আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in পবিত্রতা (Purity) by (56 points)
edited by

১.শায়েখ ডাক্তার বলছিলো বাচ্চা মিসকেরেজ হয়ে যাবে টিকবে না।তবে বাচ্চা এখনো পড়ে যায়নি কেবল রক্তপাত শুরু হয়েছে এখন বাচ্চা গর্ভপাত হওয়ার আগেই লক্ষণসরূপ যে রক্ত আসতেছে সেটাকে কি হায়েজ ধরবো নাকি বাচ্চা গর্ভপাত হওয়ার পর থেকে যে রক্ত আসবে সেটাকে হায়েজ ধরবো??

২.গর্ভপাতের আগে রক্তপাত হওয়া অবস্থায় সহবাস করলে কি কাফফারা দিতে হবে??যদি এটা হায়েজ নাকি ইস্তেহাজা তা স্পষ্ট জানা না থাকে এবং সন্দেহ থাকে যে এটা হায়েজ নাকি ইস্তেহাজার রক্ত


৩.কোনো স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়েছে।এরপর একদিন তার কাছে অন্য একজন মহিলা জিজ্ঞেস করে যে মহিলারা যে ডিভোর্স দেয় এতে কি তালাক হয়।তখন সেই স্ত্রী উত্তরে অনেকটা এরকম বলে যে যদি কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয় তাহলে সে নিজের উপর তালাক নিতে পারবে।অর্থাৎ সে স্ত্রী অন্য স্বামী স্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করে কিন্তু মনে মনে ভাবে যে নিজের উপর তালাক নিলাম এটা বললে নিজের উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। তাই সে ঐ কথাটা বলতে চায়না তবুও সে ঐ ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কথা বলতে বলতে শেষে বলে ফেলে আমি নিজের উপর তালাক নিলাম ।এখন তার সন্দেহ লাগছে যে সে যখন এই কথাটা(আমি নিজের উপর তা** নিলাম) বলেছিলো তখন এটা বলার আগে সে এরকম বলে নিয়েছিলো কিনা সেই স্ত্রী(এখানে উদাহরণের স্ত্রী) বলবে বা তাকে বলতে হবে যে আমি নিজের উপর তালা** নিলাম।সে তখন একটু বেখেয়ালে ছিলো।তাই মনে করতে পারছে না।শায়েখ এখানে তার নিজেকে তালাক দেয়ার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না।অন্য মহিলার প্রশ্নের উত্তরে তালাকের ব্যাপারে তাকে বুঝাতে গিয়ে উক্ত মহিলার মনে নিজের উপর তালা** এর কথা মাথায় চলে আসে।এখন শায়েখ সে যে নিজের উপর তালাকের এর কথা চিন্তা করেছে আর পরে বলছে আমি নিজের উপর তালা** নিলাম এজন্য  কি তালাক হবে?আর এ কথাটা বলার আগে উদাহরণের মহিলার কথা উল্লেখ করেছে কিনা যে সে বলবে আমি নিজের উপর তালাক নিলাম এটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।

সবটা পড়ে কি মনে হয় যে আমার উপর তালাক পতিত হবে?? ঘটনাটা আবার একটু পড়ে বলবেন।

৪.উপরের তালাকের ঘটনা টা আমি লেখার কারণে কি আমার উপর তালাক পতিত হবে যদি ঘটনা টা আমার জীবনেরই হয়??

৫.উপরের ঘটনায় নিজের উপর তালাক নিলাম এটা লেখার সময় যদি আমার নিজের উপর তালাকের কথা মাথায় চলে আসে তাহলে কি আমার উপর তালাক পতিত হবে??

৬.যদি কোন মহিলা তালাকের অধিকার পাওয়ার পর তালাকের নিয়ত নিয়ে বলে আমিও শেষ তাহলে কি তার একথা দ্বারা নিজের উপর তালাক পতিত হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার এখন যেই রক্ত আসছে,এটি তিন দিন তিন রাতের বেশি হলে হায়েজ ধরবেন।

১০ দিনের বেশি হলে ১১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।

(০২)
কাফফারা দিতে হবেনা।
তবে এটি এক নং জবাব অনুপাতে হায়েজ হলে সহবাসের দরুন আপনাদের মারাত্মক কবীরা গুনাহ হবে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর তালাক পতিত হবেনা।

(০৪)
না,এতে তালাক  পতিত হবেনা। 

(০৫)
না,প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 750 views
–1 vote
1 answer 220 views
...