সন্দেহ দূর করার জন্য প্রশ্নটি করা

Question

স্বামী স্ত্রী এক সাথে ছিল।

তারা গল্প করছিল। কাবিন নামার ১৮ নং বিষয় সম্পর্কে স্ত্রী আগে কিছু জানত না।
কিছু দিন আগে জানার পর স্ত্রীর জানতে ইচ্ছে হয় যে সেখানে কি তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছিল কি না।

এর মধ্যে স্ত্রী হঠাৎ তার স্বামীকে জিজ্ঞাস করলো তার কি তালাক নেয়ার অধিকার আছে কি না।

তখন স্বামী বলতে চেয়েছিল " তোমার তালাক নেওয়ার অধিকার নাই"

কিন্তু স্ত্রী সেই সময় হঠাৎ অন্য মনস্ক হয়ে পড়েছিল।
স্বামী তখন উক্ত বাক্যটি পুরোপুরিভাবে বলতে গিয়ে "তোমার তালাক এতটুকু বলার মাঝেই স্ত্রী জোরে চিল্লায় আর স্ত্রী বলে "কি"??( কিন্তু স্বামী বলতে চেয়েছিল তোমার তালাক নেওয়ার অধিকার নাই। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ও নিয়ত ছিল না।)

 তখন স্বামী সাথে সাথেই বলে " তোমার তালাক নেওয়ার অধিকার নাই"।

তুমি পুরা কথা শেষ করতেই দিলে না। আমি এইটাই বলতে চেয়েছিলাম যে তোমার তালাক নেওয়ার অধিকার নাই।

এখন এতে কি সমস্যা হবে দয়া করে উত্তর দিবেন প্লিজ

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/468 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﺫﻫﺐ ﻓﻘﻬﺎﺀ ﺍﻟﺤﻨﻔﻴّﺔ ﻭﺍﻟﺤﻨﺎﺑﻠﺔ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐ ﻣﺤﺮّﻡٌ ﺷﺮﻋﺎً ﻭﻳﺄﺛﻢ ﻓﺎﻋﻠﻪ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﻘﻮﻟﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻟﻌﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻞ ﺫﻭﺍﻕ، ﻣﻄﻼﻕ ) ﻭﻷﻥ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﻛﻔﺮﺍً ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ، ﺣﻴﺚ ﺇﻥّ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ ﻧﻌﻤﺔ ﻣﻦ ﻧﻌﻢ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻄﻼﻕ ﺑﻼ ﺳﺒﺐٍ ﻛﻔﺮٌ ﻟﻨﻌﻤﺔ ﺍﻟﺰﻭﺍﺝ؛ ﻭﻛﻔﺮﺍﻥ ﺍﻟﻨﻌﻤﺔ ﺣﺮﺍﻡ، ﻓﻼ ﻳﺤﻞّ ﺍﻟﻄﻼﻕ ﺇﻻ ﻟﻀﺮﻭﺭﺓ .
فقه السنة (الطبعة الثالثة)، بيروت: دار الكتاب العربي، صفحة 242، جزء 2
ভাবার্থ-হানাফি এবং হাম্বলী ফুকাহায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,বিনা কারণে তালাক প্রদাণ শরীয়তের দৃষ্টিকোণে হারাম।এবং তালাক প্রদাণকারী গোনাহগার। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ আমভাবে বলেছেন,আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক স্বাদ আস্বাদনকারীদের উপর লা'নত প্রদাণ করেন।কেননা তালাক প্রদাণ দ্বারা আল্লাহ তা'আলা র নিয়ামতকে অস্বীকার করা হয়। বিবাহ আল্লাহর নিয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি নিয়ামত।আর বিনা কারণে তালাক প্রদাণ মানে বিবাহ নামক নিয়ামতকে পরিত্যাগ, অস্বীকার এবং অবহেলা করা। আর নিয়ামতকে অস্বীকার বা পরিত্যাগ করা হারাম।সুতরাং প্রয়োজন ব্যতীত তালাক হালাল হবে না।(ফেকহুস সুন্নাহ-২/২৪২)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাকই পতিত হবে না। এতে কোনো সমস্যাও হবে না।

Comments

সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।