আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
325 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার চাকরি করার ইচ্ছা ছিলো না।কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশি খারাপ। এইদিকে ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করা ছাড়া আর অন্য চাকরিও খুঁজে পাচ্ছি না আম্মুকে বলি আমি চাকরি করবো না।তখন আম্মু অসুস্থ হয়ে যায়।আমি জানি না এইটা আমাকে ভয় দেখানোর জন্য অভিনয় ছিলো কিনা কারণ আমি যখন একটা মামাকে ডাক্তার আনার জন্য কল দি আম্মু আমার থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেলে তখন আম্মুকে একদম সুস্থ লাগে।
১)পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে একদিকে চাকরি করতে ইচ্ছে করতেছে অন্যদিকে মনে হচ্ছে আমি চাকরি করলে আল্লাহর থেকে অনেক দূরে চলে যাবো।কি করবো বুঝতেছিনা উস্তায।আমার কোনটা করা উচিত?

আমার যে মনে হলো আম্মু অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করেছে তাহলে কি আমার গুনাহ হব

অন্য প্রসঙ্গ

আগে আমি পানি আনতাম কিন্তু রাস্তায় নন-মাহরাম হুটহাট সামনে চলে আসে বলে আমি বাইরে বের হয়না।আম্মু পানি আনে এখন।আমি কিছু বলিনি আম্মু নিজ থেকে আনে।আম্মুর বয়স হয়ছে।পানি আম্মু আনার কারণে কি আমার গুনাহ হবে?

উস্তায এইখানে ১মাসে ৩টার বেশি প্রশ্ন করা যায় না।কিন্তু আমি একবার হিসাবের গড়মিলের কারণে বেশি প্রশ্ন করে ফেলেছিলাম।আমার বিষয়গুলো তখন জানারও বেশি প্রয়োজন ছিলো।এইজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।আপনাদের হক নষ্ট করেছি।আমি এইটা কাফফারা হিসেবে গতমাসে কোনো প্রশ্ন করিনি।আশা করি আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিবেন

1 Answer

0 votes
by (559,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
★ যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
★চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
★ কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
★ চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
★কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
★নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

বিস্তারিত  জানুনঃ 
,
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত শর্ত গুলো পূর্ণ ভাবে মেনে আপনার জন্য বৈধ যেকোনো চাকুরী করা জায়েজ আছে।
অন্যথায় জায়েজ নেই।

প্রশ্নে উল্লেখিত চাকুরী বেশিরভাগ উলামায়ে কেরামদের মতে সূদের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে প্রবল  আশংকা থাকায় না করারই পরামর্শ দেন।

আর প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কর্ম ক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ পরিবেশও পাবেননা,আবার পুরুষদের সাথে সর্বদা কথা বলতে হবে,বিধায় কন্ঠেরও পর্দা হবেনা।

সব মিলে প্রশ্নে উল্লেখিত চাকুরী করা আপনার জন্য জায়েজ নেই।  
সুতরাং উপরোক্ত শর্ত সমূহ পূর্ণ ভাবে মানা যায়,এমন চাকুরী খুজতে পারেন।   
প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষিকা হতে পারেন,মেয়েদের ও ছোট ছেলেদের প্রাইভেট ইত্যাদি পড়াতে পারেন।

(০২)
যদি আপনার ধারণাটি মিথ্যা হয়,তাহলে গুনাহ হবে।

(০৩)
গুনাহ থেকে বাঁচতে আপনি এটা বলতে পারবেন।

(০৪)
আপনি সতর্কতামূলক আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবেন।

(০৫)
না গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...