বিবাহের পূর্বে মহিলাদের ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার পিতার উপর।পিতা না থাকলে বড় ভাই বা অন্যান্য গার্জিয়ানদের উপর।আর বিবাহের পর তার স্বামীর উপর।অতঃপর ছেলের উপর। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মহিলাদের ভবিষ্যৎ চিন্তার আশু কোন প্রয়োজন নেই।
কারণ, আল্লাহ তা'আলা এটা বহু পূর্বেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
তবে যদি দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি না থাকে অথবা থাকা সত্ত্বেও দেখাশুনা না করে বা করতে না পারে,
তখন নিজের চলার জন্য নারী এমন কোনো পেশা গ্রহণ করতে পারে যেখানে শর'য়ী পর্দা লংঘিত হববে না। যেমনঃ- নুরানী মুআল্লীম ট্রেনিং নিয়ে বাড়ীতে বসে মহিলাগণকে কুরআনের তা'লীম দেওয়া, হাতের কাজ করা ইত্যাদি।
সর্বাবস্থায় সহ-চাকুরী থেকে বিরত থাকবে,কিন্ত যদি পূর্ণ পর্দার সাথে চাকুরী করতে অপরগ হয় অথবা সহ-চাকুরী ব্যতীত জীবিকানির্বাহের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে এতমাবস্থায় অন্যান্য হারাম কাজে জড়িত না হয়ে ইস্তেগফারের সাথে উক্ত চাকুরী করবে এবং সাথে সাথে পর্দাসহ চাকুরীকে খুজতে থাকবে।
ফটো তুলা হারাম ও নাজায়েয,তা যেকোনো মাধ্যমেই হোক।প্রিন্ট ছবি এবং মুবাইল স্কীনের ছবি সবটির হুকুম একই,অর্থ্যাৎ হারাম।প্রথমে ছবি মুক্ত কোনো কোনো চাকুরীর খোজ নিববে, যদি পাওয়া যায় তাহলে তাই করবে,আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে ইস্তেগফারের সাথে জরুরতের ধরুণ বৈধ আছে।
কেননা ফুকাহায়ে কিরামগণের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ মূলনীতি হল
(১) ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা বা ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
(আল আসবাহ ওয়ান নাযাইর-ইবনে নুজাইম ১/২৭৫)
এখানে অনেক প্রকার প্রয়োজন রয়েছে
(১)যদি সে এ চাকুরী না করে তাহলে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে,যদ্দরুন তার কোনো হারাম কাজে পতিত হওয়ার আশংকা থেকে যায়।
(২)যোগ্য মানুষ চাকুরীতে না যাওয়ার ধরুণ অযোগ্য ব্যক্তি সরকারী চাকুরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হবে।
(৩)সবচেয়ে ভয়ংকর যে ক্ষতিটা হবে সেটা হল এতে অমুসলিমরা সরকারী চাকুরী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দেশটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে।
প্রমাণ-
সূরা বাক্বারা, ২৩৩#সূরা আহযাব,৩৩#সূরা মায়েদা, ২#মিশকাত শরীফ-২:২৬৯#হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, ২:৩৩৮#মা'রিফুল কুরআন৭:১৩৫#ফাতাওয়ায়ে রাহীমিয়া ৪:৯৪।
আপনি সরকারী হালাল চাকুরীতে জয়েন্ট হতে পারবেন।সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকবেন।নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করবেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)