আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পবিত্রতা (Purity) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

শায়েখ,
(১) গোসল বা ইস্তিঞ্জার পর ভেজা শরীরে কাপড় পরা হলো। ফলে ওই কাপড়ও বেশ খানিকটা জায়গা সামান্য ভিজে উঠল। (তবে নিংড়ানো হলে কোনো কিছু বের না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি)
এখন ওই  কাপড়ের ভেজা অংশের এক জায়গায় অদৃশ্যমান নাপাকি লাগলে শুধু ওই নাপাকি লাগা জায়গা ধুয়ে নিলেই চলবে, নাকি পুরো ভেজা অংশই ধুতে হবে?

একইভাবে দৃশ্যমান নাপাকি লাগলে কী করণীয়?

(২) ওই একই কাপড় যদি এমনভাবে ভিজে যে, নিংড়ানো হলে কিছু বের হবে। এখন তার হুকুম কী?

(৩) অনেক সময় মনে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খারাপ ভাবনা, হাসি চলে আসে (নাউজুবিল্লাহ)।
এ অবস্থায় চেষ্টার পরও যদি হাসি (সামান্য) আটকানো না যায়, তবে কি ইমান চলে যাবে?

(৪) আবার অনেক সময় দ্বীনের কোনো বিষয়ে কেমন বিরক্তি অনুভব হয় (নাউজুবিল্লাহ)। এ অবস্থায় ভ্রু কুঞ্চিত হলে বা মাথা নাড়ানো হলে কি ইমান চলে যাবে?

আমি এগুলো ভাবতে চাই না। এগুলো কি ওয়াসওয়াসা?
(৫) মনে করুন, কিছুক্ষণ পর সালাত আদায়ের নিয়ত আছে। এখন কেউ যদি সালাত আদায়ের তাগিদ দেয়, আর এতে যদি বিরক্তি আসে, তবে ইমান চলে যাবে কি?

(৬) ওযু করতে গিয়ে জামাত ছুটে যাওয়ার কারণে / গোসল ফরয হওয়ায় যদি বিরক্তি আসে, তবে ইমান চলে যাবে কি?

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)

https://www.ifatwa.info/23740 নংফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় প্রত্যেকবার ভিন্নভাবে বালতি ধুয়ে পাক করার প্রয়োজনিয়তা নাই। তৃতীয়বার কাপড়টি ধৌত করার পর বালতি এমনিতেই পাক হয়ে যাবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় বার বালতি থেকে পানি সবটুকু ফেলে দিয়ে পরবর্তী বারের জন্য পানি নিতে হবে। (দুররে মুখতার-১/৩০৮, ফাতাওয়া আলমগীরী-১/৪২)

إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দৃশ্যমান হোক আর অদৃশ্যমান হোক, যেই অংশে নাপাকি লাগবে, সেই অংশসহ আশপাশের কিছু অংশকে ধৌত করে নিতে হবে।নাপাকি যতটুকু বিস্তার হতে পারে বলে মনে হয়, ততটুকুই ধৌত করে নিতে হবে।

(২)
জ্বী, কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে।

(৩)
অনিচ্ছাকৃত হলে, ঈমান ভঙ্গ হবে না। তবে ইচ্ছাকৃত ইসলামের কোনো বিধি-বিধান নিয়ে ঠাট্টা মশকারা হলে, অবশ্যই ঈমানে সমস্যা চলে আসবে।

(৪)
দ্বীনের কোনো বিষয়ে কেমন বিরক্তি অনুভূত হলে  (নাউজুবিল্লাহ)। এ অবস্থায় অস্বীকার মূলক ভ্রু কুঞ্চিত হলে বা মাথা নাড়ানো হলে  ইমান চলে যাবে। সাথে সাথেই ঈমান নবায়ন করতে হবে। যদি অস্বীকার মূলক না হয়, তাহলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫)
কেউ যদি সালাত আদায়ের তাগিদ দেয়, আর এতে যদি নামাযকে অস্বীকার মূলক বিরক্তি আসে, তবে ইমান চলে যাবে। নতুবা ঈমান যাবে না।

(৬)
ওযু করতে গিয়ে জামাত ছুটে যাওয়ার কারণে / গোসল ফরয হওয়ায় যদি বিরক্তি আসে, তবে ইমান চলে যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...