ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মহরের জন্য শর্ত হল মাল হওয়া। সুতরাং মহর হিসেব কিতাব দেয়া যাবে, যদি পাত্রী পক্ষ্য তাতে রাজী থাকে। কেননা কিতাব মূল্যবান।বাজারে তার ভ্যালু রয়েছে।
(২)
আংটি মূল্যবান বস্তু,বাজারে তার একটা মূল্য রয়েছে, তাই আংটিকে মহর হিসেবে নির্ধারিত করা যাবে, এতে কোনো মতপার্থক্য নাই। তবে তা'লিমূল কুরআন বা কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে কি না? সে সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে রাখা যাবে।
وَلَوْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهَا الْقُرْآنَ كَانَ لَهَا مَهْرُ مِثْلِهَا، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ
কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে বিয়ে করলে সেই বিয়ে বিশুদ্ধ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩০২)
(৩)
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)
ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন
نصوص أحمد تدل على أنه لا طاعة لهما في ترك الفرض ،
ইমাম আহমদ রাহ এর মতামত এ কথার উপর দাবী রাখে যে,ফরয তরকের বেলায় মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।সুতরাং মাতাপিতার আদেশের ভিত্তিতে জামাত তরক করা যাবে না।এবং হজ্বকে দেড়ীতে আদায় করা যাবে না।(আল মুসতাদরাক আ'লা মাজমুয়িল ফাতাওয়া-৩/২১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1722
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বিবরণ অনুযায়ী মাতাপিতার কোনো প্রকার বদদুয়া আপনার উপর পতিত হবে না। কাফফারা লাগবে না।
(৪)
মাতাপিতার বা সন্তানের জন্য কল্যানকর এমন কোনো কাজের আদেশ মাতাপিতা করলে , আর সন্তান তা পালন না করলে, মাতপিতার বদ দু'আ সন্তানের উপর পতিত হবে।
(৫)
পিতামাতা কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবি কারণে রাগে বদ দোয়া করলো কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পারলে,মাতাপিতার উচিৎ সাথে সাথে সন্তানের জন্য নেক দু'আ করা।
(৬)
ফরয সালাতে ২ রাকাতেই যদি একই সূরা মিলিয়ে ফেলা হয়, তাহলে সালাত যদিও হবে, তবে এমনটা মাকরুহ হবে। অনিচ্ছাকৃত হলে মাকরুহ হবে না।
(৭)
নদীতে বা পুকুরে ফেলে দিবেন।অথবা আগুন দ্বারা জালিয়ে ছাই করে পানি ফেলে দিবেন।
(৮)
অবশিষ্ট যা রয়েছে, সবগুলি পানিতে ফেলে দিবেন। তবে আপনার কোনো গেনাহ হবে না।