আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
এই কুরবানির ঈদে ১.৫ বছরের ভাতিজার আকীকা দিবো বলে নিয়ত করে রাখা হয়েছিলো আগে থেকেই। কিন্তু হঠাৎ আমার আব্বুর অসুস্থতার জন্য কিছু টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এখন ঋণগ্রস্থ অবস্থায় কি আকীকা দেওয়া যাবে নিয়ত পুর্ন করার জন্য??? আর দিতে পারলেও কি সাথে কুরবানির জন্যও ভাগ দিতে হবে নাকি শুধু আকীকা ই দিবে, যেহেতু কুরবানির সময় আকীকা দেওয়ার নিয়ত করা হয়েছে।। জাজাকিল্লাহ খাইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8874 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আকিকা শুধুমাত্র সন্তান জন্মের পরই করা সুন্নত।
সন্তান জন্মের পর আকিকা করা সুন্নত(সুন্নতে যায়েদা)।আকিকা করলে সওয়াব হবে,তবে ছেড়ে দিলে কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে
العقيقة عن الغلام وعن الجارية وهي ذبح شاة في سابع الولادة وضيافة الناس وحلق شعره مباحة لا سنة ولا واجبة كذا في الوجيز للكردري.
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তান উভয়ের পক্ষ্য থেকে সপ্তম দিনে আকিকা করা হবে এবং যিয়াফত করানো হবে ও চুল মুন্ডানো হবে।এটা মুবাহ তথা সুন্নতে যায়েদা।সুন্নতে মু'আক্বাদা বা ওয়াজিব নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৬২)

ছেলের পক্ষ্য থেকে একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করলেও তা যথেষ্ট হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৫৩৫)জানুন-https://www.ifatwa.info/1755

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আকিকা সুন্নত। আর কুরবানি ওয়াজিব আকিকা তরক করলে কোনো গোনাহ হবে না।তবে কুরবানি তরক করলে অবশ্যই গোনাহ হবে। কুরবানির দিন আকিকার নিয়ত করলেও যেকোনো দিন আকিকা করা যাবো। সুতরাং আপনার প্রয়োজন অতিরিক্ত ৫২.৫ হাজার টাকা মূল্যর জিনিষপত্র জায়গা জমি থাকলে, কিংবা নগদ অর্থ থাকলে, আপনাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব। একই পশুতে কুরবানির সাথে আকিকা করা যাবে কি না? এ সম্পর্কে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে, সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত হল, পৃথক পৃথক পশু দ্বারা কুরবানি ও আকিকা করা। ঋণগ্রস্ত অবস্থায়ও আকিকা করা যাবে। এমন ঋণ যা হরহামেশা লোকজন দেয় ও নেয়, এমন হলে উক্ত ঋণ কুরবানি ওয়াজিব হওয়াকে বাধা দিবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
0 votes
1 answer 129 views
...