আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম
 , একটা সমস্যা নিয়ে পরামর্শের জন্য। সাহায্য করবেন দয়া করে।
আমার বাবা মারা গেছে চার বছর হল। 2 ভাই বড় আর 2 বোন ছোট। সবাই বিবাহিত আলহামদুলিল্লাহ। ভাইদের বিয়ে হল 1 বছর প্রায়। মায়ের টাকা দিয়েই বিয়ে দিয়েছে এমনকি বড় ভাই কে দোকান দিয়ে দিয়েছে মা ( আব্বুর পেনশনের টাকা দিয়ে বাড়ি করে সেগুলো ভাড়া দিছে & সেখান থেকে সংসার চলছে) ছোট ভাই পাব্লিক ভার্সিটি থেকে অনার্স, মাস্টার্স করছে চাকরির জন্য চেষ্টা করতেছে। সমস্যা হল ছোট ভাইটা একটু রাগ বেশি মানে সবসময় প্রায়ি ছেন ছেন করে। আগেও মুখ খারাপ করে মাকে গালি দিত। কিন্তু এখন আর ও খারাপ অবস্থা এত খারাপ ওয়ার্ড ইউস করে। আম্মু কোনো কথা যদি বলতে চায় ওর পছন্দ না হলে না অপোজিটে গেলে অনেক খারাপ গালি দেয়। বোন হিসেবে অনেক দিন ই বুঝাই ও বলে আম্মু তেরামি করে। ( আম্মু ওকে একটু ভয় ই পায় রাগ বেশি তাই। কখনো কিছু বলে না) ইদানীং আম্মির প্রেশার বেড়ে গেছে হার্ট ও প্রব দেখা দিছে। আম্মু কেই সংসার।  বাড়ি ভাড়া, বাজার সব সামলাতে হয়। ভাবি রা কেউ থাকে না মাঝে মাঝে আসে বাবার বাড়ি থাকে,ছোট ভাবি জব করে তাই।  ছোট ভাই টা বিয়ে থেকে শুরু করে খালি টাকা টাকা করে মাসে 7, 8 হাজার টাকার মত নেয় আম্মু কখনো জিজ্ঞেস করে না কিসের টাকা। আরো বেশি নেয়। সব তো ডিটেইলস বলতে পারছি না এখানে।  ওর বউ এর সামনে ও এরকম মুখ খারাপ করে গালি দেয় মাকে। উনিও কিছু বলে না।ইদানিং বো ভাই ও চিল্লাচিল্লি করে( আমাদের সৎ ভাই কিন্তু আমরা কখনো আলাদা চোখে দেখি না) বড় ভাই য়ের বউ এর বাসায় দাদা উনি জানা মতে তাবিজ করেন। বড় ভাবী টা বয়স কম কিন্তু ফোন নিয়ে সারাদিন থাকে। টিক্টক দেখে এই টাইপ। 2 টা ভাই ই নামাজ এর ধারে নাই।

গার্ডিয়ান বলতে শক্ত করে কেউ নেই। বড় দুলাভাই চাচাতো ভাই তাই ওইভাবে কিছু বলতে পারে না।আর আমার হাসবেন্ড ও কিছু বলতে চায় না জামাই তাই।
এক্ষেত্রে কি করা যায় কোনো রুকাইয়াহ করলে কি ঠিক হবে এমন কিছু আছে যা মায়ের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির করাবে ভাইয়ার। বা কোনো ঝাড়ফুক। বা অন্য উপায় আমাকে দয়া করে জানাবেন। খুব ই অশান্তি বাসায়।মাকে নিয়ে টেনশনে থাকি। বলে রাখি ও রা নামাজ কালাম কিছু পড়ে না। আল্লাহ হেদায়েত দান করুক।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

অর্থঃ “আর তোমার প্রতিপালক ফয়সালা করেছেন যে, তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতামাতার সাথে ভালব্যাবহার করবে। তোমার বর্তমানে তাদের একজন বা উভয়েই বার্ধ্যকে পৌছে যায় তাহলে তাদের সামনে উফ শব্দটুকুও করবে না এবং তাদেরকে ধুমুক দিবে না । তাদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে। সূরা আল-ইসরা, আয়াত,২৩।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ وَلَدٍ بَارٍّ يَنْظُرُ نَظْرَةَ رَحْمَةٍ إِلَّا كَتَبَ اللهُ بِكُلِّ نَظْرَةٍ حَجَّةً مَبْرُورَةً “، قَالُوا: وَإِنْ نَظَرَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ؟ قَالَ: ” نَعَمْ، اللهُ أَكْبَرُ وَأَطْيَبُ “

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন কোন পিতা মাতার ভক্ত সন্তান নিজের পিতা মাতার প্রতি অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টির বদৌলতে তার জন্য [আমলনামায়] একটি হজ্জ্বে মাবরূর [কবুল হজ্ব] এর সওয়াব দান করেন। সাহাবারা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি দৈনিক একশবার দৃষ্টি করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারও। আল্লাহ মহান ও পবিত্র। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৭৪৭২, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৪৫৫৩৫, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৯৪৪}

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ، فَقَالَ: «هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ؟» قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «فَالْزَمْهَا، فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا»

মুআবিয়া ইব্ন জাহিমা সালামী (রহঃ)
আমার পিতা জাহিমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খিদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। এখন আপনার নিকট পরামর্শ জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বললেনঃ তোমার মা আছেন কি? সে বললোঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা, জান্নাত তাঁর দু’পায়ের নিচে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১০৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ

حديث معاوية بن جاهمة أنه جاء النبي صلى الله عليه وسلم قال : يا رسول الله أردتُ أن أغزو ، وقد جئت أستشيرك فقال : هل لك أم ؟ قال : نعم ، قال : فالزمها ؛ فإن الجنة تحت رجليها .

অর্থঃ মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা রাঃ নামের এক ছাহাবী রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আমি যুদ্ধ করতে চাই। আর আমি আপনার কাছে পরামর্শ চাইতে এসেছি। তখন রাসূল সাঃ বললেন: তোমার মা কি বেঁচে আছেন। তখন ছাহাবীটি বললেন হা আছেন। তখন রাসূলে আকরাম সাঃ বললেন: তুমি তার কাছেই থেকে যাও। কেননা জান্নাত তো তাঁর পায়ের নিচে। 
(নাসায়ী, তাবারানী।)

★সুতরাং  সবসময় পিতামাতার সাথে ভাল ব্যবহার করা এবং তারা কষ্ট পায় এমন কথা বা কাজ করা থেকে বিরত থাকা আমাদের একান্ত কর্তব্য।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  আপনার সেই ভাইকে দ্বীনের পথে নিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
দ্বীনের বুঝ কম থাকায় এটি হচ্ছে।
মায়ের মর্যাদা সম্বলিত বই তাকে পড়তে দিতে পারেন,এ সংক্রান্ত হক্কানী আলেমদের ওয়াজ শোনা পারেন।
মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝাইতে পারেন।  
প্রয়োজনে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে তাকে যুক্ত করিয়ে দিতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।     

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...