আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in সালাত(Prayer) by (50 points)
reshown by
১. নামাজে কেউ মাসবূক হলে এমন অবস্থায়, ইমাম কোন ভুল করলে সাহু সিজদা দিল। তারপর মাসবূক তার ছুটে যাওয়া রাকাত একাকী পড়তে গিয়ে কোন ভুল করলে কি আবার সাহু সিজদা দিতে হবে?

২. আজকে এক রাকাত ছুটে যায় নামাজে, পরে ওই অবস্থায় ইমামের নামাজে ভুলে হলে সাহু সিজদা দেয়, পরে ছুটে যাওয়া এক রাকাত পড়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসে এ অবস্থায় যদি কোন ভুল হয় তবে কি আবার সাহু সিজদা দিতে হবে? এটা চিন্তা করতে করতে রুকুতে চলে যাই। অমনোযোগী হয়ে যাওয়ায়, সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা পড়েছিলাম কিনা সেটা নিয়েই সন্দেহে পড়ে যাই। এক্ষেত্রে মাসবূক এর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা না পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে?

আমি পরে সাহু সিজদা না দিয়েই নামাজ শেষ করি, একবার শুনছিলাম সাহু সিজদা দেয়ার পর কোন ভুল হলে আর ২য় সাহু সিজদা দিতে হয় না।

৩। কোন আমল প্রথমে করার সময় মানুষের প্রশংসার জন্য যদি কেউ ভুলে করে ফেলে, পরে ভুল বুঝার সাথে সাথে নিয়ত পরিবর্তন করে ফেললে সওয়াব হবে? যেমন: কেউ কোন দান করল, কিন্তু মনের ভুলে লোক দেখানো দান ছিল, পরে যোখন বুঝতে পারল নিয়ত পরিবর্তন করে ফেললে ওই আমলে সওয়াব হবে?


৪। পিঁপড়া, ব্যাঙ, মাকড়সা এগুলো মারা কি নিষেধ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্পষ্টভাবে কোথাও পাইনি।তবে উসূলের বিত্তিতে মনে হচ্ছে।আবার মুক্তাদিকে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(২)
মুক্তাদিকে আবার সাহু সিজদা দিতে হবে বলেই মনে হচ্ছে।
(৩)
লোক দেখানোর জন্য কোনো আ'মল করে নেওয়ার পর ভূল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করে নিলে উক্ত আ'মলের সওয়াব ঐ ব্যক্তি পাবে,ইনশা'আল্লাহ।

(৪)
কষ্টদায়ক প্রাণী ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যাবেনা, হত্যা করা নাজায়েয ও হারাম।

ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: "نهى رسول الله صلى الله عليه سلم عن قتل أربع من الدواب النملة، والنحلة، والهدهد، والصرد"
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেনঃ পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা, হুদহুদ পাখি এবং চড়ুই সদৃশ বাজ পাখি।(সুনানু আবি-দাউদ-৫২৬৭, সুনানু ইবনি মা'জা-৩২২৪)

তবে কষ্টদায়ক প্রাণী যা মানুষের জান-মালের জন্য ক্ষতির কারণ হয়,তথা কামড় দেয় বা যা খাদ্যকে নষ্ট করে দেয়,সেই সব প্রাণীকে হত্যা করা জায়েয রয়েছে।হাদীসে পিপড়া হত্যাকে নিষেধ করা হয়েছে,সেগুলো মূলত সেসব পিপড়াকে কেন্দ্র করে বলা হয়েছে,যেগুলো মানুষকে কোনো প্রকার ক্ষতি পৌছায় না।সুতরাং ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যাবে না,যতক্ষণ না সেই প্রাণী কষ্টদায়ক প্রমাণিত হচ্ছে।এবং উক্ত প্রাণীকে হত্যা ব্যতিত সামনে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকবে।

মোটকথাঃ
কষ্টকর প্রাণীকে হত্যা করা জায়েয। এর জন্য বিকল্প রাস্তা গ্রহণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশ তৈরী করাই শ্রেয়, যা কষ্টদায়ক প্রাণীর  জন্মের প্রতিবন্ধক হয়। এতেকরে প্রাণী হত্যার বিধিনিষেধ সম্ভলিত হাদীস সমূহের সাথে সাথে পরিবেশ রক্ষার হাদীস সমূহের উপরও আ'মল হয়ে যাবে। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/895


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 231 views
...