জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের ক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা নেই।
কেউ অমুসলিম রাষ্ট্রে থাকলে তার সাথে বিবাহ করা জায়েজ নেই,এমন বিধান শরীয়তে নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রের সাথে বিবাহ করা যাবে।
তার এই ডিভোর্স আর এত দূরে থাকা এসব বিষয় যদি পাত্রী নিজ থেকে মেনে নিয়ে বিবাহ বসে, তাহলে এই বিবাহে কোনো সমস্যা দেখিছিনা।
তবে পরামর্শ থাকবে, তাদের মাঝে যেনো কুফুর মিল থাকে।
,
বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
তবে বিবাহের পর দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ-
- এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে।
- দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ