আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
শায়েখ আমার cousin এর জন্য একটা বিয়ের proposal আসছে। ছেলে নামাজী কালামী, educated, ভালো চাকরি করে। কিন্তুু problem হচ্ছে ছেলে New Zealand থাকে এবং বিয়ের কয়েক বছর পর মেয়েকে New Zealand নিয়ে যাবে। তার মধ্যে ছেলে আবার divorce. ছেলের আগের ঘরে ২টা ছেলে আছে ছোট ছোট। বাচ্চা ২টা মায়ের সাথেই থাকে। তার আগের wife এর সাথে নাকি অন্য কারো relation ছিল। তার wife নাকি দেশেই থাকত। ২য় বার বিয়ে করলে তাই নাকি wife কে দেশে রাখবে না। মনে হয় সে আর risk নিতে চাচ্ছে না। এখন problem হচ্ছে আমার cousin বুঝতে পারছে না কি করবে? আমার cousin এর age ও বেশি হয়ে যাচ্ছে। ওর age ২৮. ভালো বিয়ের proposal ও তেমন আসে না। ওর গায়ের রং শ্যামলা তাই কিছু ছেলে পক্ষ ওকে rejecte করছে। ওর height 5" এবং ও একটু স্লিম। তাই অনেকেই reject করে। ও mentally একটু depressed সেই জন্য। ওর বাবা মা অনেক আগে থেকেই ওর বিয়ের জন্য try করছে। ও যখন H.S.C. এর student তখন থেকেই try করছে। কিন্তুু হচ্ছে না। ওর relatives দেরও তেমন মাথা ব্যথা নেই। ২৪+ হয়ে গেলেই তো সমাজে মেয়েদের বিয়ে দেয়া একটু বেশিই কঠিন হয়ে পড়ে। বয়সও বেড়ে যাচ্ছে। এখন ওর কি করা উচিত ও confused. একেতো ছেলে অমুসলিম country তে থাকে তার মধ্যে divorce.

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


★প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের ক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো বাধা নেই।
কেউ অমুসলিম রাষ্ট্রে থাকলে তার সাথে বিবাহ করা জায়েজ নেই,এমন বিধান শরীয়তে নেই। 

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত পাত্রের সাথে বিবাহ করা যাবে।
তার এই ডিভোর্স আর এত দূরে থাকা এসব বিষয় যদি পাত্রী  নিজ থেকে মেনে নিয়ে বিবাহ বসে, তাহলে এই বিবাহে কোনো সমস্যা দেখিছিনা।

তবে পরামর্শ থাকবে, তাদের মাঝে যেনো কুফুর মিল থাকে।
,
বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

তবে বিবাহের পর দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ- 
  1. এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। 
  2. দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...