্বারা বাহির করা হচ্ছে এবং আমার পেট যেন কাঁটায় ভরপুর। আমার মনে হচ্ছে, আসমান-জমিন একত্রে মিশে গেছে। আর আমি ইহার মাঝে পিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।
এ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মর্যাদাসম্পন্ন একজন সাহাবির মৃত্যুকালীন সময়ের অনুভূতি। যা তিনি নিজে অনুভব করেছেন। তার ছেলে হজরত আবদুল্লাহ তা বর্ণনা করেন।
,
★★এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়া বেশি বেশি করে পড়তে হবে।
“اللّٰھم اعنی
علیٰ سکرات الموت وغمرات الموت۔”
রাসুল সাঃ এই দোয়াই পড়তেন।
আল্লাহ তায়ালা সকলকে হেফাজত করুন।
আমিন।