আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,422 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শায়খ,
আমি একটা গজল অনেক পছন্দ করি। সেখানে ইয়া নাবী সালাম আলাইকা

ইয়া রসূল সালাম আলাইকা
এরকম করে বলা আছে।

প্রায়ই এই দুটো লাইন মুখ থেকে বের হয়ে যায়, এই বাক্য দুটো তো দরুদ শরীফ, কিন্তু আকিদা ক্লাসে শুনলাম ইয়া নাবী এভাবে নাবীকে ডাকা জায়েজ নয়, বিদআহ! শুধুমাত্র রওজার সামনে ইয়া নাবী বলে ডাকা যাবে (সঠিক মনে পড়ছে না)
তাহলে কি ইয়া নাবী সালামু আলাইকা বলে দরুদ পাঠ করা জায়েজ হবে?
শুকরান জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (708,000 points)
বিসমিহি তা'আলা

সমাধানঃ-

রাসূল সাঃ এর উপর দূরুদ পাঠ করা অনেক ফযিলতের বিষয়।

দূরূদ কিভাবে এবং কোন শব্দ দ্বারা প্রেরণ করতে হবে সেটা নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻴْﻠَﻰ، ﻗَﺎﻝَ : " ﻟَﻘِﻴَﻨِﻲ ﻛَﻌْﺐُ ﺑْﻦُ ﻋُﺠْﺮَﺓَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﻻَ ﺃُﻫْﺪِﻱ ﻟَﻚَ ﻫَﺪِﻳَّﺔً ﺳَﻤِﻌْﺘُﻬَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ؟ ، ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﺑَﻠَﻰ ، ﻓَﺄَﻫْﺪِﻫَﺎ ﻟِﻲ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻟْﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘُﻠْﻨَﺎ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻛَﻴْﻒَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺒَﻴْﺖِ ، ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺪْ ﻋَﻠَّﻤَﻨَﺎ ﻛَﻴْﻒَ ﻧُﺴَﻠِّﻢُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ؟ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻗُﻮﻟُﻮﺍ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ ) (ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 6265- )

উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ দূরূদে ইবরাহিমির শিক্ষা সাহাবাদিগকে দিচ্ছেন।

তাই আমাদের উচিৎ সতর্কতামূলক দূরূদে ইবরাহিমি পাঠ করা।

'ইয়া নবী সালামু আলাইকা' বা 'ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা' পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

কেননা এজাতীয় বাক্য রাসূল সাঃ কে হাজির-নাজির বুঝায় অথবা বুঝাতে সাহায্য করে।

তবে এ'তেক্বাদ সহীহ রেখে বলতে কোনো অসুবিধে নেই।কিন্ত সাধারণ লোকজন এ কথার সহজ অর্থ অনুধাবন করে রাসূল সাঃ কে উপস্থিত বা উপস্থিতের মত মনে করবে।তাই এ জাতীয় বাক্য পরিত্যাগ করে হাদীসের শিক্ষাকৃত বাক্য উচ্চারণ করাই শ্রেয়।

ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৩/১০৩

নামায এবং রাসূল সাঃ এর ক্ববর যিয়ারতের সময় এ জাতীয় বাক্য বলা যাবে।কেননা তা রাসূল সাঃ শিক্ষা দিয়ে গেছেন।যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

ﺍﺑْﻦَ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ، ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻋَﻠَّﻤَﻨِﻲ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻭَﻛَﻔِّﻲ ﺑَﻴْﻦَ ﻛَﻔَّﻴْﻪِ، ﺍﻟﺘَّﺸَﻬُّﺪ،َ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﻌَﻠِّﻤُﻨِﻲ ﺍﻟﺴُّﻮﺭَﺓَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻘُﺮْﺁﻥِ : « ﺍﻟﺘَّﺤِﻴَّﺎﺕُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﻮَﺍﺕُ ﻭَﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ » ﻭَﻫُﻮَ ﺑَﻴْﻦَ ﻇَﻬْﺮَﺍﻧَﻴْﻨَﺎ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗُﺒِﺾَ ﻗُﻠْﻨَﺎ : ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ – ﻳَﻌْﻨِﻲ – ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ( ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 6265- )

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, IOM.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 362 views
...