আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
reshown by
১. মোহর হিসেবে ইদানিং বিভিন্ন বই দেওয়া হচ্ছে। এটা কি শরীয়ত সম্মত?
২. রাসূলের যুগে কিছু ঘটনায় আংটি, সূরা শিখানো আর বিভিন্ন কিছু মোহর হিসেবে ধরা হয়েছিল সেটা কি এই জামানায় করা যাবে?
৩. কেউ দ্বীন পালন করছে তাই তার বাবা মা বদ দোয়া করলো। সেই বদ দোয়া কি কবুল হবে? কবুল না হওয়ার জন্য সন্তান কি কোনো কাফফারা দেওয়া যাবে?
৪. দ্বীন ছাড়া কোনো দুনিয়াবি কারণে পিতা মাতা বদ দোয়া করলে সেই বদ দোয়া কি কবুল হবে? কবুল না হওয়ার জন্য সন্তান কি কোনো কাফফারা দেওয়া যাবে?
৫. পিতামাতা কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবি কারণে রাগে বদ দোয়া করলো কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পারলো এখন পিতামাতার করণীয় কি?

৬. ফরয সালাতে ২ রাকাত ই যদি একই সূরা মিলিয়ে ফেলে তাহলে সালাতের হুকুম কি?

৭. কুরআনের আয়াত আছে এমন লিফলেট পেলে পরে সেটা কিভাবে নষ্ট করবে? কারণ লিফলেট তো ঐটা লাগবে না কিন্তু কুরআনের আয়াত আছে তাই রাস্তায় বা ডাস্টবিনে ফেলানো যাবে না তাই নষ্ট করার নিয়ম জানতে চাচ্ছিলাম।

৮. আমি লিফলেট টা বেসিনের পানিতে ভিজিয়ে কাগজ ঢলা দিয়েছি, কুরআনের আয়াত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এটা কি গুনাহের কাজ হয়েছে? করণীয় কি?
by (583,410 points)
আপনার প্রশ্নের জবাব দুইদিন পরে পাবেন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মহরের জন্য শর্ত হল মাল হওয়া। সুতরাং মহর হিসেব কিতাব দেয়া যাবে, যদি পাত্রী পক্ষ্য তাতে রাজী থাকে। কেননা কিতাব মূল্যবান।বাজারে তার ভ্যালু রয়েছে।

(২)
আংটি মূল্যবান বস্তু,বাজারে তার একটা মূল্য রয়েছে, তাই আংটিকে মহর হিসেবে নির্ধারিত করা যাবে, এতে কোনো মতপার্থক্য নাই।  তবে তা'লিমূল কুরআন বা কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে কি না? সে সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে রাখা যাবে।

وَلَوْ تَزَوَّجَ امْرَأَةً عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهَا الْقُرْآنَ كَانَ لَهَا مَهْرُ مِثْلِهَا، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ
কুরআন শিক্ষাকে মহর হিসেবে বিয়ে করলে সেই বিয়ে বিশুদ্ধ হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩০২)

(৩)
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)

ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন
نصوص أحمد تدل على أنه لا طاعة لهما في ترك الفرض ،
ইমাম আহমদ রাহ এর মতামত এ কথার উপর দাবী রাখে যে,ফরয তরকের বেলায় মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।সুতরাং মাতাপিতার আদেশের  ভিত্তিতে জামাত তরক করা যাবে না।এবং হজ্বকে দেড়ীতে আদায় করা যাবে না।(আল মুসতাদরাক আ'লা মাজমুয়িল ফাতাওয়া-৩/২১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বিবরণ অনুযায়ী মাতাপিতার কোনো প্রকার বদদুয়া আপনার উপর পতিত হবে না। কাফফারা লাগবে না।

(৪)
মাতাপিতার বা সন্তানের জন্য কল্যানকর এমন কোনো কাজের আদেশ মাতাপিতা করলে , আর সন্তান তা পালন না করলে, মাতপিতার বদ দু'আ সন্তানের উপর পতিত হবে।

(৫)
পিতামাতা কোনো দ্বীনি বা দুনিয়াবি কারণে রাগে বদ দোয়া করলো কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পারলে,মাতাপিতার উচিৎ সাথে সাথে সন্তানের জন্য নেক দু'আ করা।

(৬)
ফরয সালাতে ২ রাকাতেই যদি একই সূরা মিলিয়ে ফেলা হয়, তাহলে সালাত যদিও হবে, তবে এমনটা মাকরুহ হবে। অনিচ্ছাকৃত হলে মাকরুহ হবে না।

(৭)
নদীতে বা পুকুরে ফেলে দিবেন।অথবা আগুন দ্বারা জালিয়ে ছাই করে পানি ফেলে দিবেন।

(৮)

অবশিষ্ট যা রয়েছে, সবগুলি পানিতে ফেলে দিবেন। তবে আপনার কোনো গেনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
জবাব দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...