আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)

।। আসসালামু আলাইকুম ।।

প্রশ্ন-১ঃ

  • বিভিন্ন নাত রাসূল হয়। অর্থাৎ, রসূল (সঃ) এর নামে ইসলামী সংগিত। তো সেখানে একাধিক বার রাসূল (স) এর নাম বলা হয়। এখন... এই একাধিক বার ই কি দুরূদ পাঠ জরূরী?

প্রশ্ন-২ঃ 

  • রসূল (সঃ) এর নামে কটুক্তি করলে বিক্ষোভ-মিছিল, সভা সমাবেশ হয়। এখন এই গুলায় উপস্থিত হওয়া কি ফরজ-ওয়াজিব পর্যায়ের আমল?

প্রশ্ন-৩ঃ

  • নামাজে সিজদা থেকে উঠার [সিজদায় থাকা অবস্থায় নয়] সময় যদি দুই পা উঠে যাই জামিন থেকে,, তাহলে কি সালাত ফাসিদ হবে?

প্রশ্ন-৪ঃ

  • কোন ফরজ বা ওয়াজিব বা সুন্নাহ বা নফল সকল প্রকার ঈবাদত করার  ক্ষেত্রে কি বাবা-মার অনুমতি বা উপদেশ (যেগুলোর অনুমতি/উপদেশ তারা নিতে বলে শুধু সেগুলোর ক্ষেত্রে) নেয়ার প্রয়োজন আছে, যদি তাদের বাধা দেয়ার আশংকা থাকে? বা  তারা পুর্বে করেছে ও আশংকা উভয়ই থাকে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/1802/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উল্লেখ করার পর বা শ্রবণ করার পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( رغِم أنفُ رجلٍ ذُكرتُ عنده فلم يصلِّ عليَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ঐ ব্যক্তির নাক ধুলিত হোক,(অর্থাৎ বরকত শূন্য হোক) যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৫)

হযরত হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত,

وعن الحسين بن علي بن أبي طالب رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( البخيل الذي من ذكرت عنده فلم يصل عليَّ )

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,বাস্তব কৃপন তো সেই ব্যক্তি যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৬)

কোনো মজলিসে একাধিকবার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উচ্ছারিত হলে প্রথম বার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ ওয়াজিব।এবং পরের বার দুরুদ পাঠ মুস্তাহাব।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন  
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একবার দরুদ পাঠই যথেষ্ট।   
একাধিকবার দরুদ পাঠ আবশ্যক নয়।    

(০২)
এ পদ্ধতি নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ কেহ ঈমানের দাবী হতে আবশ্যকীয় বলে মনে করেন,কেহ কেহ এ পদ্ধতিতে প্রতিবাদকে সমর্থন করননা,এটিকে কার্যকরী পদক্ষেপ বলে মনে করেননা।

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো, সিজদার পুরো সময় দুই পায়ের কোনো অংশ কিছু সময়ের জন্যও যদি যমিনে লেগে না থাকে তাহলে সিজদা হবে না। কিন্তু যদি সিজদার সময় কোনো এক পা অল্প সময়ের জন্য মাটিতে লাগানো থাকে তাহলে সিজদা সহীহ হয়ে যাবে এবং  নামাযও হয়ে যাবে। 

★প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে। 
সমস্যা নেই। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৪)
না,আবশ্যক নয়। 

তবে নফলের ক্ষেত্রে বিধান হলোঃ-
মাতাপিতা যদি সন্তানের খেদমতের মুহতাজ থাকে,এবং সন্তানের কাছে সহযোগিতার আবেদন করে,অন্যদিকে যদি সন্তান এমন কোনো নফল ইবাদতে ব্যস্ত হয়ে যায় যা মাতাপিতার খেদমতের অন্তরায় থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার খেদমতই অগ্রগণ্য হবে।সন্তানের জন্য নফল ইবাদতে লিপ্ত হওয়া জায়েয হবে না।কেননা এক্ষেত্রে মাতাপিতার খেদমতে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ওয়াজিব।সুতরাং নফলের উপর ওয়াজিবকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

তবে যদি মাতাপিতা সন্তানের খেদমতের মুহতাজ না থাকে,বা নফল ইবাদতে বাধা প্রদানের কোনো হাজত না থাকে কিংবা এতে মাতাপিতার কোনো ফায়দা না থাকে,এবং এ ব্যাপারে শরীয়তের কোনো আকার ইঙ্গিত না থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় মাতাপিতার উক্ত বিধিনিষেধের উপর নফল ইবাদতকে তারজিহ দেয়াই উত্তম হবে।সুতরাং মাতাপিতার আদেশকে না মেনে তখন নফল ইবাদতই উত্তম হবে।হ্যা অবশ্যই মাতাপিতার সাথে উত্তম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। তাদেরকে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বুঝাতে হবে।

বিস্তারিত জানুন  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...