আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম

প্রশ্নঃ১...ক সময় ফজরের নামাজে জামাতে শরীক হওয়ার জন্য সুন্নত আগে আদায় করা যায় না।  তাই ফজরের  নামাজে জামাতে শরীক হওয়ার জন্য সুন্নতের সময় না পাওয়া গেলে জামাত শেষে সূর্যদয়ের আগে পড়া যাবে কি?

প্রশ্নঃ২.. স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সময় ঠোট, জ্বিবা,মুখ নাড়াল কিন্তু মুখ থেকে কোনো  স্পষ্ট বাক্যের উচ্চারন বা শব্দ বের হল না, তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
সুন্নত নামাযের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। হাদীসে এর প্রভূত ফযীলত বর্ণিত হয়েছে এবং এর প্রতি বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যা অন্যান্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি। এখানে ফজরের সুন্নত সম্বন্ধে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করছি।
(ক) আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها.
ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৫

(খ) তিনি আরো বর্ণনা করেছেন-
لم يكن النبي صلى الله عليه وسلم على شيء من النوافل أشد منه تعاهدا على ركعتي الفجر.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাযে এত গুরুত্ব দিতেন যা অন্য কোনো নফল (বা সুন্নত) নামাযে দিতেন না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭২৪

(গ) তিনি আরো বর্ণনা করেছেন-
صلى النبي صلى الله عليه وسلم العشاء، ثم صلى ثماني ركعات، وركعتين جالسا، وركعتين بين النداءين، ولم يكن يدعهما أبدا.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামায পড়লেন। তারপর আট রাকাত নামায পড়লেন। তারপর বসে দুই রাকাত। তারপর আযান ও ইকামতের মধ্যে দুই রাকাত। এই দুই রাকাত তিনি কখনো বাদ দিতেন না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৫৯) ......বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/10062

https://www.ifatwa.info/1604 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

মোটকথাঃ
(১)সূর্যোদয় (২) সূর্যাস্ত (৩) সূর্য মধ্যাকাশে থাকাবস্থায়, এই তিনটি মূহুর্তে ফরয-নফল সকল প্রকার নামায পড়াই নিষিদ্ধ তথা মাকরুহে তাহরিমি।

এছাড়া আরো দু'টি সময়ে রয়েছে,যে সময় গুলোতে নফল নামায পড়া মাকরুহ।তবে ফরয বা ফরযের কা'যা পড়া মাকরুহ নয়।(১)সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ফজরের সুন্নত ও ফরয ব্যতীত অন্য কোনো নফল নামায পড়া যাবে না,পড়লে মাকরুহ হবে।তবে এ সময়ে কাযা নামায পড়া যাবে।(২)আছরের ফরয নামায পড়ার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল পড়া মাকরুহ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফজরের সুন্নত ছুটে গেলে সূর্যোদয়ের পরেই পড়তে হবে।আগে পড়লে হবে না।বরং মাকরুহ হবে।

(খ)
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সময় ঠোট, জ্বিবা,মুখ নাড়াল কিন্তু মুখ থেকে কোনো  স্পষ্ট বাক্যের উচ্চারন বা শব্দ বের হল না, তাহলে এদ্বারা তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...