বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মালিক নিষেধ করা সত্বে লাউ-তে নখ দিয়ে খোছা দেওয়া কখনো বৈধ হবে না। তবে মালিক অনুমতি দিলে ভিন্ন কথা।
সহসাই প্রশ্ন জাগে তাহলে লাউ জাতীয় দ্রব্যাদি আমরা কিভাবে ক্রয় করব?কেননা এক্ষেত্রেতো বুঝা যাচ্ছে না যে,লাউ ভাল হবে না খারাপ হবে?
সমাধানঃ- লাউ আমরা বিক্রেতার কথার উপর বিশ্বাস করে ক্রয় করে নিয়ে আসব।পরবর্তিতে কোনো সমস্যা হলে কি করব? এ সম্পর্কে "হেদায়া "তে বর্ণিত আছে..........
قال: ومن اشترى بيضا أو بطيخا أو قثاء أو خيارا أو جوزا فكسره فوجده فاسدا فإن لم ينتفع به رجع بالثمن كله) ؛ لأنه ليس بمال فكان البيع باطلا، ولا يعتبر في الجوز صلاح قشره على ما قيل لأن ماليته باعتبار اللب (وإن كان ينتفع به مع فساده لم يرده) ؛ لأن الكسر عيب حادث لكنه (يرجع بنقصان العيب) دفعا للضرر بقدر الإمكان.٦؛٣٧٣باب خيار العيب ،
যদি কেউ ডিম অথবা তরমুজ বা শসা কিংবা ক্ষীরা বা আখরোট ক্ররিদ করে। এবং পরে উক্ত দ্রব্যাদি ভেঙে ভিতর নষ্ট পায়।যদি এমন পরিমাণ নষ্ট হয় যে,তা থেকে কোনোরকম ফয়দা হাসিল করা সম্ভব হয়না,তাহলে এটা মালই নয়, সুতরাং এ বেছাকেনা বাতিল বলে গণ্য হবে।আখরোটের উপরের চিলকা ভাল থাকা ধর্তব্যর বিষয় নয়,কেননা ভিতরের সারই মাল হিসেবে ধর্তব্য।উপরোক্ত জিনিষ সমূহ নষ্ট হওয়ার পরও যদি তাত্থেকে কিছুটা ফায়দা নেয়া যায়,তাহলে উক্ত মাল মালিককে ফিরিয়ে দেয়া যাবেনা।কেননা ঐসমস্ত জিনিষ ভেঙ্গে ফেলা ক্রেতার হাতে নবসৃষ্ট দোষ।তবে নষ্ট পরিমাণ মূল্য ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে পারবে। যাতেকরে ক্রেতার কোনোরূপ কষ্ট না হয়।"এ'নায়া"উপরাংশে লিখিত হেদায়া ৬/৩৭৩।