আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
ক)ধরুন কেউ চায়,আল্লাহ তার প্রতি খুশি থাকুক।এটা তার লক্ষ্য।
আবার সে চাই আব্বু,আম্মু,গার্লফ্রেন্ড এরাও তার প্রতি খুশি থাক।এটা ও

 তার লক্ষ্য। মাঝে মধ্যে এদের কে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে যায়।

আল্লাহ কে খুশি করতে দুনিয়াবি ত্যাগ স্বীকার করতে চায় না।এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??

খ) কেউ পরীক্ষা দিচ্ছিল। তখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হলো যে যদি সে পরিক্ষায় ফেল করে  গার্লফ্রেন্ড কে অসন্তুষ্ট না করে তবে শিরক হবে।কিন্তু তারপরেও সে পরিক্ষা দেওয়া বন্ধ না করে চালিয়ে গেল।

পরিক্ষা শেষ এ সে আল্লাহর কাছে তাওবা করল।

এরপর সে খুশি ছিল যে তাকে পরিক্ষা মিস দেওয়া লাগে নি।গার্লফ্রেন্ড  রাগ করবে না।

শিরক হলেও সে পরিক্ষা দিতে পেরেছে।

তবে হ্যা,সে সবচেয়ে বেশি খুশি হত যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি না হত যে পরিক্ষা দিলে শিরক হবে।

এখন সে খুশি দুই কারনে।

১)পরিক্ষা দিতে পারছে।গার্লফ্রেন্ড কে রাখতে পারছে।

২)শিরক হলেও তাওবা করলে আল্লাহ মাফ করেন।আর সে তাওবা করছে।

এই ব্যাক্তি কি মুশরিক হিসেবে গন্য হবে??

এই তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায়?

সে কি পরাশুনা চালিয়ে যেতে পারবে??

গ)সেদিন হঠা্ত মনে হইল যে যদি আল্লাহ কোন দিন এমন পরিক্ষায় ফেলেন যে আম্মুকে খুন না করলে শিরক হবে, তখন আমি কি করব?

নিজের মন কে বললাম যদি আল্লাহ কখনো এমন অবস্থায় ফেলেই দেন,তবে অবশ্যই শিরক করব না,আম্মুকেই খুন করব,ইন শা আল্লাহ।

কিন্তু,আম্মুকে খুন করার পর আমার মন খুব খারাপ লাগবে হয়ত।

তখন কার কথা ভেবে আমার মন খুব খারাপ লাগতে শুরু করল।

এতে কি শিরক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!https://www.ifatwa.info/48225 এই প্রশ্নোত্তরেও বলেছি, এবং আবারও বলছি, আপনার বর্ণিত বিষয়ের দ্বারা কোনো শিরক হবে না। আপনি এ নিয়ে আর চিন্তা করবেন না।বরং নিজ আ'মলী যিন্দেগীকে উত্তম বানানোর চেষ্টা করুন। তাবলীগে তিন চিল্লা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আপনাকে শেফা করুক। প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...