বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রাণীদের বন্দী করে লালন পালন করা ও পোষা জায়েয রয়েছে। শুকুর এবং কয়েক শ্রেণীর কুকুর ব্যতীত কুকুর লালন পালন করা নাজায়েয ও হারাম।তাছাড়া অন্যান্য প্রাণীকে পোষা ও লালন পালন করার সাধারণ বিধান হল,বৈধতা।
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ الله عَنْه قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا ، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ : ( يَا أَبَا عُمَيْرٍ ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ؟ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ )
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)
প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4980
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু কাউকে টকানোর আপনার নিয়ত নয়, কারো সাথে প্রতারণা উদ্দেশ্য নয়, তাই আপনি কবুতর বিক্রি করতে পারবেন।হ্যা, বিক্রির পূর্বে আপনি সতর্কতামূলক একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিক্রয় করবেন।যাতেকরে কেউ প্রতারিত না হয়। কেউ ক্রয় করার পর অসুস্থতার অভিযোগ তুললে, সেটাকেও আ'মলে নিয়ে দেখবেন যে, এই অসুস্থতা কখন এসেছিলো? যদি দেখেন, বিক্রয়ের পূর্ব থেকেই অসুস্থতার ভাব ছিল, তাহলে চিকিৎসা সেবা আপনি গ্রহণ করবেন।