আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
677 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।আমার স্বামী  আংটি পরেছে।সে বলে এসব ধাতুর আংটি পরলে নাকি কেও তাবিজ করতে পারে না বা যাদু টুনা করতে পারে না।সে নাকি অন্যজন থেকে শুনছে।তবে সুস্হ হতে পারে এমন নই।এগুলো কি সত্য?আর না জেনে করলে ঈমানের সমস্যা হবে? মনে হয় ওনি জানত না।কয়েকমাস আগে থেকে পরেছে কিন্তুু আমার হঠাত মনে হল কোন শির্ক হবে কিনা।আমি বলেছি যতক্ষণ পর্যন্ত কোন আলেম থেকে ফতোয়া আনবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কোনরূপ কথা না বলার জন্য আমার সাথে।তারপর ওনি শপথ করে বলতেছে এমন নিয়তে বলে নি আমাকে নাকি দুস্টামি করেছে।কয়েকবার শপথ করেছে।ওনি বলতেছে ঠিক আছে তওবা করব আবার কালেমা পড়ব কিন্তুু আমি তবুও ভয়ে কথা বলি নি।এখন করণীয় কি? ওনার ঈমান চলে যাবে এসব কথা দ্বারা?

২।না জেনে শিরক করে ফেললে কি ঈমান চলে যাবে? পরে বুঝার পর তওবা করলে কি ঈমান চলে যাবে?

৩। এটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কাউকে লিখে প্রশ্ন করেছে মানে কোন মুফতি সাহেবকে বা আলেমকে।তহ ওনারা পুরা লিখা  না পড়ে উত্তর দিলে কি যে প্রশ্ন করেছে তার গুণাহ হবে?এতে যে প্রশ্ন করেছে সে তহ জানেই না।তার মনে ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে পুরো পড়েছে কিনা।হয়ত শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এতে যে প্রশ্ন করেছে ওর কি গুণাহ হবে এমন চিন্তা আসলে?এর জন্য ওল্টা প্রশ্ন করলে নিশ্চয় বেয়াদবি হবে।কারন হয়ত পুরো পড়ে উত্তর দিছে কিন্তুু যে প্রশ্ন করেছে ওর মনে ওয়াসওয়াসা আসতেছে পড়েছে নাকি পড়ে নি।ধরেন তবু আরেকবার প্রশ্ন করেছে মানে ঐ প্রশ্নটা আবার করেছে।তখন ও যদি একই উত্তর দেয়।তবু যে প্রশ্ন করেছে তার  মনে ওয়াসওয়াসা আসলে পড়েছে কি পড়ে নাই  পুরো লিখা এতে কি  গুণাহ হবে? আর  এখন করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...