আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
310 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,,,, অনেক দিন আগে একটি ছেলে তার মা এর কাছে কাম ভাব নিয়ে গেছিলো কিন্তু ,,,,, মনে মনে সে ভেবেছিলো এতে তার মা ও রাজি হবে,,,, সে তার মা এর জাগ্রত অবস্থায় দুই হাত ধরেছিল,,,,,সে উত্তেজনা অবস্থাই গেছিলো কিনা মনে নাই,,,,, হাত ধরার পরক্ষণই তার মা তাকে দুরে সরে দেয়,,,,, অতটুকু সময় এর মাঝে সেই ছেলের লিংগ দাড়িয়েছিল কিনা,,,, বা মজি বা মনি এসেছিল কিনা তাও মনে করতে পারছেনা,,,, এবং তার পর সে হস্তমৈথুন করেছিল কিনা তাও সঠীক মনে করতে পারছে না,,,,  তার মনে হচ্চে এসব হতেও পারে,,,,এইটা প্রায় ৪-৫ বছর আগের কথা,,,,,, এখন প্রশ্ন হলো:-

১. যেহেতু সে এমন কিছুই মনে করতে পারছেনা, শুধু কাম ভাব নিয়ে গিয়েছিল বাকি কিছুই মনে নাই,,, সুতরাং যদি তার অজান্তে এরকম হয়েও থাকে, ,,,তাহলে কি তার বাবা মা এর মধ্যেকার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছিলো???
২. এখন হরমতে মুসাহারার বিষয়ে সে জানতে পেরেছে,,,, এবং শর্ত গুলো সব পড়েছে,,,,,তার মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে,,,, কিন্তু সে কোনোভাবে মনে করতে পারছেনা যে হরমতে মুসাহারার কোনো শর্ত প্রমাণ হয়েছে কিনা,,,,,,, মনের ভেতর সন্দেহ হচ্ছে ।  এমনটা অবস্থায় তার বাবা মা এর মধ্যে কার বিবাহিত সম্পর্ক কি বজায় আছে???? অথবা বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে কি কোনো ক্ষতি হবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।
পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)

৩–
স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।(শেষ)

وَشَرْطُهُ أَنْ لَا يُنْزِلَ حَتَّى لَوْ أَنْزَلَ عِنْدَ الْمَسِّ أَوْ النَّظَرِ لَمْ تَثْبُتْ بِهِ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ     ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ. قَالَ الصَّدْرُ الشَّهِيدُ وَعَلَيْهِ الْفَتْوَى، كَذَا فِي الشُّمُنِّيِّ شَرْحِ النُّقَايَةِ. وَلَوْ مَسَّ فَأَنْزَلَ لَمْ تَثْبُتْ بِهِ حُرْمَةُ الْمُصَاهَرَةِ     فِي الصَّحِيحِ؛ لِأَنَّهُ تَبَيَّنَ بِالْإِنْزَالِ أَنَّهُ غَيْرُ دَاعٍ إلَى الْوَطْءِ، كَذَا فِي الْكَافِي.
হুরমত প্রমাণিত হওয়ার শর্ত হল, বীর্যপাত হতে পারবে না।সুতরাং স্পর্শ করার সময়ে বা দৃষ্টি দেওয়ার সাথে সাথেই যদি বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।(তাবয়ীন) যদি কেউ কোনো মহিলাকে স্পর্শ করে, অতঃপর কিছুক্ষণ পর বীর্যপাত হয়, তাহলে এদ্বারাও হুরমত হবে না।কেননা বীর্যপাত দ্বারা বুঝা যাবে যে, এই স্পর্শ বা দৃষ্টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সহবাসের দিকে নিয়ে যাবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৭৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/47152

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ছেলে সহবাস বা কামভাবের নিয়তে মায়ের কাছে গিয়ে হাত ধরেছিল, সুতরাং এদ্বারা বুঝা যায় যে, সন্তানের লিঙ্গ দাড়ানোই ছিল, সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে হুরমত প্রমাণিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
edited
যদি প্রমাণিত হয়ে থাকে,,, তবে সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের একসাথে থাকা কি হারাম হয়ে গিয়েছে? যদি তার স্বামি অসুস্থ হয়ে থাকে, বয়স হয়ে থাকে ,, তবে সামনের দিনগুলোতে এখন কি করতে পারে তারা? এখন এই গুনাহ থেকে বাঁচার উপায় কি? এটি কি ক্ষমা যোগ্য গুনাহ্?? না বুঝে,,, না যেনে যদি প্রমাণিত হয়েই যায়,,,, এখন তো সেই সন্তান অতি মাত্রায় ভেঙে পড়বে,,,, যেহেতু বাবা মা এর এমন বিচ্ছেদের কারণ ছেলে,,,, তাই বাবা মা এর যদি এতদিন একসাথে থাকা হারাম হয় সেই পাপ এর বোঝা কি সেই সন্তান কে বইতে হবে ? এক্ষেত্রে সন্তান এর করনীয় কী? এমনটা অবস্থাই যে কেউ ভেঙে পড়বে,,,, করনীয় কি কি,,,,, বুঝিয়ে বলবেন,,,, 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...