بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কিছু সাহাবী থেকে খাচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত
রয়েছে। হযরত হিশাম ইবনে উরওয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ ابْنُ
الزّبَيْرِ بِمَكّةَ وَأَصْحَابُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ
يَحْمِلُونَ الطّيْرَ فِي الْأَقْفَاصِ.
আবদুল্লাহ
ইবনে যুবায়ের রা. মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবীগণ খাচায় পাখি রাখতেন। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৩৮৩)
অন্য এক
হাদীসে রয়েছে-
عن أَنَسٍ:
قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحْسَنَ النَّاسِ
خُلُقًا وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْر، وقال أحبه فَطِيمٌ وَكَانَ
إِذَا جَاءَ قَالَ: يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغيْرُ نُغَرٌ كَانَ
يَلْعَبُ بِهِ
আনাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত
নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবার চেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল; তাকে আবূ
‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না।
যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র!
তোমার নুগায়র কি করছে? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।
(বুখারী হাদীস নং ৬২০৩; মুসলিম ,২১৫০)
হযরত আবূ
হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন-
قَالُوا: يَا
رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: «فِي كُلِّ
كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হে আল্লাহর
রাসূল! জীব জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক
দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। {বুখারী, হাদীস নং-২৩৬৩}
পোষ্য প্রাণীকে
নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে।
হযরত ইবনে
উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر
رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في
هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى
ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের
কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও
দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা
মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)(শেষ)
বিড়াল
ও পাখিকে নিয়মিত খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে
সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে লালন-পালন করা জায়েয।কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা
করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় বা
বাড়ীতে আটকে রাখা জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার ৬/৪০১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১.
জ্বী অন্যকে বিড়াল লালন পালনের জন্য দেওয়া জায়েয আছে।
২. যদি
জায়নামাজে বিড়ালের মুখে লেগে থাকা নাপাকীর কোন অংশ লেগে থাকে তাহলে তা নাপাক হবে
অন্যথায় জায়নামায নাপাক হবে না। কারণ, বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী। সুতরাং বিড়ালের শরীরে
প্রকাশ্য কোন নাপাকী লেগে থাকলে তা নাপাক, অন্যথায় নাপাক নয়।