আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
উস্তায,আমার পরিবারে আমার মামীর নামে পরকীয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।২জন ছেলেও আছে তার।আমার পরিবারে কোন পুরুষ গার্ডিয়ান বা বড় তেমন কেউ নেই।মামাও আমার মায়ের ছোট,নানা-নানি কেউই বেঁচে নেই,আকার আব্বুও নেই।আম্মু বড় হওয়ায় ২/১ জন যারা নোটিশ করেছে ব্যাপারটা তারা আম্মুকে জানাচ্ছে এবং আগেও জানিয়েছে। উনার আচরণেও কিছু কিছু জিনিস প্রকাশ পায়( যেমন ফোনে কথা বলা,এখানে সেখানে যাওয়া, ফোনের সবজায়গায় পাসওয়ার্ড,লুকিয়ে রাখা,ঘন ঘন ফোন আসা, ফোন আসলেও কারো সামনে না ধরা বা দূরে চলে যাওয়া,তার অবাধ বিলাসিতা) যেগুলো সাধারণত হয় না আরকি।আগেও কেউ কেউ জানিয়েছে, কিন্তু সন্দেহের বশে তো কাউকে কিছু বলা যায় না।একবার তার ভাই আমার আম্মুকে ফোন করে বলেছে,আপনাদের বাড়ির বউ, আপনারা খোঁজ রাখেন না,তার আচরণে এসব প্রকাশ পায়।আম্মু বলেছে,প্রতিদিনই তো আমার বাড়ি যাওয়া আসা,আমি তো এসব কিছু দেখি নি কিভাবে বলবো।তো মামী কে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে উনি স্বীকার করে না।। উনার ভাইয়ের সাথেও পরে উনার মন কষাকষি হয়। তো সম্প্রতি একজন আবার আমার আম্মুকে বলছে,আর  উনি অনেক আগেই আমার মামাকেও জানিয়েছে, প্রমাণও নাকি দেখিয়েছে।কিন্তু আমার মামা এব্যাপারে নিশ্চুপ। কিন্তু আম্মু বড় হওয়ায় আম্মুর কাছে বার বার কথা গুলো আসতেছে।আমাদের এলাকায় আমার নানার নাম ডাক আছে,বলতে প্রথম সারির মাঝে একজন,সুতরাং এসবের সাথে তো পরিবারের মান -সম্মান জড়িত। কিন্তু আমাদের বা আম্মুর কাছে কোন প্রমাণ নেই,কিভাবে এই বিষয়ে সমাধান করা যাবে?? আর যেহেতু অন্যরকম সমস্যা,শুরুতেই তো উনাকে বলা যাবে না,চিন্তা ভাবনা করে আগাতে হবে,এজন্য আলোচনার দরকার,আমিও বড় হওয়ায় আম্মু আমাকে এগুলো বলে, এগুলো গীবতের পর্যায়ে পড়বে কি??? আলোচনা না হলেও তো হয় না,আর এসব বলতে গেলে তো উনার আচরণের কথা চলেই আসে,এঅবস্থায় কি করবো?। আমার মামার সাথে যে আলোচনা করবে  সে উপায়ও নেই,কারণ উনি  ঢাকায় আছেন,আর আমাদের পরিবারের কারো ফোনই  রিসিভ করে না,শুধু তার ওয়াইফের সাথেই হালকা পাতলা যোগাযোগ।কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।মামী আবার ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট।উনি বলে আমার মামা কোন টাকা-পয়সা দেয় না,আসলে মামাও সেভাবে কিছু করে না,এনজিও নিয়ে পড়ে থাকে বাট আউটপুট জিরো।কিন্তু মামীর চালচলন,কাপড়-চোপড়ের মান,গহনা,এসব দেখলে মনে টাকা না থাকলে এসব কোথা থেকে আসে।উল্লেখ্য যে,আমাদের মামার সাথে নানাবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা, তো উনারা বলে টাকা নেই,কিছু ইনকাম করে না,আবার চালচলনে বিলাসিতা,একদম বিপরীতমুখী।এসব ঝামেলা + সমস্ত কিছু শুনে এই বাচ্চাটার ব্যাপারেও একটু সন্দেহ চলে আসছে। কিন্তু না জেনে তো এরকম ধারণা বা সন্দের কোনটাই করা যাবে না।আর এসব ভাবতেও ভয় লাগে,কিন্তু চলে আসছিলো।  আমার পরিবারের কেউ দ্বীন বুঝে না,ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড মানুষ উনারা।উস্তায,কীভাবে দ্বীনের দিক থেকে সংশোধনের ফিকির করা যায়? ?  জানালে খুব উপকৃত হতাম।

লিখা একটু বড় হয়ে গিয়েছে।। আফওয়ান উস্তায।

জাযাকুমুল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الثاني: الاستعانة على تغيير المنكر ورد العاصي إلى الصواب. وبيانه أن يقول لمن يرجو قدرته على إزالة المنكر: فلان يعمل كذا فازجره عنه ونحو ذلك، ويكون مقصوده إزالة المنكر، فإن لم يقصد ذلك كان حراما.
(দুই) মন্দকে পরিবর্তন করতে এবং গোনাহগারকে নেকির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কারো গীবত করা।যেমন এমন কারো কাছে গিয়ে গিবত করা,যে ব্যক্তি ঐ মন্দকাজ সম্পাদনকারীকে ধমক দিতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি।শর্ত এই যে, মন্দকে বিদূরিত করার উদ্দেশ্যই থাকতে হবে।উদ্দেশ্য যদি অন্য কিছু হয় তখন কিন্তু গীবত করা জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1715

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মামীর বিষয়ে তাহক্বীক ও গবেষণার জন্য আপনার মা আপনার মামার সাথে আলোচনা করবেন।এবং এটাও বলবেন যে, সংবাদটা প্রথমে মূলত আপনার মামীর ভাই আপনার মাকে দিয়েছে।

অতি দ্রুত এ বিষয়ে একটা সমাধানে আসার প্রয়োজন। তাই আপনাদের আরো আত্মীয় স্বজন এবং আপনার মামা সবাই মিলে একটা বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
মামা তো কোনো কথাই বলতে চায় না উস্তায।এমনকি কোন ঝামেলা হলে যে সবাই মিলে বসে সমাধান করবে সেটার ব্যাপারেও গাফেল।।কথা বললে কোন উত্তর দেয় না।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...