আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
361 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ভারতবর্ষে কি কোন নবী এসেছিল? অনেকে নিম্মোক্ত হাদীস গুলো দিয়ে প্রমাণ করে যে ভারতে কাহান নামক একজন নবী এসেছিল।এটা কতটুকু সত্য?


রসুল (স.) বলেছেন-

کان فی الھند نبیا اسود اللون اسمہ کاھنا

অনুবাদ: ভারতে কৃষ্ণ বর্ণের একজন নবী ছিলেন, যাঁর নাম ছিল কানাই।


তিবরানী তাঁর তফসীর ও উসুলের পুস্তক ‘আল মুজেমুল আওসাত’ এ লিখেন-

و عن علی رضی اللہ عنہ: ان اللہ تعالی بعث نبیا اسود فھو ممن لم تذکر قصتہ فی القرآن

অনুবাদ: হযরত আলী (রা.) বর্ণিত, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’লা কৃষ্ণ বর্ণের একজন নবী পাঠিয়েছিলেন, যাঁর উল্লেখ কুরআনে নেই।

আল্লামা জামাখশরী লিখেন,

و عن علی رضی اللہ عنہ: ان اللہ تعالی بعث نبیا اسود فھو ممن لم یقصص علیہ

(তাফসীরুল কাশাফ , সূরা আল মুমেন, তফসীর আয়াত ওয়ালাকাদ আরসালনা..)

অনুবাদ: হযরত আলী (রা.) বর্ণিত, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’লা কৃষ্ণ বর্ণের একজন নবী পাঠিয়েছিলেন, যাঁর বিষয় তারঁ কাছে বর্ণনা করা হয়নি।

এছাড়া তাফসীরে নাসাফী ও তাফসীর রুহুল বায়ানেও উপরোক্ত হাদীস রয়েছে।


আর হযরত আলী (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তালা একজন কৃষ্ণ বর্ণের নবী আবির্ভূত করেছিলেন। তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত যারঁ উল্লেখ কুরআনে করা হয়নি। ( দাসতুর উলামা, জামেউল উলুম ফি ইসতেলাহাতিল ফুনুন, খন্ড-৩, বাব আলকাফ, পৃষ্ঠা-৮১)


জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (704,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ প্রতিটি জাতির উদ্দেশে পথপ্রদর্শক পাঠিয়েছেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে কুরআনে এসেছে,

وَ لَوۡ اَنَّـاۤ اَہۡلَکۡنٰہُمۡ بِعَذَابٍ مِّنۡ قَبۡلِہٖ لَقَالُوۡا رَبَّنَا لَوۡ لَاۤ اَرۡسَلۡتَ اِلَیۡنَا رَسُوۡلًا فَنَتَّبِعَ اٰیٰتِکَ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّذِلَّ وَ نَخۡزٰی ﴿۱۳۴﴾

আর যদি আমরা তাদেরকে ইতোপূর্বে শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে অবশ্যই তারা বলত, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? পাঠালে আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার আগে আপনার নিদর্শনাবলী অনুসরণ করতাম।
(সুরা ত্বহা ১৩৪)

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى اللّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلالَةُ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ

অর্থ : আমি প্রত্যেক উম্মতের (জাতীর) মধ্যেই এই মর্মে রাসুল প্রেরণ করেছি যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত দিয়েছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো মিথ্যারোপকারীদের কী পরিণতি হয়েছে। (সুরা নাহল, আয়াত : ৩৬)

        وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرَى حَتَّى يَبْعَثَ فِي أُمِّهَا رَسُولًا يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِنَا وَمَا كُنَّا .مُهْلِكِي الْقُرَى إِلَّا وَأَهْلُهَا ظَالِمُونَ

অর্থ : তোমার পালনকর্তা জনপদগুলো ধ্বংসকারী নন, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রাসুল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াত পাঠ করেন। আমি জনপদসমূহকে তখনই ধ্বংস করি, যখন তার বাসিন্দারা জুলুম করে। (সুরা কাসাস, আয়াত : ৫৯)

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّن قَبْلِكَ مِنْهُم مَّن قَصَصْنَا عَلَيْكَ وَمِنْهُم مَّن لَّمْ نَقْصُصْ عَلَيْكَ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَنْ يَأْتِيَ بِآيَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ فَإِذَا جَاء أَمْرُ اللَّهِ قُضِيَ بِالْحَقِّ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْمُبْطِلُونَ

অর্থ : আমি তোমার আগে অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের কারো কারো ঘটনা তোমার কাছে বিবৃত করেছি এবং কারো কারো ঘটনা তোমার কাছে বিবৃত করিনি। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো নিদর্শন নিয়ে আসা কোরো রাসুলের কাজ নয়। যখন আল্লাহর আদেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গত ফয়সালা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মিথ্যাপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সুরা মুমিন, আয়াত ৭৮ :       

  إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ

অর্থ : আমি তোমাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোনো জাতি নেই, যার মধ্যে সতর্ককারী আসেনি। (সুরা ফাতির, আয়াত : ২৪)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
কুরআন হাদীসের কোনো বর্ণনা থেকে ভারতে নবী আসার প্রমান পাওয়া যায়না।
তবে এই এলাকায় নবী এসেছিলেন,এমন সম্ভাব্যতার কথা অনেকেই বলেছেন।
যদি নবি নাও এসে থাকে,তবুও আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোনো পথপ্রদর্শক অবশ্যই এই এলাকায় এসেছে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত বর্ণনাগুলিকে অনেক মুহাদ্দিসিনে কেরামগন মওযু' বলে আখ্যায়িত করেছেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...