আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,168 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by
recategorized by
মুহতারাম শায়েখ।
আশা রাখি ভালো আছেন।

আল্লাহর নাম সমূহের যিকির করা কি বিদআত? আমাদের এক আত্মীয় আমার আম্মুকে বিদাত বলেছেন।জাযাকাল্লাহ ।

1 Answer

0 votes
by (696,480 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

যিকির মানে স্বরণ করা,আল্লাহকে আল্লাহর গুনাগুনকে সম্মান ও আজমতের সাথে স্বরণ করা।

যিকির প্রসঙ্গে  আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗُﻞِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺃَﻭِ ﺍﺩْﻋُﻮﺍْ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦَ ﺃَﻳًّﺎ ﻣَّﺎ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍْ ﻓَﻠَﻪُ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ-
(হে নবী আপনি) বলুনঃতোমরা  আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই তোমরা আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(সূরা বনী ইসরাঈল-১১০)

 ﻭَﻟِﻠّﻪِ ﺍﻷَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻓَﺎﺩْﻋُﻮﻩُ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﺫَﺭُﻭﺍْ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻠْﺤِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺃَﺳْﻤَﺂﺋِﻪِ ﺳَﻴُﺠْﺰَﻭْﻥَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই তারা পাবে।সূরা আ'রাফ ১৮০।

ﺳﺒﺢ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻚ ﺍﻷﻋﻠﻰ
অর্থ, তোমার প্রভূর নামের তাসবীহ পাঠ কর।
ﻗﺪ ﺃﻓﻠﺢ ﻣﻦ ﺗﺰﻛﻰ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﺳﻢ ﺭﺑﻪ ﻓﺼﻠﻰ
এ আয়াতের মাঝেও বলাহয়েছেঃ প্রকৃত সফলকাম ঐ ব্যক্তি যে তার রবের নামের যিকির করে ৷সূরাঃ আ'লা(৮৭)আয়াত ১-১৪-১৫

এবং নবীজী সাঃ বলেনঃ
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ
 ; ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﺗِﺴْﻌَﺔً ﻭَﺗِﺴْﻌِﻴﻦَ ﺍﺳْﻤًﺎ ﻣِﺎﺋَﺔً ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺼَﺎﻫَﺎ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ
নবীজী সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহর নিরান্নব্বইটা নাম রয়েছে,যে ব্যক্তি তা ঈমান ও আমলের সাথে ডাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সহীহ বুখারী-২৭৩৬)

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস সমূহ দ্বারা বুঝতে পারলাম,আল্লাহকে তার জাতি নাম তথা "আল্লাহ"(কেউ কেউ ইসমে আ'জম ও বলেন)এবং সিফাতি নাম তথা রাহমান, রাহিম ইত্যাদি নাম সমূহের মধ্যে যেকোনো নাম দ্বারা ডাকা যাবে।

প্রশ্ন হল
শুধুমাত্র "আল্লাহ" "আল্লাহ" বা সিফাতি অন্যান্য নাম দ্বারা দ্বারা জিকির করা বৈধ কি না?
এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে বিরূপ মতামত লক্ষ্য করা যায়।
ইবনে তাইমিয়্যাহ সহ একদল আরব বাসীদের মতে শুধুমাত্র "আল্লাহ" "আল্লাহ" বা শুধুমাত্র অন্যান্য সিফাতি নাম সমূহের জিকির জায়েয হবে না।কেননা এতে পূর্ণ কোনো অর্থের ফায়দা বুঝা যাচ্ছে না।এমনকি শুধুমাত্র ইয়া আল্লাহ বা ইয়া রায্যাক্বু বলেও ডাকা যাবে না।বরং বলতে হবে ইয়া আল্লাহ আমাকে মাফ করো,ইয়া রায্যাক্বু আমাকে রিযিক দান করো।অর্থাৎ পূর্ণ অর্থবোধক কোনো বাক্য দ্বারা আল্লাহকে ডাকতে হবে, তার যিকির করতে হবে।

অন্যদিকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মতে শুধুমাত্র "আল্লাহ" "আল্লাহ" বা "রহমান" "রহমান"বলে যিকির করা যাবে, জায়েয আছে।
যেমন এক হাদীসে এসেছে ,হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ :
( ﻟَﺎ ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﺣَﺘَّﻰ ﻟَﺎ ﻳُﻘَﺎﻝَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ )
নবীজী সাঃ বলেনঃ যতদিন পর্যন্ত জমিনে আল্লাহ আল্লাহ যিকির থাকবে ততদিন ক্বিয়ামত সংগঠিত হবে না।(সহীহ মুসলিম-১৪৮;)

অবশ্য কেউ কেউ হাদীসে বর্ণিত এই "আল্লাহ" "আল্লাহ" কে  লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সংক্ষেপিত বাক্য মনে করে থাকেন।
যার প্রমাণ স্বরূপ তারা নিম্নোক্ত রিওয়াতসমূহ উল্লেখ করে থাকেন।
(لا ﺗَﻘُﻮﻡُ ﺍﻟﺴَّﺎﻋَﺔُ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﺣَﺪٍ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪ )
যে ব্যক্তি  লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর যিকির করবে তার সামনে ক্বিয়ামত সংগঠিত হবে না। (মুসনাদে আহমাদ-৩/২৬৮ইবনে হিব্বান-১৫/২৬২মুসনাদে হাকীম-৪/৫৪০)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন
واعلم أن الروايات كلها متفقة على تكرير اسم الله تعالى في الروايتين وهكذا هو في جميع الأصول قال القاضي عياض رحمه الله وفى رواية بن أبي جعفر يقول لا إله إلا الله والله سبحانه وتعالى أعلم
জেনে রাখো!উক্ত হাদীসের সমস্ত সূত্রে (শুধুমাত্র)আল্লাহ শব্দ দুই বার হয়ে এসেছে।হাদীসের মূল কিতাব সমূহে এভাবেই বর্ণিত রয়েছে।ক্বাযী ইয়ায রাহ বলেনঃইবনে আবি জা'ফরের বর্ণনায় "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ"এসেছে।(আল-মিনহাজ-শরহে মুসলিম ২/১৭৮;)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যে হাদীসে শুধুমাত্র "আল্লাহ" "আল্লাহ "এসেছে তা যদি সংক্ষেপিত হয়ে থাকে যার ব্যখ্যা পূর্ণ কালিমা
"লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ",তাহলে বুঝতে পারলাম, উক্ত হাদিসে আল্লাহ আল্লাহ শব্দ এসেছে, কিন্তু উদ্দেশ্য হল "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ",
এখন আমরা এখন নির্ধিদায় বলতে পারব যে, নিয়তে বিশেষ কিছু রেখে শুধুমাত্র আল্লাহ আল্লাহ দ্বারা যিকির করা, আল্লাহকে ডাকা কেন অবৈধ হবে।অবৈধ হবে না বরং বৈধই হবে। এবং বৈধ হওয়াটা অদ্যো যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে।

যেমন এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেনঃ
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻻ ﻳﻌﻀﺪ ﺷﻮﻛﻪ ﻭﻻ ﻳﻨﻔﺮ ﺻﻴﺪﻩ ﻭﻻ ﻳﻠﺘﻘﻂ ﺇﻻ ﻣﻦ ﻋﺮﻓﻬﺎ ﻭﻻ ﻳﺨﺘﻠﻰ ﺧﻼﻫﺎ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻌﺒﺎﺱ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺇﻻ ﺍﻹﺫﺧﺮ ﻓﺈﻧﻪ ﻟﻘﻴﻨﻬﻢ ﻭﻟﺒﻴﻮﺗﻬﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﻻ ﺍﻹﺫﺧﺮ
মক্কার হরম শরীফের ভিতর কোনো কাটা ভাঙ্গা যাবে না,শিকারের পিছনে দৌড়ানো যাবে না,মালিকের নিকট পৌঁছানো ব্যতীত কোনো পতিত মালকে উঁঠানো যাবে না,এবং সেখানের গাসও কর্তন করা যাবে না।আব্বাস রাযি বললেন, হে রাসুলুল্লাহ সাঃ তবে ইযখির ব্যতীত,কেননা ইযকির মক্কাবাসীদের ঘরবাড়ির ছাদ তৈরীতে ব্যবহৃত হয় এবং তা তাদের লোহারদের অতিপ্রয়োজনীয় জিনিষ।
তখন নবীজী সা: বললেন "ইযকির ব্যতীত"।(মুসলিম-১৩৫৩;)

দেখুন আরবী গ্রামার অনুযায়ী নবীজী সাঃ মুস্তাসনা মিনহু উল্লেখ ব্যতীত শুধুমাত্র ইল্লাল ইযকির(ইযকির ব্যতীত) বলেছেন।
ইযকির ব্যতীত কি?তিনি তা বিস্তারিত উল্লেখ করছেন না,কিন্তু সমস্ত ফুকাহা ও মুহাদ্দিসগণ একথাই বলেছেন যে,এখানে অর্থ হল,ইযকির ব্যতীত সবকিছুই কর্তন করা যাবে।যা সহচর আমরাও বুঝতে পেরেছি।বুঝা গেল স্থান কাল পাত্র বেধে মাঝে মধ্যে কিছু জিনিষকে উহ্য রাখাও বৈধ রয়েছে।

আর এখানে নিয়্যাতে উদ্দেশ্য রেখে শুধুমাত্র আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করা যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে।কেননা হয়তো এমনও হতে পারে যে,যদি আল্লাহর নাম বেশী করে জপা যায় তাহলে সম্ভবত দু'আ কবুল হবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,নিয়তে কোনো কিছু রেখে শুধুমাত্র আল্লাহ শব্দ বা রহমান ইত্যাদি শব্দ দ্বারা যিকির করা যাবে,বৈধ রয়েছে। যেমন হযরত বেলাল রাযি কে যখন নির্যাতন করা হয়েছিলো তখন উনার মূখ দিয়ে শুধুমাত্র "আহাদ" "আহাদ" শব্দ বের হয়েছিলো।পরবর্তিতে এ বিবরণ নবীজী সাঃ ও শুনেছিলেন,অথচ নবীজী সাঃ এরকম বলতে নিষেধ করেননি।কাজেই বুঝা গেল,শুধুমাত্র আল্লাহর নামের জিকির জায়েয আছে।তাছাড়া শুধুমাত্র আল্লাহর নামের যিকির করা হারাম বা নাজায়েয হওয়ার ব্যপারে কি কোনো সহীহ হাদীস রয়েছে?নাজায়েয হওয়ার সরাসরি ও শক্তিশালী কি কোনো দলীল মওজুদ রয়েছে? অবশ্যই নেই।শুধুমাত্র অপরিপূর্ণ বাক্য হওয়ার খুড়াযুক্তি রয়েছে।সুবহানাল্লাহ এর মত উহ্য মেনে কি আল্লাহ শব্দকে পরিপূর্ণ বাক্য বানানো যায় না?যেভাবে সুবহানআল্লাহ র পূর্বে নুসাব্বিহু ফে'ল মেনে সুবহানআল্লাহ কে মাফ'উল হিসাবে যবর দিয়েছি, সেভাবে কি আল্লাহর আগে পরে কিছু মানা যায় না।অথচ এখানে পড়নেওয়ালার নিয়তে উহ্য মানার মত  অনেক কিছুই রয়েছে।যদি উহ্য না মানা হয় তাহলে সুবহানাল্লাহ না পড়ে সুবহানুল্লাহ পড়তে হবে।আমাদের নিয়্যাত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই যাবে। সেটা পরিপূর্ণ বাক্য হবে।তবে সর্বোপরি আমাদেরকে কোনো অর্থবোধক বাক্য দ্বারা যিকির করা, আল্লাহকে ডাকা উচিৎ।যিকিরে সংখ্যাগত কোনো মাহাত্ম্য নেই,বরং যিকির ফলপ্রসূ হতে হলে তাকওয়া ও এখলাছে নিয়্যাতই ধর্তব্য।যার অন্তরে যতবেশী খোদাভীতি থাকবে তার যিকির ই মাকবুল হবে।

বিস্তারিত জানতে.....
তাকমালা ফাতহুল মুলহিম ২/১৭৯
আশরাফুল ফাতওয়া ১/৩৬৯
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...