আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রদের নিম্নোক্ত ছবিগুলো অঙ্কনের শরিয়তে বিধান কি??বিশেষ করে, ব্যাবহারিক খাতায় অঙ্কনের বিষয়ে।
১/content://com.android.chrome.FileProvider/images/screenshot/16558257500773434966890555091433.jpg
২/content://com.android.chrome.FileProvider/images/screenshot/16558261252034461809622144352503.jpg
এইসকল চিত্র কি কম্পিউটারে প্রিন্ট করা জায়েয??আবার শুধু মানুষের হাত,পা অথবা মাথা অথবা যেকোনো একটি অঙ্গ আঁকা কি জায়েয,অন্যান্য অঙ্গ অঙ্কন না করে।
হযরত সাঈদ বিন আবিল হাসান রহঃ বলেন, আমি একদা হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এল। লোকটি এসে বলল-‘হে ইবনে আব্বাস! আমার উপার্জনের নির্ভরতা আমার হাতের সৃষ্টির উপর, আমি ছবি আঁকি’। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বললেন-‘আমি তোমার কাছে সেই কথা বর্ণনা করছি, যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূল সাঃ কে এটা বলতে শুনেছি যে, যেই ব্যক্তি ছবি বানায়, তাকে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে উক্ত ছবিতে প্রাণ দিতে পারে, আর সেই ব্যক্তি কোনদিন তাতে প্রাণ দিতে পারবে না’। একথা শুনে লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আর তার চেহারা পাংশু হয়ে গেল। তখন হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বললেন-“আরে ভাই! যদি তুমি বানাতেই চাও, তাহলে গাছের ছবি আঁকো। আর প্রত্যেক ঐ বস্তুর ছবি আঁকো, যাতে প্রাণ নেই। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৪৩৪, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২১১২, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদীস নং-২৫৭৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৩৯৪, মু’জামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮৪৮}
পূর্বে অনেক মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীই চিত্র অঙ্কন করেছেন।এখন,তারা কি চিরকাল জাহান্নাম যাবে পরকালে??আর তারা যদি না জেনে অঙ্কন করে থাকে তবে কি তাদেরকে মাপ করে দেয়া হবে??
এই বিষয়ে আমাদের ছাত্রদের কি করণীয়,আমরা কি ব্যাবহারিক খাতায় চিত্র আঁকব না??ধরুন সম্পূূর্ণ মানুষের শরীর আঁকা হলো না।শুধু গলা থেকে মাথা পর্যন্ত এবং হাতা আঁকা হলো তবে কি জায়েয হবে??আবার ধরা যাক মানুষের পেটের ভিতরের অংশ সেগুলোওতো মানুষের শরীরেরই অংশ তবে তা কি অঙ্কন জায়েয হবে??