আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)

আস সালামু আলাইকুম,

আমরা বালেগ এবং বালেগা। আমরা চাই বিয়ে করতে এবং আমাদের সামর্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ। এই জন্যে আমরা আমাদের পরিবারকে জানিয়েছি আমাদের বিয়ে করানোর জন্যে কিন্তু পরিবার তাদের নিজেদের মাঝের শত্রুতা বা বিদ্বেষের কারণে আমাদের বিয়ে করাতে রাজি নয়। আমাদের পড়াশোনা, অর্থ-সম্পদ এবং পারিবারিক মর্যাদা সমপর্যায়ের ই। এখন আমরা গোনাহ করতে চাই না। আমরা চাই একটি হালাল সম্পর্ক করতে বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু আমরা পরিবারকে বার বার বুঝানোর পরেও তারা রাজি হচ্ছে না। সরাসরি বলা থেকে নিয়ে বড় দের মাধ্যমেও জানানোর চেষ্টা করেছি অনেক বার কিন্তু তারা কোনো ভাবেই আমাদের বিয়ে করাতে চায় না।  উলটো তারা মেয়েকে জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের অনেকে সাজেশন দিচ্ছে পরিবারের অমতে বিয়ে করে নিতে কিন্তু আমরা আমাদের অভিভাবকদের কষ্ট দিতে চাই না তাই এখনো এই কাজ করিনি। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে আমরা বুঝতেছি আমাদের গোনাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন আমাদের সবাই ভয় দেখায় যে অভিভাবকের অমতে বিয়ে করলে নাকি আমরা কখনো সুখী হতে পারবো না। আমরা জানতে চাই যে, ইসলামে কি এমন কথা বলা হয়েছে যে যদি বাবামাকে বার বার জানানোর পরেও যখন তারা বিয়ে না করায় এবং সন্তানের গোনাহের ব্যাপারে কোনো খেয়াল না করে তারপর যদি তারা নিজেরা বিয়ে করে ফেলে তাহলে কি আসলেই আল্লাহ আমাদের অসুখী রাখবেন? আমাদের উভয়ের পরিবারই স্যাকুলার ধারার। তারা আমাদের কখনো সালাত আদায় করতেও বলে না। আমরা যখন এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি তখন তারা আমাদের সালাত ও পর্দার কথা বলে আমাদের খোটা দিচ্ছে। উল্লেখ্য আমাদের মাঝে পূর্ব পরিচয় থাকলে গত ৩-৪ বছর যাবত অবৈধ সম্পর্ক নেই। বিয়ে করার প্রয়োজন অনুভব করেই আমরা তাদের বিয়ের কথা বলেছিলাম কিন্তু তারা আমাদের হাজারো অপবাদ দিচ্ছে। আমাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। অথচ আমরা এগুলো থেকে দূরে থাকারই চেষ্টা করেছি সব সময়। 

 

আপনাদের কাছে জানতে চাই। আসলেই কি তাদের অমতে বিয়ে করলে আমাদের আল্লাহ শাস্তি দিবেন? আর আমাদের কি এভাবে তাদের না জানিয়ে বিয়ে করা উচিৎ? 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


পাত্র পাত্রী উভয়েই যদি বালেগ বালেগাহ হয়,
তাহলে সেক্ষেত্রে তারা যদি উভয়ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করেন, তাহলে তাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে যাবে।

যদিও তাদের মাতা পিতা কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তারা অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।
তাদের ঘর সংসার বৈধ। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

তবে যদি মেয়ে গায়রে কুফুতে বিবাহ বসে,তাহলে মেয়ের বাবার জন্য অধিকার থাকবে,আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ ভেঙ্গে দেয়ার।  

বিস্তারিত  জানুনঃ-

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা যদি বাবার মার অমতে/অনুমতি ছাড়া বিবাহ করেন,তাহলে সেই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
আর আপনাদের মাঝে যেহেতু কুফুর সামঞ্জস্যতা রয়েছে,সুতরাং মেয়ের পিতা শরীয়াহ নীতি হিসেবে  আদালতের মাধ্যমে এই বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারবেনা।
এই অধিকার শরীয়তের পক্ষ থেকে মেয়ের পিতা পাবেনা।   

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে তাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে  তাদের অমতে বিয়ে করলে যেহেতু তাদের বৈধ আদেশ মানা হলোনা,তাই বাবা মা ক্ষমা না করলে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...