আসসালামু আলাইকুম।
(১) //শরীয়াহ মোতাবেক বিচার কার্য পরিচালনা হয় না ঠিকই,তবে আল্লাহর দেওয়া অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো ফরজ বিধানের বিরুদ্ধে কিছু হয়নি।//
"শরীয়াহ মোতাবেক বিচারকার্য পরিচালনা না করে মানবরচিত বিধান দিয়ে ফয়সালা করলে আল্লাহর দেওয়া অকাট্য কোনো বিধান লঙ্ঘন হয় না" এমন একটা নস দেখান।
কিংবা এই বিষয় যা কিনা কোনো ইমামের মাঝে ইখতিলাফ আছে এমন কিছু দলীল দিন।
(২)//কিছু স্কুল,কলেজ থেকে পর্দার ফরজ বিধান উঠিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষার হলে পুরুষ শিক্ষকরা জোর করে নিকাব খুলাচ্ছে মহিলা থাকা স্বত্বেও। এগুলো শরীয়তবিরোধী অবশ্যই।
তবে সেটার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী।
এক্ষেত্রে সরকার তো কোনো পর্দার বিধান বিরোধী কোনো আইন করেনি //
সরকারের আইন হলো যেসব আইন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এর বাইরে যতটুকু যাবে ততটুকুই বাতিল,সংবিধানের শুরুতেই আছে।
এখন আইন তৈরির এই মূলনীতি "ইসলামি পদ্ধতি " কিনা তার স্বপক্ষে দলীল উপস্থাপন করুন।এটাই মূখ্য, পর্দা সহ আরো যা কিছু আছে সেসব আইনের বেসিক রুলস ই এটা,এটার মাপকাঠিতে সব আইন তৈরি করা হয়।এই পদ্ধতি জায়েজ হলে বাকি সব ও জায়েজ। দালিলিক প্রমাণ দিন।
(৩) রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহী (রহঃ) ও শাহ মুহাদ্দেসি আজিজ দেহলভী (রহঃ) ;যাদের থেকেই উপমহাদেশে দ্বীনের মেহনত শুরু হয়েছে, তাদের দ্বারা এই হিন্দুস্থান দারুল হারব ফতোয়া দেয়ার পর আজ পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যাতে করে সে ফতোয়া পরিবর্তন হয়েছে?
জানিয়ে উপকৃত করবেন।
আর আমরা কী জমহুর উলামায়ে কেরাম এর অনুসরণ করব না?
ইমাম জাসসাস (রহঃ) ইমাম আবু হানিফার মতকে তার যুগের সাথে সাব্যস্ত করে সাহিবাইনের মত কে প্রাধান্য দেন।
ইমাম শাফেয়ি,ইমাম মালেক,ইমাম আহমদ,ইমাম মুহাম্মদ,ইমাম ইউসুফ সহ জমহুর উলামায়ে কেরাম এর মত কেই উলামায়ে কেরাম প্রাধান্য দেন।
বর্তমানে মুসলমানরা,আলেম ওলামারা নিরাপদে আছে কিনা তা পারিপার্শ্বিক খবর রাখে এমন কারো অজানা হওয়ার কথা না।
ইমাম আবু হানিফার মতেই বাংলাদেশে কাফিররা আতঙ্কিত কিনা আর মুসলমানরা নিরাপত্তায় আছে কিনা তা যে কেউ ই বুঝবে।
খিলাফতের সময় যে নিরাপত্তায় ছিলো মুসলমান, আর এখন কেমন নিরাপত্তায় আছে তা বুঝতে খুব কসরত করতে হয় না।আর চারপাশে তো অন্যান্য কুফরি রাষ্ট্র আছেই।
*উম্মাহর কোনো ফকীহ কী "দারুল আমান" নামক নতুন কোনো দারের প্রবক্তা ছিলেন??নাকি এই "দারুল আমান" কে দারুল হারবেরই একটা অবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন?
আরও প্রশ্ন এসে যায়, যে ইমাম আবু হানিফার রেওয়াত এ "দারুল আমান" বলা হচ্ছে তিনি স্বয়ং কোথাও মুসলমানদের আমান ও কাফেরদের খওফ থাকলে এবং কুফরি শাসন ব্যাবস্থা থাকলে সেটাকে কোন দার বলেছেন? ?
নাকি তিনিও এই দুই দার এর কথাই বলেছেন? হয় দারল ইসলাম, নচেৎ দারুল হারব।
দলীল সহ উত্তর আশা করি।
**আর জিহাদ ফরজে আইন হওয়ার জন্য কী কী শর্ত রয়েছে? সব গুলোর হাওয়ালা দিলে ভালো হয়।আর গত মুসলিম উম্মাহের যত্তগুলো অঞ্চল হাত ছাড়া হয়ে কাফেরদের হাতে আজ অবধি রয়েছে সেসব অঞ্চলের জন্য আমাদের উপর ফিকহের আলোকে কি দায়িত্ব বর্তায়?
শুধু কাশ্মীর বাদ দিয়ে আরাকান,হিন্দ,স্পেন,সিরিয়া,ফিলিস্তিন, ইরাক এসব অঞ্চলের অবস্থার জন্য আমাদের কী করনীয় আছে কিছু???