আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম।
আমার প্রথম প্রশ্ন হল জান্নাতে কি গাইরে মাহরামদের সাথে পর্দা করতে হবে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, স্ত্রীর মুখে লোকমা তুলে দিলে একটি উমরাহ হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায় - এটা কি হাদীস?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

জান্নাত এমন একটি স্থান যার সাথে দুনিয়ার কোন কিছুরই তুলনা হয় না। দুনিয়া দিয়ে আখেরাত কল্পনা করার শক্তিও আমাদের নেই। দুনিয়ার অনুভূতি, আবেগ, মানসিকতা ইত্যাদি দিয়ে আখেরাতের পরিবেশ পরিস্থিতি চিত্রিত করার মত মেধা ও ক্ষমতা আমাদের নেই।

জান্নাত কেমন? এ হাদীসটিই যথেষ্ঠ তা বুঝার জন্যঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللَّهُ «أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ»

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার, ‘‘কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ শীতলকারী কী জিনিস লুকানো আছে’’-(আসসাজদাহঃ  ১৩) [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৪৪]

যেহেতু জান্নাত অচিন্তনীয় একটি স্থান। যার ব্যাপারে আমরা অনুমান করে কিছুই বলার ক্ষমতা রাখি না। তাই এর ব্যাপারে ধারণা করে কোন মন্তব্য করা কিছুতেই সমীচিন হবে না। নারীরা সেখানেও পর পুরুষ থেকে পর্দা করবে কি না? এ বিষয়ে কুরআন বা হাদীসে  স্পষ্ট কোন নিদের্শনা আসেনি। তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর এসব অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকাই প্রকৃত মুমিনের কাজ।

পর্দা এটি শুধু শরীয়তের বিধানই নয়। বরং অভিজাত ও ভদ্র পরিবারের ভুষণও। পর পুরুষের দৃষ্টিবাণ থেকে নিজের সৌন্দর্যকে হিফাযত করা প্রতিটি ভদ্র এবং সভ্য পরিবারের সৌন্দর্যতার অন্তর্ভূক্ত।

এ কারণেই এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছেঃ

فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ [٥٥:٥٦]

 

তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি। [সূরা আর রহমান-৫৫]

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১.বিভিন্ন আয়াত ও হাদীস থেকে ইংগিত পাওয়া যায় যে, জান্নাতী রমণীগণ হবেন আনতনয়না। অর্থাৎ তারা চোখ তুলে বেগানা পুরুষের দিকে তাকাবে না। অনুরুপ ভাবে হাদিসে জান্নাতী নারীদের মাথার ওড়নার কথা বলা হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় জান্নাতী নারীরা পর্দা করবে। তবে বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

২. স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত। আয়েশা (রাঃ) হাড় যুক্ত গোশত খাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) আয়েশা রাঃ এর খাওয়া হাড় চুষে খেতেন। (মুসলিমঃ৫৭৯)

স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়া সুন্নাত। স্ত্রীকে খাবার খাইয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে কবুল হয়, এবং তার প্রতিদান রয়েছে। (আবু দাঊদঃ২৮৬৪)

অত্র হাদীসগুলি থেকে বুঝা যায় যে, স্ত্রীর মুখের খাবার খাওয়া সুন্নাত। তবে স্ত্রীর মুখে লোকমা তুলে দিলে একটি উমরাহ হজ্জের সওয়াব পাওয়া যায়” এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন হাদীস পাওয়া যায় না।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...