আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের ঘরে মাঝে মধ্যে বিড়াল ঢুকে যায়। ঢুকে গেলে আমরা বিড়ালগুলোকে তাড়িয়ে দিই ঘর থেকে। বিড়াল পবিত্র প্রাণী,  বিড়ালকে কষ্ট দেওয়ায় এক নারী জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। তাই বিড়াল তাড়িয়ে দেওয়ায় কি আমাদের কোন পাপ হবে?

2. আমি মহরমের রোজা রেখেছি, ওযু করার সময় নাক ধুতে গিয়ে নাক দিয়ে পানি টান দেয়ায় পানি নাক দিয়ে ঢুকে মাথার পেছনদিকে চলে গিয়েছে ভুলবশত। আমার কি রোজা ঠিক আছে নাকি নাক দিয়ে পানি টান দেয়ায় রোজা ভেঙে গিয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4980 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে। 
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিজে কোনো বিড়াল লালন পালন করে বেঁধে রাখলে এবং খাবার না দিলে গোনাহ হবে।যার জন্য কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তবে যদি বাহির থেকে কোনো বিড়াল আসে, এবং সেটাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়,তাহলে এই তাড়ানোর জন্য হাদীসে বর্ণিত শাস্তি প্রযোজ্য হবে না।

হ্যা, এটা অবশ্যই উত্তম ও সওয়াবের কাজ যে, সামর্থ্য থাকলে যেকোনো প্রাণীকে খাবার দেওয়া।


(২)
জ্বী, আপনার রোযা ফাসিদ হয়ে গেছে।আপনি একটি রোযা কাযা করে নেবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...