আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (81 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

https://ifatwa.info/48103/
শায়খ এই ফতোয়ায় আপনি বলেছেন বিয়ে করতে সতর্কতা মূলক।তালাক হবে না তবু সতর্কতার জন্য। নির্জনে দেখা করার আগে।

১।কিন্তুু শায়খ এই ঈলা বিষয়ে স্বামী জানে না।আগে কেনায়া বাক্য নিয়ে নিয়ত জিগ্যেস করতে  থাকায়,ওর স্বামী রেগে গিয়েছিল আর বলেছিল এই বিষয়ে কোন কথা না বলতে।তবু সে তখন অনেক বলে কয়ে রাজি করিয়েছিল অন্তত  নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে হলেও বিয়ে করতে আবার।স্বামীকে এই বিষয়ে আবার বললে রেগে যাবে মনে হচ্ছে ওর।কারন ওকে এই ধরনের কোন কথা না বলতে বলছিল রেগে গিয়ে।ও তবু স্বামীকে বলে কয়ে রাজি করছে আবার বিয়েটা পরানোর জন্য যখন নামিয়ে নিয়ে যাবে তখন মানে আগে ।ওর মনে হচ্ছে স্বামীকে এই কথা আবার বললে রেগে যাবে আর এখন করবেও না।তহ এখন দেখা সাক্ষাত বা নির্জনে দেখা করলে কি গুণাহ হবে?ওই মেয়েটা খুব ভয়ে আছে।খুব টেনশনে পরে গেছে কি করবে সেটা ভেবে।স্বামীকে বলবে কিনা বললে যদি রেগে যায় এসব নিয়ে।আর গুণাহ হবে কিনা এতদিন দেখা করলে সেটা ভেবে সে খুব চিন্তায়। ওর স্বামীকে ও রাজি করিয়েছিল আগে যখন নামিয়ে নিয়ে যাবে তখন বিয়ে পরানোর জন্য।শায়খ যদি একটু বলতেন অনেক উপকার হত।দয়া করে একটু বলিয়েন।

২।https://ifatwa.info/48103/ এর ৩ নং প্রশ্নে সেটা আপনি বলেছেন তালাক চাওয়া বুঝাবে না।ধরেন এর পর স্বামী যদি কস্ট পেয়ে বলে  ঠিক আছে বা ঠিক আছে আটকাব না তুমার ভাল না লাগলে বা ইচ্ছে হলে হলে যাও।আর মা বাবার পছন্দমত করিও বিয়ে।আমার সাথে সারাজীবন কস্টে থাকবে, আমি বেশি খারাপ ইত্যাদি। এসব কথা যদি মেসেজে হয় আর স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে কি তালাক হবে? এটা আসলে জানার জন্য করেছি প্রশ্নটা।

৩।কোন স্ত্রী যদি রাগ করে বলে যাও কর গা মেয়ে ওটাকে বিয়ে।বেশি ভাল লাগে না? যাও আমাকে লাগবে না তুমার।আবার যদি বলে চলে যাচ্ছি থাক ওকে নিয়ে।স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলে এসব কথায় কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾

আর যদি তারা তালাক দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারা ২২৭)

প্রশ্নের বিবরণ মতে স্বামীর ইচ্ছা সত্ত্বেও, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের কারনে যেহেতু সে চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর নিকট গমন করতে পারেনি,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই চার মাসের মধ্যে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে স্বামী সূলভ মৌখিক আচরণ করে থাকে,যেটি সেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা,বরং তাকে আগের সেই শপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে এমন বুঝায় বা তার কাছে গমন করবে এমন ইচ্ছা বুঝায়,তাহলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর নিকট গমনের প্রবল ইচ্ছা থাকায় লকডাউনের ফলে যেতে না পারায় প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
,
শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

ولو عجز عن الفئي بالوطي لمرض باحدهما أو صغرها أو رتقها أو لمسيرة  أربعة أشهر بينهما ففئيوه قوله فئت إليها فلا تطلق بعده لو مضت مدته وهو عاجز فإن صح قبل مدته ففئيوه بوطيه.

সারমর্মঃ-
যদি সহবাসের দ্বারা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে অপারগ হয়,চাই এই অপারগতা স্বামী স্ত্রীর কাহারো অসুস্থতার কারনে হোক বা স্ত্রীর অল্প বয়স্কতার কারনে হোক বা যোনির মুখ বন্ধ হওয়ার কারনে হোক ,অথবা চার মাসের ভ্রমন পথে থাকার কারনে হোক,তাহলে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া উক্তি দ্বারা হবে।
অর্থাৎ সে স্ত্রীকে বলবে আমি তার দিতে প্রত্যাবর্তন করলাম।
স্বামী যদি সহবাসে অপারগ হওয়ার দরুন সহবাস করতে না পারে,আর এভাবেই যদি মুদ্দাত শেষ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আর যদি মুদ্দাত তথা চার মাসের আগেই সুস্থ হয়ে যায়,তাহলে সে সহবাস করার মাধ্যমে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিবে।
(শরহে বিকায়াহ {মতন} ২/১০৬ মাকতাবাতুল ফাতাহ বাংলাদেশ)  

(০১)
এ অবস্থায় নির্জনে দেখা করলে গুনাহ হবেনা। 

(০২)
স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
স্ত্রীর এসব কথায় তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...