আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
প্রশ্ন:

১. বাজরিগার পাখির খামার করে তা বিক্রি করা কি জায়েজ?

প্রশ্ন:

২.বাজরিগার পাখি মানুষ সখ করে পুষে থাকে । সকল প্রাণীরই বিভিন্ন ধরনের অসুখ বা রোগ হয়ে থাকে । বাজরিগার পাখিরও অনেক ধরনের অসুখ বা রোগ হয়ে থাকে । অনেক সময় পাখিকে দেখে বুঝা যায় না যে সেটার কোনো অসুখ আছে কি না ।

অনেক সময় পাখি দেখে মনে হয় সুস্থ কিন্তু হয়তো ভেতরে কোনো অসুখ আছে যা বাহির থেকে দেখে বুঝা যায় না । যখন এক ঘরের মধ্যে অনেক পাখি একসাথে ছেড়ে পোষা হয় খামারের মত করে তখন কোন পাখি সুস্থ আর কোন পাখি অসুস্থ তা বুঝা অনেকসময় আরও কঠিন হয়ে যায় ।

প্রশ্ন হলো , এই সকল পাখি যেহেতু বিক্রি করা হয় । অনেক মানুষ কিনেও থাকে পোষার জন্য । এখন কারো কাছে পাখি বিক্রি করার পর দেখা গেল যে সেটা অসুস্থ । কিন্তু বিক্রেতা জানত না যে সেটা অসুস্থ। তাহলে কি সেটা প্রতারণা করা হবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রাণীদের বন্দী করে লালন পালন করা ও পোষা জায়েয রয়েছে। শুকুর এবং কয়েক শ্রেণীর কুকুর ব্যতীত  কুকুর লালন পালন করা নাজায়েয ও হারাম।তাছাড়া অন্যান্য প্রাণীকে পোষা ও লালন পালন করার সাধারণ বিধান হল,বৈধতা।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ الله عَنْه قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا ، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ : ( يَا أَبَا عُمَيْرٍ ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ؟ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ )
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4980

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু কাউকে টকানোর আপনার নিয়ত নয়, কারো সাথে প্রতারণা উদ্দেশ্য নয়, তাই আপনি কবুতর বিক্রি করতে পারবেন।হ্যা, বিক্রির পূর্বে আপনি সতর্কতামূলক একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বিক্রয় করবেন।যাতেকরে কেউ প্রতারিত না হয়। কেউ ক্রয় করার পর অসুস্থতার অভিযোগ তুললে, সেটাকেও আ'মলে নিয়ে দেখবেন যে, এই অসুস্থতা কখন এসেছিলো? যদি দেখেন, বিক্রয়ের পূর্ব থেকেই অসুস্থতার ভাব ছিল, তাহলে চিকিৎসা সেবা আপনি গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...