بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/29506/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَن
تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ ۚ وَلَا تَقْتُلُوا أَنفُسَكُمْ ۚ إِنَّ
اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে
অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে
ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা
তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)
অন্যত্রে তিনি ইরশাদ করেন-
الَّذِينَ
يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ
الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ
مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে
দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান
আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ
ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ
হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৫)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَكُلُوا
مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاشْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ إِن
كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
অতএব, আল্লাহ
তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর
অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। (সূরা নাহল, আয়াত ১১৪)
তিনি অন্যত্রে বলেন-
وَكُلُوا
مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم
بِهِ مُؤْمِنُونَ
আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু
তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র
বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী।
(সূরা মায়েদা, আয়াত ৮৮)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)
থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ
نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ:
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ
الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ
لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো
বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা
হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও। [সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
* আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের
সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর।
নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে যদি মূল উদ্দেশ্য থাকে কোন প্রোডাক্টের এ্যাডস, আর প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে তাতে নারীর ছবি যুক্ত করা হয়। তাহলে তা বিক্রয় করা জায়েজ আছে। তবে নারীর ছবি ডিজাইন ও প্রিন্ট করা নাজায়েজ ও গুনাহ হবে। আর যদি
এমন হয় যে, নারীর ছবি যুক্ত করা ছাড়া উক্ত প্রোডাক্ট বিক্রয় হবে না তাহলে তখন উক্ত প্রোডাক্ট বিক্রয় জায়েজ হবে না এবং তা থেকে উপার্জিত অর্থও হালাল হবে না।
*শরীয়তের বিধান মতে যেসব পোশাক
পুরুষদের আকৃষ্ট করে,বাহিরে বের হলে ফেতনার আশংকা
সৃষ্টি হয়, এসব কাপড় বানানো, বিক্রয়
করা মাকরূহ হবে। যেহেতু এর দ্বারা গোনাহের
কাজের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। আর গোনাহের কাজের সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ। সুতরাং প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে পর্দাহীনতার পোশাক বিক্রয় মাকরুহ, তবে এসব মেয়েদের ওয়েস্টার্ন
ড্রেস বিক্রির টাকাকে হারাম বলা যাবে না। এটি হালাল টাকা।