ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ভালবাসার শিরক বলতে ইসলামে কিছু নেই। 'ভালবাসার শিরক' নামটি আমরা ইতিপূর্বে কখনো শুনিনি।
কবিরা গোনাহ করলে বান্দা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না।এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা বিশ্বাস।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2260
সুতরাং ফজরের নামায পরিত্যাগ করার কারণে অবশ্যই গোনাহ হবে।তবে এজন্য কেউ কাফির হবে না।
(২)
https://www.ifatwa.info/673 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রচলিত ফুটবল বা ক্রিকেট খেলার বা খেলা দেখার কোনো অনুমোদন নাই।কেননা এগুলো আল্লাহর যিকির থেকে বান্দাকে গাফিল করে দেয়।
খেলা দেখা গোনাহ। নামায পড়া সওয়াবের বিষয়। তবে খেলা দেখার কারণে শিরক হবে না।
(৩)
সে যদি নামাযের তুলনায় খেলাকে দামী বস্তু মনে করে, এবং এজন্য সে নামাযের কোনো তোয়াক্কা না করে বরং খেলার প্রতি মনোযোগী হয়, তাহলে তার ঈমান থাকবে না। কেননা সে নামাযকে অবহেলা করেছে।
(৪)
আপনার শিরক হবে না।