জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
অমুসলিমদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সূরা মুমতাহিনার এই নির্দেশনাটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য-
لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ أَنْ تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করতে ও তাদের প্রতি ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তো তোমাদের তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারা জালিম। -সূরা মুমতাহিনা : ৮-৯
★সুতরাং অমুসলিদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য হলে এমন আচরণ করায় ছওয়াব হবে।
তবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০২)
তারা যদি কুরআনের কোনো স্পষ্ট আয়াত অস্বীকার কর বা ভুল/অন্যায় বলার চেষ্টা করে,তাহলে তারা কাফের।
(০৩)
না,শিরক হবেনা।
(০৪)
সে কাফের হয়ে যাবেনা।
ফেসবুক চালাইতে গিয়ে যদি শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ করে,তাহলে তার গুনাহ হবে।
(০৫)
হ্যাঁ, তাদের পড়াশোনার কাজে সাহায্য করা যাবে,তবে এতে তাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেয়ার উদ্দেশ্য থাকতে হবে।