আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in সালাত(Prayer) by (40 points)
edited by
কোনো কাজ কুফুরি কি কুফুরি সন্দেহ করলে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হবে?

১.তিন তাসবিহ সমান কত সময়?

২.এক তাসবিহ সমান কত সেকেন্ড?

৩.এক সমান ৪-৫সেকেন্ড?

৪.কল্পনায় কারো কথা বলা সময় ঐ কথা বাস্তবে মুখ দিয়ে বের হলে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হবে। ধরুন কল্পনায় আমার সামনে কেউ আছে।কল্পনায় আমি তাকে ডাকলাম।বাস্তবে আমি মুখ দিয়ে ডাক বের হলো এতে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হবে?

৫.দুনিয়াবি লাভের জন্য ওযু করলে কি ওযু হবে।এতে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হবে?

৫.জামায়েতের নামাজে মসজিদে থাকা আবস্থায় ইচ্ছা করে সূরা ফাতিহা বাদ রুকু থেকে নামাজ পরলে কি নামাজ হবে?

৬.নামাজে বিনা কারণে মুখে বার বার আল্লাহু আকবার বললে কি নামাজ হবে?

৭.আমি রুকুতে যাওয়ার সময় ইমাম রুকু থকে উঠে পরে। আমি যখন আল্লাহু আকবার বলে রুকু তে যায় আমার হাটু ধরার আগে ইমামের পিঠ সজা হয়ে যায়।তাই আমি অতিরিক্ত আরেক রাকাত পরি।নামাজ কি হয়েছে?

৮.কেউ যদি সন্দেহ করে যে সে রুকু ধরতে পেরেছে কি না। আর তার জন্য আরেক রাকাত নামাজ পরে এবং সাহু সিজদা দেয় তবে কি নামাজ হবে?

৯.মনের মধো শিরকি বা কুফুরি চিন্তা করলে কি শিরক কুফুরি কাজ হয়?

১০.গড়গড়া ছাড়া কুলি করছি আর বাকিগোসলের বাকী ফরজ আদায় করছি। তার পর ওযু ছাজা নামাজ পরছি এতে কি নামাজ হয়েছে?

কোনো কাজ কুফুরি কি কুফুরি সন্দেহ করলে কি শিরক বা কুফুরি কাজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু সন্দেহ করার দরুন শিরক বা কুফুরি কাজ হবেনা।
বরং কাজটি যদি আসলেই শিরকি হয়,তাহলে শিরক/কুফরি হবে।

(০১)
 এক রুকন সমান হলো তিন তাসবিহ পাঠ করা পরিমান সময়। ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم  পড়া সমপরিমাণ সময়।

বিস্তারিত জানুনঃ

(০২)
এক তাসবীহ তথা সুবহানা রব্বিয়াল আ'যীম। 

এই তাসবীহ পাঠ করতে যে সময় লাগে তাই এক তাসবীহ পরিমাণ সময়। যা চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড মাত্র।

(০৩)
হ্যাঁ,  এক তাসবিহ = চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড সময়। 


(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে শিরক বা কুফরি কাজ হবেনা।

(০৫)
হ্যাঁ ওযু হবে।
তবে পবিত্রতা বা নামাজ আদায় ইত্যাদি ইবাদতের   নিয়ত না থাকায় এতে ছওয়াব হবেনা।
,
তবে এতে শিরক বা কুফুরি কাজ হবেনা।

(০৫)
হ্যাঁ এভাবে জামায়াতের সাথে নামাজ হবে।

(০৬)
 হ্যাঁ নামাজ হবে।

(০৭)
হ্যাঁ আপনার নামাজ হয়েছে।

(০৮)
হ্যাঁ নামাজ হবে।

(০৯)
না,এতে শিরক কুফুরি কাজ হয়না।

(১০)
হ্যাঁ এতে গোসলও আদায় হয়েছে, নামাজও শুদ্ধ হয়েছে। 

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...