আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
edited by
ক)ধরুন কেউ চায়,আল্লাহ তার প্রতি খুশি থাকুক।এটা তার লক্ষ্য।

আবার সে চাই আব্বু,আম্মু,গার্লফ্রেন্ড এরাও তার প্রতি খুশি থাক।এটা ও

তার লক্ষ্য। মাঝে মধ্যে এদের কে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে যায়।

আল্লাহ কে খুশি করতে দুনিয়াবি ত্যাগ স্বীকার করতে চায় না।এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??

খ) কেউ পরীক্ষা দিচ্ছিল। তখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হলো যে যদি সে পরিক্ষায় ফেল করে গার্লফ্রেন্ড কে অসন্তুষ্ট না করে তবে শিরক হবে।কিন্তু তারপরেও সে পরিক্ষা দেওয়া বন্ধ না করে চালিয়ে গেল।

পরিক্ষা শেষ এ সে আল্লাহর কাছে তাওবা করল।

এরপর সে খুশি ছিল যে তাকে পরিক্ষা মিস দেওয়া লাগে নি।গার্লফ্রেন্ড রাগ করবে না।

শিরক হলেও সে পরিক্ষা দিতে পেরেছে।

তবে হ্যা,সে সবচেয়ে বেশি খুশি হত যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হত যে পরিক্ষা দিলে শিরক হবে।

এখন সে খুশি দুই কারনে।

১)পরিক্ষা দিতে পারছে।গার্লফ্রেন্ড কে রাখতে পারছে।

২)শিরক হলেও তাওবা করলে আল্লাহ মাফ করেন।আর সে তাওবা করছে।

এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??

এই তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়?

সে কি পরাশুনা চালিয়ে যেতে পারবে?

গ)যখন এমন কোন ভাবে শিরক হয় যে, শুধু তাওবা করলেই চলবে না,সাথে দুনিয়াবি ত্যাগও স্বীকার করতে হবে বা পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট করতে হবে তখন  খুব মন খারাপ লাগে।তখন তাওবা করি আর সেই কাজ বাদ দেই।কিন্তু এটা কনিয়ে  আমি খুব সিরিয়াস থাকি।সবসময় সচেতন থাকি আর চেষ্টা করি যাতে এরকম অবস্থায় পরতে না হয়।আর এরকম অবস্থায় পরে গেলে আমি কষ্টে আতকে উঠি।সবসময় চাই যেন এরকম অবস্থায় না পরি।
আর যখন এমন কোন ভাবে শিরক হয় যে শুধু তাওবা করলেই চলবে, দুনিয়াবি কোন স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে না,পছন্দের মানুষকে অসন্তুষ্ট করা লাগবে না , তখন খুশি লাগে।যদিও আমি তাওবা করি তবে আগের ধরনের শিরক এর মত এত সচেতন থাকি না।

আমি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হব?

ঘ)সেদিন হঠা্ত মনে হইল যে যদি আল্লাহ কোন দিন এমন পরিক্ষায় ফেলেন যে আম্মুকে খুন না করলে শিরক হবে, তখন আমি কি করব?

নিজের মন কে বললাম যদি আল্লাহ কখনো এমন অবস্থায় ফেলেই দেন,তবে অবশ্যই শিরক করব না,আম্মুকেই খুন করব,ইন শা আল্লাহ।

কিন্তু,আম্মুকে খুন করার পর আমার মন খুব খারাপ লাগবে হয়ত।

তখন কার কথা ভেবে আমার মন খুব খারাপ লাগতে শুরু করল।

আমআমার মনে খুব ইচ্ছা হচ্ছিল আল্লাহ যেন কখনো আমাকে এই পরিক্ষায় না ফেলেন।আমি এটা আল্লাহর কাছে দুয়াও করেছি যেন তিনি আমাকে এ অবস্থায় না ফেলেন।

এতে কি শিরক হবে??


ঙ)যদি আমি পরাশুনা না করে শুধু দুয়া করি আল্লাহর কাছে যেন সে আমাকে বুয়েটে চান্স পাওয়ায় দেয়,তবে কি বোকামিহবে???

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
কেউ চায়,আল্লাহ তার প্রতি খুশি থাকুক।এটা তার লক্ষ্য।
আবার সে চাই আব্বু,আম্মু,গার্লফ্রেন্ড এরাও তার প্রতি খুশি থাক।এটা ও তার লক্ষ্য। মাঝে মধ্যে এদের কে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে যায়।

আল্লাহ কে খুশি করতে দুনিয়াবি ত্যাগ স্বীকার করতে চায় না।এই ব্যাক্তি যদিও মুশরিক হবে না।তবে তার ঈমান নিতান্তই দুর্বল।

গার্ল ফ্রেন্ড হারাম।গার্ল ফ্রেন্ড রাখাকে যদি কেউ হালাল মনে করে,তাহলে তার ঈমান থাকবে না।

(খ)
মুশরিক হবে না।তবে গার্ল ফ্রেন্ড রাখাবে হালাল মনে করলে তার ঈমান থাকবে না।

(গ)
গার্ল ফ্রেন্ড রাখা হারাম।অবৈধ প্রেম ভালবাসা হারাম।
প্রশ্নের বিবর্রনমতে কেউ মুশরিক হবে না।তবে তার ঈমান চুড়ান্ত পর্যায়ের দুর্বল।

(ঘ)
আপনি এই প্রশ্নটি আরো অনেকবার করেছেন। পূর্বে যে জবাব দেয়া হয়েছে, এখনো সেই জবাব।

(ঙ)
এইসব প্রশ্ন পরিহার করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়ুন, তাবলীগে তিন চিল্লা সময় লাগান।দ্বীনদার কোনো মানুষের সাথে সম্পর্ক গ্রহণ করুন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...