আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার স্বামী China তে M phil শিক্ষার্থী হিসেবে গিয়েছিল। তিনি ছুটিতে দেশে আসছিলেন, পরে আর যেতে পারেননি covid এর জন্য। তখন তিনি ধীরে ধীরে দ্বীনের বুঝ পান। গত বছর আমাদের বিয়ে হয়। বাংলাদেশ - চীনের সীমান্ত খুললে তাকে আবার চলে যেতে হবে। তিনি কোথাও থেকে শুনেছেন যে কুফফার দেশে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া জায়েয না। তাই তিনি ৪-৬ মাস পর পর দেশে আসবেন দেখা করতে।
কিন্তু আমি আমার স্বামীকে ছাড়া আলাদা থাকতে চাই না কখনো। যতদিন না তিনি পরিবার নিয়ে যাওয়র সামর্থ্যবান না হন ততদিন আলাদা থাকতে হবেই। কিন্তু তার সামর্থ্য হয়ে গেলেও যদি তিনি আমাকে না নিয়ে যান তখন সেটা আমি মেনে নিবো কিভাবে, মন কে কি বুঝাবো তখন।
তার China তে settle হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। শুধুমাত্র লেখাপড়া শেষ করতে যতদিন লাগে ততদিন থাকবেন। হয়তো ১.৫-২ বছর অথবা আরও একটু বেশি।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি কেনো তার সাথে china তে যেতে পারবো না? তার সাথে সেখানে থাকতে পারবো না? কুফফার দেশে কি সত্যি স্ত্রী সন্তান নিয়ে যাওয়া জায়েজ নেই? আর ৩ মাস পর ইন শা আল্লাহ আমাদের প্রথম সন্তান হবে। আমার স্বামীর সামর্থ্য হয়ে গেলে কি আমি সেখানে যেতে পারবো না তার সাথে??

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/13884/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে  
কাফির রাষ্ট্রে বসবাসের জন্য অবশ্যই দুটো প্রধান শর্ত পূরণ হতে হবে। যথা:

প্রথম শর্ত: বসবাসকারীকে স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে আশঙ্কামুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ তার এমন ‘ইলম, ঈমান ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যা তাকে দ্বীনের ওপর অটল থাকার মতো এবং বক্রতা ও বিপথগামিতা থেকে বেঁচে থাকার মতো আত্মবিশ্বাসের জোগান দেয়। আর কাফিরদের প্রতি তার অন্তরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ থাকতে হবে। অনুরূপভাবে কাফিরদের সাথে মিত্রতা ও তাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। কেননা তাদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করা এবং তাদেরকে ভালোবাসা ঈমানের পরিপন্থি।
,

মহান আল্লাহ বলেছেন,

 لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءَهُمْ أَوْ أَبْنَاءَهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ 

“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোনো জাতিকে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিরোধীদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে; যদিও তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র, অথবা ভাই, কিংবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।” [সূরাহ মুজাদালাহ: ২২]

দ্বিতীয় শর্ত: নিজের দ্বীনকে প্রকাশ করার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ, বসবাসকারী ব্যক্তি কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ইসলামের নিদর্শনাবলি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। নামাজ, জুমু‘আহ ও জামা‘আত—যদি তার সাথে জামা‘আতে নামাজ ও জুমু‘আহ প্রতিষ্ঠা করার মতো কেউ থেকে থাকেন—প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। অনুরূপভাবে জাকাত, রোজা, হজ ও অন্যান্য শার‘ঈ নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করতে বাধাগ্রস্ত হবেন না। যদি এসব কাজ করার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তখন হিজরত ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে বসবাস করা জায়েজ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয়।
আপনি আপনার স্বামীর সাথে চীনে বসবাস কুরতে পারবেন,সমস্যা নেই।
তবে আপনাকে ও আপনার স্বামীকে অবশ্যই উপরোক্ত  দুইটি শর্ত মেনে উক্ত দেশে বসবাস করতে পারবে।

ঈমানের ব্যাপারে হুমকি মনে করলে সেই রাষ্ট্রে থাকবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...