জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু সন্দেহ করার দরুন শিরক বা কুফুরি কাজ হবেনা।
বরং কাজটি যদি আসলেই শিরকি হয়,তাহলে শিরক/কুফরি হবে।
(০১)
এক রুকন সমান হলো তিন তাসবিহ পাঠ করা পরিমান সময়। ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم পড়া সমপরিমাণ সময়।
বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
এক তাসবীহ তথা সুবহানা রব্বিয়াল আ'যীম।
এই তাসবীহ পাঠ করতে যে সময় লাগে তাই এক তাসবীহ পরিমাণ সময়। যা চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড মাত্র।
(০৩)
হ্যাঁ, এক তাসবিহ = চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড সময়।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শিরক বা কুফরি কাজ হবেনা।
(০৫)
হ্যাঁ ওযু হবে।
তবে পবিত্রতা বা নামাজ আদায় ইত্যাদি ইবাদতের নিয়ত না থাকায় এতে ছওয়াব হবেনা।
,
তবে এতে শিরক বা কুফুরি কাজ হবেনা।