بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কুরবানির
পশু যদি গরু কিংবা উট বা মহিষ হয় তাহলে তাতে কয়েকজন শরীক হয়ে কুরবানি দিতে পারবে। তবে
বকরিতে অন্য কেউ শরীক হতে পারবে না। একটি উট বা গরু মহিষে সাতজন পর্যন্ত শরীক হওয়া যায়। সাহাবায়ে
কেরাম হাদী-তে শরীক হয়েছিলেন।
হযরত জাবের
রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رضي الله عنهما قَالَ : نَحَرْنَا مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ
عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ-
وفي رواية : عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : حَجَجْنَا مَعَ
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ
سَبْعَةٍ ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ .
তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর (৬ষ্ঠ হিজরী) আমরা রসূলুল্লাহ
সাঃ এর সাথে প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং প্রতি সাতজনের পক্ষ থেকে একটি গরু
কুরবানী করেছি। (সহীহ মুসলিম-১৩১৮)
হযরত জাবের
রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : (الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْجَزُورُ - أي :
البعير - عَنْ سَبْعَةٍ )
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, গরু সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট
হবে। এবং উট ও সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে। (সুনানু আবি-দাউদ-২৮০৮)
ইমাম নববী
রাহ বলেন
قال النووي في "شرح مسلم فِي
هَذِهِ الأَحَادِيث دَلالَة لِجَوَازِ الِاشْتِرَاك فِي الْهَدْي , وَأَجْمَعُوا
عَلَى أَنَّ الشَّاة لا يَجُوز الاشْتِرَاك فِيهَا ":
এই সমস্ত
হাদীস শরীর হয়ে কুরবানি জায়েয হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে।এবং ফুকাহায়ে কেরাম একমত যে,বকরীতে শরীকানা জায়েয হবে না।
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا
ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃ যদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন
খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য
শরীক (যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন) তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া
হিন্দিয়া;৫/৩০৪)
★শরীকানা কুরবানীর ছুরতে শরীক
নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কারন শরীয়তের
মাসয়ালা এক্ষেত্রে অনেক কঠোরঃ
যদি কেউ
আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী
করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে
না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস
সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, ৪. শরীকদের কারো পুরো বা অধিকাংশ উপার্জন যদি হারাম হয় তাহলে কারো কুরবানী সহীহ
হবে না। সুতরাং শরীক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই
দ্বীনদার ব্যাক্তি খুজতে হবে। যাতে আপনার কুরবানীর
কোনো সমস্যা না হয়। কোনো ব্যাক্তি যদি বেনামাজি হয়, তবে তার কুরবানীর
অংশের টাকা হালাল উপার্জিত টাকা হয়ে থাকে, এবং তার নিয়তও ছহিহ
হয়, তাহলে তার সাথে কুরবানী দেওয়া বৈধ হবে। তবে শরীক হিসেবে সতর্কতা
মূলক দ্বীনদার ব্যাক্তি নির্বাচন করাই উত্তম ।
২. নিয়ত
সহিহ থাকলে গরুতে শরীক হয়ে কুরবানী করলে কোন অসুবিধা নেই।
৩. যদি
কারো সামর্থ থাকে তাহলে দ্বীনদার যোগ্য ব্যক্তির সাথে শরীকে কুরবানী দেওয়াতে কোন
সমস্যা নেই। তবে যদি কোন শরীকানা ব্যাক্তির নিয়ত, টাকা বা আক্বীদায় ত্রুটি থাকার
সম্ভাবনা থাকে, তাহলে শরীকানা কুরবানীর চেয়ে একাকী ছাগল কুরবানী করাই উত্তম হবে।