আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by

বিয়ের ক্ষেএে কুফু না মিললে ও অভিভাবক এর অনুমতি না থাকলে কি বিয়ে সহীহ হয়


ইমাম মুহাম্মদ রাহ বলেনঃ দ্বীনদারী কু'ফু হিসেবে গণ্য হবে না।কেননা তা আখেরাতের বিষয়।সুতরাং আখেরাতের বিষয়ের উপর দুনিয়াবি বিধি-বিধানের বিত্তি স্থাপন করা যাবে না। তবে যদি স্বামী এমন হয় যে তাকে নিয়ে লোকে হাসাহাসি করে, অথবা সে নিজে মাতাল অবস্থায় বাজারে যায়,অথবা শিশুরা তাকে নিয়ে খেলা করে তাহলে এমতাবস্থায় দ্বীনদারী বিষয়টা কু'ফু হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।কেননা এক্ষেত্রে সে একজন ওজনহীন পাতলা মানুষ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।

এটি তে কেমন লোক বুঝানো হয়েছে তা যদি অার একটু পরিষ্কার ভাবে বলতেন


কোন ভাবেই কুফু না মিললেও যদি প্রাপ্ত বয়স্ক দুই জন বিবাহ করে
ক  তবে কি বিয়ে হয়ে
খ মেয়ের পিতা যদি যদি অালাদা করতে চায় তবে কি শালিস এর মাধ্যমে অালাদা করতে হবে নাকি মেয়ের পিতা একাই অালাদা করতে পারবে।

ছেলের মোহর দেওয়ার ক্ষমতা অাছে কিন্তু ভরণপোষণের দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কুফু মিলে নি তবেও কি  অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সহীহ হবে

 ৫
ধরুণ অামার শাশুড়ির সাথে অামার বাবার হুরমত হলো এখন তার জন্য কি অামারদের জামাই বউ এর সম্পক হারাম হয়ে যাবে


ওয়াসওয়াসির ফলে যদি লিঙ্গ লম্বা হয় কিন্তু মনে কামভাব না অাসে শুধু কামভাবের ওয়াসওয়াসি অাসে তখন কি কেউ স্পর্শে থাকলে হুরমত হয়


যিনা করার গুণা বেশি নাকি এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়ার গুণা বেশি



যিনা করলে কি মানুষ কাফের হয়ে যায়।

হুজুর অামি ২ টা অাইডি  দিয়ে প্রশ্ন করি কিন্তু অাপনাদের ওয়েবসাইটে থেকে জানতে ও বুঝতে পারি তা জায়েজ নয়। তাই অামি অাপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। অার অামি এই অাইডি টি ডিলেট ও করার অপসন খুজে পাচ্ছি না।
তাই অাপনাদের কাছে অনুরোধ অামাকে ক্ষমা করবেন এবং এই প্রশ্নের উওর দেওয়ার পর অামার এই অাইডিটি বন্ধ করে  দিবেন

১০


সপ্নদোষ হওয়ার পর ২-৩ দিন প্রসাবের সাথে মযি অাসে
সেক্ষেেএে কি গোসল ফরজ হয়

খ বীয নাকি মযি অাসে ২-৩ দিন তা বুঝতে না পারলে কি গোসল ফরজ হয়

গ স্পনদোষ হওয়ার পর বীযপাত হলেও পরে প্রসাবের সাথে(মাঝে মাঝে অাগে মাঝে মাঝে প্রসাবের পর) ২-৩ দিন কিছুটা তরল অাঠালো পদার্থ বের হয়  এখন এটা কি মযী নাকি বীয বুঝতে পারি না। অাবার প্রসাবের পর বার বার গোসল ও করা যায় না। এখন কি করব

1 Answer

0 votes
by (559,410 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হানাফি মাযহাব মতে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

আরো জানুনঃ 

এই মাসয়ালায় চার মাযহাবের অবস্থান জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
(০১)
যদি এতে পাত্র পাত্রী উভয়ে বালেগ বালেগাহ হয়,তাহলে এই বিবাহ সহীহ হবে। 

তবে পাত্রীর পিতা এক্ষেত্রে এই বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারবে। 
এই অধিকার তাকে শরীয়ত দিয়েছে।

(০২)
হাদীসে স্পষ্ট রয়েছে যেঃ
""ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)""

সুতরাং দ্বীনদারী অবশ্যই কুফু বলে বিবেচিত হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত মত তার ব্যাক্তিগত মত।
এটির উপর ফতোয়া নয়।

(০৩)
ক,
যদি এতে পাত্র পাত্রী উভয়ে বালেগ বালেগাহ হয়,তাহলে এই বিবাহ সহীহ হবে। 

খ,
মেয়ের বাবা এক্ষেত্রে এই বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারবে। 

(০৪)
উভয়ে বালেগ বালেগাহ হলে এই বিবাহ সহীহ হবে।

(০৫)
না,এতে আপনাদের জামাই বউ এর সম্পর্ক হারাম হবেনা।

(০৬)
লিঙ্গ তো উত্তেজনার কারনেই দাড়াবে।
উত্তেজনা ছাড়া লিঙ্গ দাড়াবেনা।

উত্তেজনা ছিলো কিনা,এই মাপকাঠি হিসেবে ফুকাহায়ে কেরামগন লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়াকে নির্ধারন করেছেন।

(০৭)
দুটিই নিজ নিজ স্থান হতে মারাত্মক বড় গুনাহ। 

একটি গুনাহকে আরেকটি গুনাহের সাথে তারতম্য করার সুযোগ নেই।       

(০৮)
না,এতে ব্যাক্তি কাফের হয়না।

(০৯)
বিষয়টি সম্পর্কে IOM কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।

(১০)
ক,
এক্ষেত্রে প্রত্যেকবার গোসল ফরজ হবেনা।    
শুধু স্বপ্নদোষের পরেই গোসল ফরজ হবে।

খ,গ,
যদি উত্তেজনা বশত লাফিয়ে লাফিয়ে বের হয়,তাহলে সেটিকে বীর্য ধরে গোসল করতে হবে,নতুবা তাহা মযি।
গোসল করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...