আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পবিত্রতা (Purity) by (81 points)
edited by
আমার ফোটা ফোটা প্রস্রাব প্রস্রাবের পর।ফোটা বের হলে বোঝা যায়না।পূর্বে বেশ কয়েকদিন ১ ঘন্টা যাবত প্রস্রাবের পর বসে থেকে দেখেছি প্রস্রাব বেরিয়ে আসে।সালাতের পর প্যান্ট খুলে দেখি প্রস্রাব।কোনো উপায়ে এই সমস্যা যায়না।

তাই আমি গোসল করা শেষ হলে প্রস্রাব করে নেই।এরপর পানি দিয়ে ধুই।এরপর প্রস্রাব বের হয়।তাই আমি পানি দিয়ে ধুয়ে প্রথমে কিছু টিস্যু দিয়ে লিঙ্গের মাথায় ঘষা দেই।এরপর ৩ টি টিস্যু একসাথে ভাজ করে টিস্যুর মাঝ বরাবর লিঙ্গের মাথায় লাগায় ও টিস্যুর বাকি অংশ লিঙ্গের উপরে ও নিচে রাখি যাতে পানি শুষে নেয়। এর ফলে টিস্যু পুরো ভিজে যায়।এতে তো প্রস্রাব ও থাকে।এর ফলে কি নাপাকি লিঙ্গে লেগে যায় যেহেতু লিঙ্গের উপর ও নিচের অংশে টিস্যু বসিয়ে পানি শুষে নেয়? লিঙ্গ নাপাক হলে কি তা থেকে উরুতে নাপাকি ছড়িয়ে পরে?এরপর আমি অন্ডকোষ এ পানি ঢালি ও দুই উরু ধুই ভালভাবে ধুই।তারপর গামছা দিয়ে দুই উরু মুছে নেই।গামছা কি নাপাক?এর ৫ মিনিট পর প্রস্রাব সামান্য বেরিয়ে এলে টিস্যুর মাঝখান বরাবর লিঙ্গের ছিদ্রে লাগিয়ে ও টিস্যুর বাকি অংশ লিংগের উপর ও নিচে লাগিয়ে শাহাদত আঙ্গুল দিয়ে লিঙ্গের ছিদ্রের উপর চাপ দেই।এর ফলে টিস্যু সরালে দেখি পুরা টিস্যু ভেজা।যেহেতু টিস্যুতে প্রস্রাব ও থাকে পানির সাথে তাই কি লিঙ্গের যে জায়গায় টিস্যু স্পর্শ করেছে সেই জায়গা নাপাক।হাতের আঙুল দিয়ে টিস্যু ব্যবহার করার কারণে হাতে ভেজা অনুভূতি হয় কিন্তু দৃশ্যমান তরল দেখা যায়না।আমার হাত কি নাপাক? ২ বছর ধরে এভাবে চলছি আমি।খুব কষ্ট গোসলে গেলে।বের হতে পারিনা ১.৩০-২ ঘন্টা না হলে। আজ যুহরের সালাতের আগে এই গুলা মাথায় আসে।তারপরই প্রশ্ন পাঠাচ্ছি।

গামছা যদি নাপাক হয়ে থাকে তাহলে তা দিয়ে  শরীর মুছেছি।গামছা দিয়ে পা মুছেছি তারপর স্যান্ডেল পরেছি।স্যান্ডেল ভেজা ছিল।স্যান্ডেল যেহেতু পুরানো তাই তাতে ময়লা রয়েছে।স্যান্ডেল যদি উপরোক্ত কারণে নাপাক হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে পাক করবো কিভাবে? ঘষে ময়লা তুলা লাগবে? এই মাসে ৩ জোড়া স্যান্ডেল কিনেছি।ভেজা গামছা দিয়ে হাত মোছার পর প্লেট,গ্লাস,জগ,মোবাইল,বাথরুমের মগ,নলকা ধরেছি।এই জিনিস গুলা কি করব?আর বাঁচতে ইচ্ছা করেনা।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি নামাযের ছোট্ট একটি ওয়াক্ত তথা আসর বা মাগরিবের ওয়াক্তের পুরোটাই প্রস্রাব বের হয়, তাহলে আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবেন। তখন প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট হবে।এই ওয়াক্তের ভিতর এক অজু দ্বারা যত ইচ্ছা ইবাদত করতে পারবেন।যতক্ষণ না অন্য কোনো কারণে অজু ভঙ্গ হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...