আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রদের নিম্নোক্ত ছবিগুলো অঙ্কনের শরিয়তে বিধান কি??বিশেষ করে, ব্যাবহারিক খাতায় অঙ্কনের বিষয়ে।

১/content://com.android.chrome.FileProvider/images/screenshot/16558257500773434966890555091433.jpg

২/content://com.android.chrome.FileProvider/images/screenshot/16558261252034461809622144352503.jpg

এইসকল চিত্র কি কম্পিউটারে প্রিন্ট করা জায়েয??আবার শুধু মানুষের হাত,পা অথবা মাথা অথবা যেকোনো একটি অঙ্গ আঁকা কি জায়েয,অন্যান্য অঙ্গ অঙ্কন না করে।

হযরত সাঈদ বিন আবিল হাসান রহঃ বলেন, আমি একদা হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এল। লোকটি এসে বলল-‘হে ইবনে আব্বাস! আমার উপার্জনের নির্ভরতা আমার হাতের সৃষ্টির উপর, আমি ছবি আঁকি’। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বললেন-‘আমি তোমার কাছে সেই কথা বর্ণনা করছি, যা আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূল সাঃ কে এটা বলতে শুনেছি যে, যেই ব্যক্তি ছবি বানায়, তাকে আল্লাহ তায়ালা শাস্তি দিতে থাকবেন যতক্ষণ না সে উক্ত ছবিতে প্রাণ দিতে পারে, আর সেই ব্যক্তি কোনদিন তাতে প্রাণ দিতে পারবে না’। একথা শুনে লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আর তার চেহারা পাংশু হয়ে গেল। তখন হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ বললেন-“আরে ভাই! যদি তুমি বানাতেই চাও, তাহলে গাছের ছবি আঁকো। আর প্রত্যেক ঐ বস্তুর ছবি আঁকো, যাতে প্রাণ নেই। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৪৩৪, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২১১২, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদীস নং-২৫৭৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৩৯৪, মু’জামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১১, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮৪৮}

পূর্বে অনেক মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীই চিত্র অঙ্কন করেছেন।এখন,তারা কি চিরকাল জাহান্নাম যাবে পরকালে??আর তারা যদি না জেনে অঙ্কন করে থাকে তবে কি তাদেরকে মাপ করে দেয়া হবে??

এই বিষয়ে আমাদের ছাত্রদের কি করণীয়,আমরা কি ব্যাবহারিক খাতায় চিত্র আঁকব না??ধরুন সম্পূূর্ণ মানুষের শরীর আঁকা হলো না।শুধু গলা থেকে মাথা পর্যন্ত এবং হাতা আঁকা হলো তবে কি জায়েয হবে??আবার ধরা যাক মানুষের পেটের ভিতরের অংশ সেগুলোওতো মানুষের শরীরেরই অংশ তবে তা কি অঙ্কন জায়েয হবে??
by (12 points)
+1
১/image
২/image
শায়েখ এই দুটি ছবি কি অঙ্কন জায়েয??

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/320 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ثَامِنًا: التَّصْوِيرُ لِلْمَصْلَحَةِ كَالتَّعْلِيمِ وَغَيْرِهِ:
لَمْ نَجِدْ أَحَدًا مِنَ الْفُقَهَاءِ تَعَرَّضَ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا، عَدَا مَا ذَكَرُوهُ فِي لُعَبِ الأَْطْفَال: أَنَّ الْعِلَّةَ فِي اسْتِثْنَائِهَا مِنَ التَّحْرِيمِ الْعَامِّ هُوَ تَدْرِيبُ الْبَنَاتِ عَلَى تَرْبِيَةِ الأَْطْفَال كَمَا قَال جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ، أَوِ التَّدْرِيبُ وَاسْتِئْنَاسُ الأَْطْفَال وَزِيَادَةُ فَرَحِهِمْ لِمَصْلَحَةِ تَحْسِينِ النُّمُوِّ كَمَا قَال الْحَلِيمِيُّ، وَأَنَّ صِنَاعَةَ الصُّوَرِ أُبِيحَتْ لِهَذِهِ الْمَصْلَحَةِ، مَعَ قِيَامِ سَبَبِ التَّحْرِيمِ، وَهِيَ كَوْنُهَا تَمَاثِيل لِذَوَاتِ الأَْرْوَاحِ. وَالتَّصْوِيرُ بِقَصْدِ التَّعْلِيمِ وَالتَّدْرِيبِ نَحْوُهُمَا لاَ يَخْرُجُ عَنْ ذَلِكَ.
শিক্ষা ইত্যাদির স্বার্থে ফটোর বিধানঃ
খেলনার পুতুলের ব্যাপারে কৃত আলোচনা ছাড়া
আমরা ফুকাহায়ে কেরামদের কাউকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখিনি।মুর্তির হারাম বিধান থেকে খেলনার পুতুল কে এজন্য বের করা হয়েছে যে,যাতে করে তাদের শিশুকাল থেকেই সন্তান লালনপালনের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে।
এবং শিশুদের কে সামাজিক মিলমিশ বা হাসিখুশী রাখতে সহায়ক হয়।যা কি-না শিশুদের শরীরকে বাড়াতে সহায়তা করে।যেমনটা হালিমী রাহ বলেছেন।এ স্বার্থেই হারামের কারণ সমূহ বিদ্যমান থাকা সত্বেও খেলনার পুতুল কে বৈধ বলা হয়েছে।পুতুল বলতে প্রাণ বিশিষ্ট প্রাণীর অবয়ব(মুর্তির মত) তৈরী করা।শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার স্বার্থে ফটো ভাস্কর্য এ হেকমতের বাহিরে যাবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ-১২/১২২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শিক্ষার স্বার্থে ফটো বা ছবি অঙ্কন জায়েয। সুতরাং চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আলোচনা ও ব্যখ্যা করার স্বার্থে ছবি অঙ্কন করা যাবে।মাথা ব্যতিত অঙ্কন সম্ভব হলে, তখন মাথা ব্যতিতই ছবি অঙ্কন করতে হবে। শুধু হাত বা পায়ের ছবির প্রয়োজন হলে তখন সমস্ত শরীরের অঙ্কন জায়েয হবে বরং শুধুমাত্র হাত বা পায়ের ছবিই অঙ্কন করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...