আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ
সন্মামিত শায়খ,

আমার প্রথম পুত্র সন্তানের নাম রাখা হয়েছে মাহির আল ইরফান। মাহির অর্থ দক্ষ এবং ইরফান অর্থ জ্ঞানী। কিন্তু অনেকেই বলছে তার নামের সাথে "আল" রাখা ঠিক হয়নি। অর্থগত সমস্যা আছে। এই ব্যাপারে একটু জানাবেন।

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন,এখন আমি ২য় বারের মতো একটি কণ্যা সন্তানের মা হতে চলেছি যদি মহান রব্ব শেষ পর্যন্ত হায়াতে কায়েম রাখেন আমাদের দু'জনকে ইনশাআল্লাহ।  ২য় কণ্যা সন্তানের কিছু নাম আমরা খুঁজেছি google এ অর্থ দেখে। কিন্তু আমি অর্থগুলোর বিষয়ে sure না। আপনি অনুগ্রহ করে নামগুলোর ইসলামিক অর্থ এবং কোন নামটি রাখলে সর্বাপেক্ষা উত্তম হয় জানাবেন।

 ১. রুশদাতুল আয়িশা- আমার জানা অর্থ- জ্ঞানীদের জ্ঞানী

২. রুশদা মারইয়াম হায়া

সন্মানিত শায়খ -এর কাছে সঠিক টি জানতে চাই! এবং যদি এই নামগুলো রাখা একান্তই অনুত্তম হয় তবে বড় পুত্রসন্তানের নামের সাথে মিলিয়ে উম্মুল মু'মিণীনদের বা জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত কোনো নারীর নামে কি রাখা যায় যদি জানাতেন ইনশাআল্লাহ, খুবই উপকৃত হতাম, কৃতজ্ঞ থাকতাম!
যাজাকুমুল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (57,120 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আমরা এভাবেও বলতে পারি যে, পিতা-মাতার উপর সন্তানের সর্বপ্রথম হক হচ্ছে, তার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও  আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.

অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। (মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার)- হাদীস ৮৫৪০)

হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.

কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে (অর্থাৎ এভাবে ডাকা হবে- অমুকের ছেলে অমুক)। তাই তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখ। -(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস -৪৯৪৮)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/8009/

অপর এক হাদিসে এসেছে যে,

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ أَحَبَّ أَسْمَائِكُمْ إِلَى اللَّهِ: عَبْدُ اللَّهِ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ» ". رَوَاهُ مُسْلِمٌ.

আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম ‘আবদুল্লাহ এবং ‘আবদুর রহমান। (সহীহ মুসলিম -৫৭০৯, তিরমিযী- ২৮৩৩, আবূ দাঊদ- ৪৯৪৯, ইবনু মাজাহ- ৩৭২৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. জ্বী আপনি আপনার সন্তানের নাম “মাহির ইরফান” রাখলে ভালো হতো। কারণ, আরবী গ্রামার অনুপাতে সাধারণত কোন নামের পূর্বে আল ব্যবহার হয় না। বিধায়, আল ইরফান না বলে “মাহির ইরফান” বলাই শ্রেয়।

২. রুশদা  একটি ইসলামিক নাম এই নামের অর্থঃ অধিকতর সৎ, সুপথপ্রাপ্ত। ‘মারইয়াম’ শব্দটির অর্থ বন্ধুত্বপূর্ণ, উদার, আল্লাহর প্রতি ভক্ত ইত্যাদি। কোথাও কোথাও এই নামটির অর্থ দেখা যায় ভাগ্যবান। হায়া নামের আরবি অর্থ “বিনয়”, “পবিত্রতা”, “পুণ্য”, “লজ্জা বা শরম”

 উল্লেখিত দুটি নামের মধ্যে ২য় নামটি “রুশদা মারইয়াম হায়া “রাখাই উত্তম। আরবীতে “রুশদাতুল আয়িশা” আয়শার পূর্বে আল আছে, অথচ আরবী গ্রামার অনুপাতে সাধারণত কোন নামের পূর্বে আল ব্যবহার হয় না।

কন্যা সন্তানের নাম পুত্র সন্তানের নামের সাথে মিলিয়ে রাখা জরূরী নয়। উম্মাহাতুল মুমিনীন বা  নেককার নারীদের নামে নাম রাখাও উত্তম। এর ফলে সংশ্লিষ্ট নামের অধিকারী ব্যক্তির স্বভাবচরিত্র নবজাতকের মাঝে প্রভাব ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে বৈধ। এটাকে তাফাউল (تَفَاؤُلٌ) বলা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...