আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. সোনার ব্যবসায় স্বর্ণকারদের একটা নীতি হলো এরকম যে, তাদের কাছে পুরানো সোনার গয়না ভেঙে নতুন গয়না গড়াতে দিলে তারা আগের সোনা গলিয়ে, তার খাদ সরিয়ে খাঁটি যে সোনা পায় ২৪ ক্যারটের, সেখান থেকে সামান্য কিছু নিজেরা রেখে বাকিটা তে খাদ মিশিয়ে ২২, ২১ বা ১৮ ক্যারটের অনুপাত অনুযায়ী নতুন গয়না গড়িয়ে দেয় মালিকের চাহিদা মতো। যে পরিমাণ সোনা তারা নিজেদের কাছে রেখে দেয় তার পরিমাণ ২/১ রত্তি অথবা ২/১ আনাও হতে পারে, সে ব্যপারে সোনার মালিককে কোন স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয় না। তারা শুধু বলে, খাদ মিশানোর পর ক্যারট অনুযায়ী কত ওজনের সোনা ফেরত দেবে সেটার পরিমাণ জানায় মালিককে।

এটা কি সোনার মালিকের জন্য সুদ এর পর্যায়ে পড়ে?? এভাবে গয়না ভেঙে গয়না গড়ালে কি সোনার মালিকের কোন গুনাহ হবে?

২. পুরাতন সোনার গয়না বদলে নতুন গয়না কিনতে চাইলে সোনার ব্যবসায়ীরা কিছু পরিমাণ সোনার ওজন কম দেয়, সেটা শর্তানুযায়ী ১০% অথবা ২০% পর্যন্ত হতে পারে। এটা সুদ বলে জানি। যদি মাসআলা জানার আগে এরূপ ভুল কেউ করে থাকে, সোনার বদলে সোনা কিনে এবং বেশি ওজনের গয়না দিয়ে কম ওজনের গয়না কিনে, তবে তার কাফফারা কীভাবে আদায় করতে হবে?
৩. নামাজের রুকুতে থাকা অবস্থায় যদি ছোট বাচ্চা চোখে আঘাত করতে থাকে, তবে রুকু থেকে সোজা হবার আগেই তাকে কি এক হাত দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে? এক রুকুতে এরকম কতবার করা যাবে? যদি বাচ্চা বার বার সামনে এসে এরকম আঘাত করে?
৪. নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি?

৫. নামাজের ফরজ তো ৭টি। ওয়াজিব রুকন কয়টি?

৬. কোন বছরের যাকাত যথা সময়ে আদায় না হলে পরের বছর আদায় করতে হবে, তখন কি তার সাথে কোন কাফফারা ওয়াজিব হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/34844 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
এভাবে স্বর্ণকারের জন্য স্বর্ণকে রাখা কখনো জায়েয হবে না।

(২)
এটা সুদ হবে। এরকম কেউ করে থাকলে, তাকে তাৎক্ষণিক সমস্ত লাভ সদকাহ করে দিতে হবে।

(৩)
নামাজের রুকুতে থাকা অবস্থায় যদি ছোট বাচ্চা চোখে আঘাত করতে থাকে, তবে রুকু থেকে সোজা হবার আগেই তাকে এক হাত দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে। এক রুকুনে সর্বোচ্ছ দুইবার তথা রুকুতে থাকাবস্থায় দুইবার বারণ করা যাবে।যদি শিশু বারংবার এমন করতে থাকে, তাহলে নামায ভেঙ্গে দিয়ে তারপর নতুনকরে নামায পড়তে হবে।

(৪)
১৯টি কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7490

(৫)
ওয়াজিব ১৪ টি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7490

(৬)
শুধুমাত্র বিগত বৎসরের যাকাত আদায় করে নিলেই হবে।কাফফারাহ ওয়াজিব হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...