আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
601 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
closed by
আমি একটি ফেসবুকে স্টেটাস দেই।এখানে কয়েকজন আমার ফুল ধরেছেন যে,এখানে আমি কেনো বলেছি যে মহানবী (সাঃ) আমাদের ভাই বলেছিলো।আর একটি ভুল ধরেছে যে আমি কেনো এখানে মহানবী (সাঃ) কে ব্যক্তি বললাম।এটি উনার সম্মানের সাথে ঠিক যায় না।

আমি কী ভুল করেছি?

ফেসবুক স্ট্যাটাস: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1492010551257576&id=100013459367879

▌যে ব্যাক্তি ১৪০০ বছর আগে অশ্রুসিক্ত চোখে আমাদেরকে ভাই বলেছেন এবং আমাদেরকে দেখতে চেয়েছিলেন। তাকে কেন ভালোবাসব না?যে ব্যাক্তি আমাদের জন্য এতো কষ্ট করেছেন,এতো আহত হয়েছেন , এতো এতো আঘাত পেয়েছেন।এরপরও তিনি নিজ উম্মতকে ভুলে যাননি।কোনো উম্মতের উপর নিজ জাতিকেও স্থান দেননি।তাকে কেন ভালোবাসব না?যে ব্যাক্তি তাওহিদ ও রেসালাতের দাওয়াত দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছিলেন তায়েফের জমিনে। ফেরেশতারা পাহাড় উল্টিয়ে দেয়ার অনুমতি চেয়েছিল। তিনি তাতে সম্মতি হননি বরং তাদের জন্য দোয়া করেছিলেন। তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য একটাই মানুষকে পরকালের কঠিন পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করা।যে ব্যাক্তি শেষ বিচারের দিন সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকবেন আমাদের জন্য,যখন কেউ আমাদেরকে সাহায্য করতে পারবে না একমাত্র আল্লাহ তায়ালার অনুগ্ৰহ ও দয়া ছাড়া।এই ব্যাক্তিই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি আমাদেরকে ছাড়া জান্নাতে যাবেন না।শেষ বিচারের দিন যখন সবাই বলবে ইয়া নাফসি!ইয়া নাফসি! অর্থ হায় আমার কী হবে!আমার কী হবে!,তখন একপাশ থেকে আওয়াজ আসবে ইয়া উম্মতি!ইয়া উম্মতি! অর্থ আমার উম্মতের কী হবে!আমার উম্মতের কী হবে!সবাই ঘুরে দেখবে ওই ব্যাক্তিই বলছে।ওইদিন সব নবি,রাসুল মুখ ফিরিয়ে নিবে।কিন্তু ঐ ব্যাক্তি ফিরিয়ে নিবেন না।


▌হ্যা,উনি আর কেউ নন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


▌এই ব্যাক্তিকে কীভাবে ভালোবাসব না?এই ব্যাক্তিকে কেন নিজের সন্তান-সন্তুতি, মা-বাবা তথা নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসব না?উনি তো সেই ব্যাক্তি যাকে যতই ভালোবাসব ততই কম মনে হবে।যিনি আমাদেরকে এতোটা ভালোবাসে তাকে না ভালোবেসে কী আর পারা যায়?


▌ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দু'জন নেতা ইসলামের নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে।ওরা কী জানে আমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে?এদের যে কী একটা অবস্থা হবে পৃথিবীতে এবং আখিরাতে আল্লাহ পাক ভালো জানেন।কয়েক বছর ধরে ভারতে ইসলাম বিরোধী যা যা হচ্ছে, তাদের যে কী পরিণাম হবে তা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর খাঁটি প্রেমিক হওয়ার তাওফিক দান করুন। পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার জন্য তাঁকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসার তাওফিক দান করুন। (আমিন)


▌✊ হোক প্রতিবাদ ✊ হোক প্রতিবাদ ✊ হোক প্রতিবাদ ✊
closed

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوْبَ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَام إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ ثِنْتَيْنِ مِنْهُنَّ فِيْ ذَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ قَوْلُهُ إِنِّيْ سَقِيْمٌ (الصفات : 89) وَقَوْلُهُ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيْرُهُمْ هٰذَا (الأنبياء : 63) وَقَالَ بَيْنَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ وَسَارَةُ إِذْ أَتَى عَلَى جَبَّارٍ مِنْ الْجَبَابِرَةِ فَقِيْلَ لَهُ إِنَّ هَا هُنَا رَجُلًا مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ عَنْهَا فَقَالَ مَنْ هَذِهِ قَالَ أُخْتِيْ فَأَتَى سَارَةَ قَالَ يَا سَارَةُ لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِيْ وَغَيْرَكِ وَإِنَّ هَذَا سَأَلَنِيْ فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِيْ فَلَا تُكَذِّبِيْنِيْ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا بِيَدِهِ فَأُخِذَ فَقَالَ ادْعِي اللهَ لِيْ وَلَا أَضُرُّكِ فَدَعَتْ اللهَ فَأُطْلِقَ ثُمَّ تَنَاوَلَهَا الثَّانِيَةَ فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ فَقَالَ ادْعِي اللهَ لِيْ وَلَا أَضُرُّكِ فَدَعَتْ فَأُطْلِقَ فَدَعَا بَعْضَ حَجَبَتِهِ فَقَالَ إِنَّكُمْ لَمْ تَأْتُوْنِيْ بِإِنْسَانٍ إِنَّمَا أَتَيْتُمُونِيْ بِشَيْطَانٍ فَأَخْدَمَهَا هَاجَرَ فَأَتَتْهُ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّيْ فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ مَهْيَا قَالَتْ رَدَّ اللهُ كَيْدَ الْكَافِرِ أَوْ الْفَاجِرِ فِيْ نَحْرِهِ وَأَخْدَمَ هَاجَرَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ تِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِيْ مَاءِ السَّمَاءِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবরাহীম (আঃ) তিনবার ছাড়া কখনও মিথ্যা বলেননি। তন্মধ্যে দু’বার ছিল আল্লাহর ব্যাপারে। তার উক্তি ‘‘আমি অসুস্থ’’- (আস সাফফাতঃ ৮৯) এবং তাঁর অন্য এক উক্তি ‘‘বরং এ কাজ করেছে, এই তো তাদের বড়টি- (আম্বিয়াঃ ৬৩)। বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি [ইবরাহীম (আঃ)] এবং সারা অত্যাচারী শাসকগণের কোন এক শাসকের এলাকায় এসে পৌঁছলেন। তখন তাকে খবর দেয়া হল যে, এ এলাকায় জনৈক ব্যক্তি এসেছে। তার সঙ্গে একজন সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা আছে। তখন সে তাঁর নিকট লোক পাঠাল। সে তাঁকে নারীটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, এ নারীটি কে? তিনি উত্তর দিলেন, মহিলাটি আমার বোন। অতঃপর তিনি সারার নিকট আসলেন এবং বললেন, হে সারা! তুমি আর আমি ব্যতীত পৃথিবীর উপর আর কোন মু’মিন নেই। এ লোকটি আমাকে তোমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। তখন আমি তাকে জানিয়েছি যে, তুমি আমার বোন। কাজেই তুমি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করো না। অতঃপর সারাকে আনার জন্য লোক পাঠালো। তিনি যখন তার নিকট প্রবেশ করলেন এবং রাজা তাঁর দিকে হাত বাড়ালো তখনই সে পাকড়াও হল। তখন অত্যাচারী রাজা সারাকে বলল, আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। তখন সারা আল্লাহর নিকট দু‘আ করলেন। ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। অতঃপর দ্বিতীয়বার তাঁকে ধরতে চাইল। এবার সে পূর্বের মত বা তার চেয়ে কঠিনভাবে পাকড়াও হলে। এবারও সে বলল, আল্লাহর নিকট আমার জন্য দু‘আ কর। আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। আবারও তিনি দু‘আ করলেন, ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। অতঃপর রাজা তার এক দারোয়ানকে ডাকল। সে তাকে বলল, তুমি তো আমার নিকট কোন মানুষ আননি। বরং এনেছ এক শয়তান। অতঃপর রাজা সারার খিদমতের জন্য হাযেরাকে দান করল। অতঃপর তিনি (সারা) তাঁর (ইবরাহীম) নিকট আসলেন, তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তখন তিনি হাত দ্বারা ইশারা করে সারাকে বললেন, কী ঘটেছে? তখন সারা বললেন, আল্লাহ কাফির বা ফাসিকের চক্রান্ত তারই বুকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর সে হাযেরাকে খিদমতের জন্য দান করেছে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, হে আকাশের পানির ছেলেরা  হাযেরাই তোমাদের আদি মাতা। (বুখারী শরীফ ৩৩৫৮.২২১৭) (মুসলিম ৪৩/৪১ হাঃ ২৩৭১, আহমাদ ৯০৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১১৭)


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে ইবরাহীম আলাহিস সালাম তার বিবি সারা এর ব্যাপারে বলেছিলেন, তিনি তার বোন। 

কী হিসেবে বোন? আদম আলাহিস সালামের সন্তান হিসেবে মানুষ পরস্পর সবাই ভাই ভাই। নারী পুরুষ সবাই ভাই বোন।

মুসলমানগণ পরস্পর ভাই। কুরআনে কারীমে মুসলমানদের পরস্পর ভাই ভাই বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ [٤٩:١٠]
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। [সূরা হুজুরাত-১০]

★সুতরাং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম আলাইহি সালামের সন্তান হিসেবে সমস্ত মুসলমানদের ভাই বলা যাবে।

তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত হিসেবে,সম্মান মর্যাদার দিক লক্ষ্য করে নবী সাঃ  আমাদের রূহানী পিতা আর তার সম্মানিতা স্ত্রীগণ মুমিনদের আম্মাজান।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সুতরাং আপনার পোস্টে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে ভাই বলা হয়েছে,এটি দোষনীয় নয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহানবী (সাঃ) কে ব্যক্তি বলে সম্বোধন করা ঠিক আছে,এতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সম্মানহানী করা হয়নি।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
সম্মানিত শাইখ, আমার মনে হচ্ছে উত্তরে একটি জায়গায় ভুল হয়েছে। আপনি হয়তো বুঝেছেন, সেই পোস্টে রসুলুল্লাহ ﷺ কে ভাই বলা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটি তা নয়। বরং রাসূল ﷺ তাঁর উম্মাতকে ভাই বলে সম্বোধন করেছিলেন, সেদিকে ইংগিত করা হয়েছে। প্রশ্নকারী সম্ভবত নিচের হাদীসটির প্রেক্ষিতে এটি লিখেছিল:

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করছে।’ সাহাবিরা বললেন, ‘আমরা কি আপনার ভাই নই?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা তো আমার সাহাবি তথা সঙ্গী। আমার ভাই হলো যারা আমার ওপর ইমান আনবে, কিন্তু আমাকে দেখবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১২৭১৮)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...