আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (56 points)
edited by
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১. একজন অবিবাহিতা নারী যদি ছেলে সন্তান অ্যাডপ্ট করতে চান এবং তার এমন কোন মহিলা আত্মীয়া উপস্থিত না থাকেন যার মাধ্যমে তিনি দুধ সম্পর্কিত মাহরাম হতে পারবেন সেই ছেলে সন্তানের, সেক্ষেত্রে কি তিনি বর্তমান বিশ্বে ল্যাকটোজেন ইনডিউসের মাধ্যমে শরীরে হরমোন বৃদ্ধি করে অনেক নারী সন্তান অ্যাডপ্ট করে দুধপান করান, সেই প্রসিডিউর ফলো করা যায়েজ হবে?

২. যদি উক্ত প্রসিডিউর হারাম হয়, তবে কি সেই নারীর সন্তান হতে যদি উক্ত ছেলে বাচ্চার বয়স ২ এর বেশি হয়ে যায়(কিন্তু নাবালক থাকে), তাকে দুধপান করালে কি সে মাহরাম সাবস্থ্য হবে? এই সম্পর্কিত একাধিক সহীহ হাদীস আছে যেহেতু(উদবা ইবনু রাবিআহ রাযি. এবং আবু হুজাইফা রাযি. এর হাদীস এবং আয়িশা রাযি. এর এই পদ্ধতি অবলম্বন করার হাদীস), একটা এতিম সন্তানকে অ্যাডপ্ট করলে তাকে ফিরিয়ে দেয়াটা অমানুষিক কাজ হয়ে যায় এবং পালক মা ও সন্তান ছাড়া থাকতেপারবেনা৷ সেক্ষেত্রে ৪ মাযহাবের কোন মাযহাব কি ২+ বছর বয়সে ছেলে সন্তানকে দুধ পান করিয়ে মাহরাম বানানোর বিষয়কে জায়েজ হিসেবে গন্য করে?

1 Answer

0 votes
by (686,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/35545/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান হলো যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক ফোটা দুধ বা তার চেয়েও কম দুধ বাচ্চার পেটে চলে যায়,তাহলেই মাহরাম হয়ে যাবে। 

সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّهٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّهٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّهٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾

তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাতিজীদেরকে, ভাগ্নীদেরকে, তোমাদের সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, তোমাদের দুধবোনদেরকে, তোমাদের শ্বাশুড়ীদেরকে, তোমরা যেসব স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছ সেসব স্ত্রীর অপর স্বামী থেকে যেসব কন্যা তোমাদের কোলে রয়েছে তাদেরকে, আর যদি তোমরা তাদের সাথে মিলিত না হয়ে থাক তবে তোমাদের উপর কোন পাপ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রীদেরকে এবং দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)। তবে অতীতে যা হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 


★এখানে মাহরামদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে,  সে সব মাতাকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছে, 
সুতরাং অল্প দুধ করালেও হারাম হয়ে যাবে। 
কেননা কোনো পরিমান নির্দিষ্ট নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ  

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী দুধপানের মাধ্যমে কাউকে মাহরাম বানানো যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ بِنْتِ حَمْزَةَ لَا تَحِلُّ لِيْ يَحْرُمُ مِنْ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنْ النَّسَبِ هِيَ بِنْتُ أَخِيْ مِنْ الرَّضَاعَةِ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামযাহর মেয়ে সম্পর্কে বলেছেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা বংশ কারণে যা হারাম হয়, দুধ পানের সম্পর্কের কারণেও তা হারাম হয়, আর সে আমার দুধ ভাইয়ের মেয়ে। (বুখারী শরীফ ২৬৪৫.৫১০০) (মুসলিম ১৭/৩, হাঃ ১৪৪৭, আহমাদ ১৯৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৬৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
(০১)
সেই প্রসিডিউর ফলো করা যায়েজ নেই।

(০২)
দুধ পানের মুদ্দত বা সর্বোচ্ছ সময়সীমা দুই বৎসর।

সুতরাং যদি উক্ত ছেলে বাচ্চার বয়স ২ এর বেশি হয়ে যায়(যদিও সে নাবালেক), তাকে দুধপান করালে সে মাহরাম সাবস্থ্য হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...