আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।
কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামী যদি বলে তুমি দাও।স্ত্রী তখন মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে ৩ তালাক দেয় মানে ৩ বার স্বামীর দিকে মনে মনে ইন্গিত করে তা......... বলেছে শুধু।সে নিজের দিকে করে নি ইন্গিত কারন সে জানতই না মেয়েরা তালাক দিতে পারে নিজেদেরকে স্বামী অধিকার দিলে ।এতে কি তালাক হবে?এরকম কয়েকবার হয়েছে।মানে যতবার স্ত্রী তালাক চাইত ততবার বলত স্বামী কথা ওটা মানে তুমি দাও কারন স্বামী চাইত না স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে। তখন তহ মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা ওরা জানত না ওরা।তহ স্ত্রী অনেক মাস পরে স্বামীকে জিগ্যেস করে "আমি তালাক চাইলে তুমি বলতা যে তুমি দাও।এটা কাকে দিতে বলতা যে? তুমাকে?স্বামী বলে "থেত এগুলো মন থেকে বলতাম না। ছেড়ে দিব বা ছেড়ে দিছি এগুলো তুমাকে থামানোর জন্য বলতাম যে"।কিন্তুু স্বামী আগে কোনদিন বলে নি ছেড়ে দিছি,দিব বলত।স্ত্রী জানে না বলেছে কিনা , স্ত্রীর যদ্দুর মনে পড়ে বলে নি কিন্তুু ছেড়ে দিব সেটা বলত দিছি বলে নাই।কারন স্ত্রী কেনায়া তালাক সম্পর্কে না জানলেও সরাসরি তালাক দেই নাই সেটা জানে,বাকিটা আল্লাহ জানে বলেছি কিনা।এমনকি কিছু দিন আগেও স্ত্রী প্রশ্ন করেছিল তখন না বলছিল স্বামী মানে সরাসরি তালাক দেই নি। । স্বামীর তেমন মনে থাকে না কথা,৩ দিন আগে কি বলেছে সেটাই মনে থাকে না কথাটা সে আন্দাজে বলেছে মনে হয় স্বামী।স্বামীকে জিগ্যেস করেছে প্রশ্ন একটা আর উত্তর দিছে আরেকটা।এখানে স্বামী স্ত্রীর কোন কথায় কি তালাক হবে?তারপর স্ত্রী আবার বলতেছে কাকে দিতে বলতা তালাক ? স্বামী বলতেছে বাদ দাও তহ মনে নেই আমার।এখানে উপরোক্ত কোন কথা বার্তা দ্বারা কি তালাক হবে?সব কথাগুলো মেসেজে হয়েছিল।ভিড়িও কল দিছে কিন্তুু কথা হচ্ছিল মেসেজে।কারন স্বামী দূরে।
১।শায়েখ উপরের এই প্রশ্নটা আগেও করেছিলাম তিন বার।এর উত্তরে প্রত্যেকবার আপনি(ইমদাদুল হুজুর) বলেছিলেন তালাক হবে না।মানে শায়েখ স্বামী আর স্ত্রী যেসব কথা বলেছে সেসব কোন কিছু দ্বারা কোন সমস্যা বা তালাক হবে না তাই না? শায়খ প্রশ্নটা আরেকবার করার জন্য দুঃখিত।
২।আর স্বামীকে আর প্রশ্ন করা উচিত হবে? ওনি আন্দাজে ভুলভাল উত্তর দিতে পারে।
৩।কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে আর কোনদিন মেসেজ দিবে না,আমি তুমার বউ নই,চলে যাও আমার জীবন থেকে,আমি মরা তুমার জন্য।স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় আর স্ত্রী নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি তালাক হবে? মানে স্ত্রীর মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা আসলেও সে নিজের দিকে ইন্গিত করে নি মনে হয় স্বামীর দিকে করত।আগের কথা তহ সে তার মনে নেই কোন দিকে ইন্গিত করত।কারন সে জানে না মেয়েরা তালাক দিতে পারে সেটা মানে শরীয়ত মোতাবেক পারে সেটা জানত না।ভাবত আইন অনুয়ায়ী পারে।
৪।কোন স্ত্রী যদি মেসেজে বা কলে বলে বেশি ভুল করছি তুমাকে বিয়ে করে।আর কোন রাস্তা নাই,এভাবে সারাজীবন কাটাতে হবে।জামাই যদি বলে আমি সুযোগ দিচ্চি চলে যেতে পার বা যাও।স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে না অস্বীকার করে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী তালাক না চাইলে?মেসেজে?